ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

আহসান খান চৌধুরী

তরুণরা ব্যবসায় এগিয়ে এলে বিনিয়োগ নিয়ে পাশে থাকবে প্রাণ

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৪:৪৯ পিএম, ২২ মে ২০২৪

তরুণরা উদ্ভাবনী চিন্তা নিয়ে নতুন ব্যবসায় এগিয়ে এলে বিনিয়োগ নিয়ে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আহসান খান চৌধুরী।

তিনি বলেন, বিনিয়োগকে আমি কোনো প্রতিবন্ধকতা মনে করি না। তরুণরা যদি উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনা নিয়ে আমাদের সংস্পর্শে আসেন, তাহলে প্রাণ-আরএফএল বিনিয়োগ নিয়ে তাদের পাশে থাকবে। তরুণদের মেধা, আমাদের বিনিয়োগ—সম্মিলিত এ প্রচেষ্টায় আমরা এগিয়ে যেতে চাই।

বুধবার (২২ মে) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত ‘ইয়ুথ টেক সামিটে’ অতিথি হিসেবে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এ সামিটে দেশের প্রায় এক হাজার তরুণ-তরুণী অংশ নেন।

আহসান খান চৌধুরী বলেন, আমার বয়স এখন ৫৩ বছর। ২১ বছর বয়সে আমি আমার বাবার ব্যবসায় যোগ দিয়েছিলাম। তখন থেকেই আমার এ পথচলা শুরু। আজকের এই দিনে এসেও আমি প্রাণ-আরএফএল গ্রুপকে স্টার্টআপ মনে করি। কারণ, লক্ষ্য যদি বড় হয়, প্রচেষ্টা যদি চালিয়ে যাই, তাহলে আমাদের কাজের ক্ষেত্রের কোনো শেষ থাকবে না।

আরও পড়ুন

চীনের মানুষও প্রাণকে ভালোভাবে গ্রহণ করবে প্রত্যাশা করে তিনি বলেন, সম্প্রতি আমি চীন থেকে ফিরেছি। চীনে আমাদের লক্ষ্য হলো—কুনমিং শহরে প্রাণকে প্রতিষ্ঠিত করার প্রচেষ্টা চালানো। বাংলাদেশের মানুষ যেমন প্রাণকে ভালোবেসে গ্রহণ করেছে, আগামী দিনে আমরা চাই চীনের কুনমিংয়ের মানুষও যেন প্রাণকে একইভাবে গ্রহণ করে। চীনের প্রতিটি প্রদেশে আমাদের নেটওয়ার্ক স্থাপন করবো এবং আমরা এগিয়ে যাবো। আমরা জিতবোই।

টেক-সম্পর্কিত ব্যবসায় জড়িতরা মেধাবী উল্লেখ করে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান বলেন, আজ আপনারা যারা টেক সম্পর্কিত ব্যবসার সঙ্গে রয়েছেন, তারা অত্যন্ত মেধাবী বলে আমি বিশ্বাস করি। আরেকটা ব্যাপার হলো—পৃথিবীতে এত নলেজ রিচ (জ্ঞানসমৃদ্ধ) জাতি বাংলাদেশ ছাড়া কোথাও নেই। আমি ১০০টিরও বেশি দেশ ভ্রমণ করেছি। কোথাও এত ট্যালেন্টেড তরুণ-যুবক দেখিনি। এত পরিশ্রমী জাতিও খুব বেশি দেশে দেখিনি।

তরুণদের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করে আহসান খান চৌধুরী বলেন, আপনারা যদি জিজ্ঞেস করেন প্রাণ-আরএফএলের দুর্বলতাটা কোথায়? আমি বলবো—আমরা যেহেতু একটা পুরোনো কোম্পানি, আমাদের মেধার জায়গায় দুর্বলতা ব্যাপক। এক্ষেত্রে আমাদের তরুণ মেধাবীদের প্রয়োজন। আমরা যদি একসঙ্গে মেধা ও সততা দিয়ে কাজ করি, তাহলে এ সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে পারবো। আরও দুর্বার গতিতে এগিয়ে যেতে পারবো।

আরও পড়ুন

‘তরুণদের সঙ্গে আমরা কাজ করবো, আপনাদের থেকেই শিখবো, জানবো। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আপনারা যদি চেষ্টা করেন এবং আমরা সবাই মিলে যদি কাজ করি, সফল হবোই। আপনার মেধা, আমাদের বিনিয়োগ—সম্মিলিত এ প্রচেষ্টায় এগিয়ে যেতে চাই। ব্যবসার বহুমুখীকরণ এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিস্তৃত করতে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার বিকল্প নেই’- যোগ করেন তিনি।

নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে আহসান খান চৌধুরী বলেন, আমি বলবো—ব্যবসা সবসময় কঠিন। কিন্তু উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। ব্যবসায় লেগে থাকলে সফলতা আসবেই। এক-দুবার কেউ ব্যর্থ হলেও হাল ছাড়া যাবে না। বারবার প্রচেষ্টা চালালে সফলতা আসবেই।

বিডিজবসের প্রধান নির্বাহী ফাহিম মাশরুর ও মোটিভেশনাল স্পিকার গোলাম সামদানি ডনের সঞ্চালনায় টেক সামিটে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উইন্ড অ্যাপের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ফাহাদ আহমেদ, ভিসিপিএবি প্রেসিডেন্ট শামীম আহসান, বিডিওএসএন সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান, বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল কলেজের নির্বাহী পরিচালক কে এম হাসান রিপন, জেসিআই সভাপতি ইমরান কাদির, ক্যারিয়ার বিষয়ক লেখক মুহাম্মাদ আলতামিশ নাবিল ও বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরাম আহ্বায়ক আরিফুল হাসান অপু।

এছাড়া ইয়ুথ টেক সামিটে এআই ও আইসিটি খাতের উদীয়মান ২০ জন সফল উদ্যোক্তা ও ১২ জন বক্তা তিনটি সেশনে বক্তব্য রাখেন। তারা উদ্যোক্তাবান্ধব দৃষ্টিভঙ্গি ও নীতিমালা নিয়েও আলোচনা করেন।

এএএইচ/এমকেআর/জিকেএস