ইস্পাত-সিমেন্ট শিল্পে কাঁচামাল সংগ্রহই বড় চ্যালেঞ্জ: শিল্পমন্ত্রী
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন জানিয়েছেন, অবকাঠামো এবং জাহাজ নির্মাণে অগ্রগতির কারণে ২০২৭ সালের মধ্যে ইস্পাতের চাহিদা ১৫ মিলিয়ন টন (এমটিপিএ) হবে। এছাড়া সিমেন্ট শিল্পে ২৫ মিলিয়ন টন (এমটিপিএ) ক্লিংকার চাহিদা হবে। এসব শিল্পের কাঁচামাল সংগ্রহই হবে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ।
তিনি আরও বলেন, প্রয়োজনীয় সরবরাহ ঠিক রাখতে আন্তর্জাতিক তথা আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রয়োজন।
মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁয়ে আন্তর্জাতিক ট্রেড সামিট বাংলাদেশ-২০২৪ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, এ শিল্পের আরেক সমস্যা বিদ্যুৎ। আমাদের ২৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সেক্টরের বেশিরভাগই অনবায়নযোগ্য শক্তি উৎসের ওপর নির্ভরশীল, যদিও এটি দ্রুত নবায়নযোগ্য পরিচ্ছন্ন এবং সবুজ শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, গত এক দশকে বাংলাদেশে গড়ে প্রায় ৭ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। ১৭২ মিলিয়ন জনসংখ্যার এই দেশে একটি বড় ভোক্তা বাজার এবং বিশাল জনসম্পদ রয়েছে। ভৌগোলিক এবং কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশ চীন, জাপান, ভারত, কোরিয়ার মতো উন্নত ও বৃহৎ দেশগুলো থেকে বড় আকারে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সহযোগিতা পায়। বাংলাদেশের প্রধান শিল্প টেক্সটাইল ছাড়াও অন্য মূল শিল্পগুলোতে নজর দেওয়া হচ্ছে।
দুদিনব্যাপী কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে সামিটটি উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট শিল্পপতি ও পিএইচপি ফ্যমিলির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সুফি মুহম্মদ মিজানুর রহমান।
সামিটে দেশ ও বিদেশে ব্যবহৃত লৌহ ও ইস্পাত, সিমেন্ট এবং পাওয়ার পণ্যের বিশ্বব্যাপী সম্ভাবনা, গুণগতমান, বর্তমান টেকসই প্রযুক্তি, আধুনিক মার্কেটিং পলিসি ইত্যাদি বিষয়ে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞরা একাধিক বিশেষ সেশনে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য রাখেন। তাছাড়া এ শিল্পের ওপর বিশেষজ্ঞরা বেশ কিছু মূল্যবান পেপার উপস্থাপন করেন।
চতুর্থবারের মত অনুষ্ঠিত এ সামিটে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, বেলজিয়াম, ইতালি, ভিয়েতনাম, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, অস্ট্রিয়া, তাইওয়ান, চীন, জাপান ও বাংলাদেশসহ প্রায় ২৫টি দেশের প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন।
এছাড়া দেশের স্বনামধন্য শিল্পপ্রতিষ্ঠান পিএইচপি ফ্যমিলি, বিএসআরএম, রহিম স্টিল, আবুল খায়ের গ্রুপ, কেডিএস গ্রুপ, সালাম স্টিল, জেডএসআরএম, সিএসআরএমসহ অনেকগুলো দেশীয় প্রতিষ্ঠান সরাসরি অংশ নিয়েছে। তাছাড়া বিদেশি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কোরিয়ার পসকো, জাপানের সুমিতুমু করপোরেশন, মিটস্যুই, বিশ্ববিখ্যাত জার্মানির হেনকেল, বদো মোলার, ইলেক্ট্রোথাম, ব্যুমার ও চায়নার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যোগদান করেছে। তবে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেশি।
ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে দুদিনব্যাপী এ সম্মেলন আয়োজনে সহযোগিতা দিচ্ছে বিশ্বখ্যাত সামিট আয়োজক ভারতের বিগমিন্ট। সম্মেলনের আয়োজন করছে বাংলাদেশে বিগত ছয়টি আন্তজাতিক কনফারেন্সের আয়োজক আহমেদ এন্টারপ্রাইজ।
এনএইচ/এমকেআর/এমএস