কার্ডের মাধ্যমে ওএমএস বিতরণ শুরু
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, কার্ডের মাধ্যমে ওএমএস বিতরণ হলে এক ব্যক্তির একাধিকবার চাল-আটা নেওয়ার প্রবণতা বন্ধ হবে। অন্য কোনো এলাকার কার্ডধারী কি না তাও সহজে শনাক্ত হবে। এতে প্রকৃত গরিব মানুষের কাছে ওএমএস পৌঁছানো সম্ভব হবে।
রোববার (১৯ মে) সকালে মিরপুরের আনসার ক্যাম্প বাসস্ট্যান্ডে ওএমএস কার্ডের মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে সুবিধাভোগীদের মাঝে চাল ও আটা বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের নায্যমূল্য না দিতে পারলে কৃষক উৎপাদনে আগ্রহ হারাবে। তাদের উৎসাহিত করতে এবার বোরো সংগ্রহ মৌসুমে সরকার ধানের দাম বৃদ্ধি করেছে।
ওএমএস বিতরণে কোনো গাফিলতি হলে ডিলার ও খাদ্য বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে জবাবদিহির আওতায় আনা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এরই মধ্যে মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে।
এ সময় ওএমএস বিতরণে গাফিলতি হলে জেল জরিমানারও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
- আরও পড়ুন
যেখানে ওএমএস-টিসিবির পণ্য, সেখানেই লোকে লোকারণ্য
ওএমএস কেন্দ্র দারিদ্র্যপীড়িত এলাকায় কিনা যাচাইয়ের নির্দেশ
মন্ত্রী বলেন, ১৪ লাখ উপকারভোগী বিশেষ এই কার্ডের মাধ্যমে ওএমএসের চাল ও আটা সংগ্রহ করতে সক্ষম হবেন। ভবিষ্যতে আরও বেশি সংখ্যক উপকারভোগী এই কার্ডের সুবিধায় যুক্ত হবেন। এ সময় কার্ড দিতে যেন কোনো ডুপ্লিকেশন যেন না হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন তিনি।
বঙ্গবন্ধুকন্যার দিকনির্দেশনায় সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ৫০ লাখ পরিবারকে ১৫ টাকা কেজি দরে চাল দেওয়া হচ্ছে। মাত্র ৩০ টাকায় ওএমএস দেওয়া হচ্ছে। আবার ১ কোটি পরিবার ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির মাধ্যমে চাল পাচ্ছে। সরকারের প্রতি কেজি চাল ক্রয়ে ৫৫ টাকার মতো খরচ হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেই চাল ভর্তুকি দিয়ে ৩০ টাকায় দরিদ্র মানুষকে দেওয়া হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছেন। আবার তিনিই স্মার্ট বাংলাদেশের ডাক দিয়েছেন। স্মার্ট বাংলাদেশের সব সেবা পর্যায়ক্রমে স্মার্ট সেবায় পরিণত হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য মাঈনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশের মানুষকে একটু ভালো রাখতে নিরলস কাজ করছেন। ওএমএস দরিদ্র মানুষের জন্য শেখ হাসিনার উপহার। এটি বিতরণে সবাইকে দুর্নীতিমুক্ত থেকে সেবার মানসিকতা নিয়ে কাজ করতে হবে।
খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. শাখাওয়াত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন খাদ্য সচিব মো. ইসমাইল হোসেন, খাদ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বীরমুক্তিযোদ্ধা মুরাদ হোসেন।
পরে খাদ্যমন্ত্রী ঐ কেন্দ্রের উপকারভোগীদের হাতে কার্ডের মাধ্যমে বিক্রয়কৃত ওএমএস এর চাল-আটার প্যাকেট তুলে দেন।
এনএইচ/এমআরএম/জেআইএম