৬৪ শতাংশ মানুষের বাজেট নিয়ে কোনো প্রত্যাশা নেই: সিপিডি
বাজেট নিয়ে জনগণের ভাবনার উদ্যোগকে সমর্থন করে ৮৯ শতাংশ মানুষ। তবে ৬৪ শতাংশ বা দুই তৃতীয়াংশ মানুষ বলছে বাজেট নিয়ে তাদের কোনো প্রত্যাশা নেই।
‘নতুন সরকারের কাছে জাতীয় বাজেটের প্রত্যাশা’ শীর্ষক জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) ও এসডিজি বাস্তাবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, বাংলাদেশ এ জরিপ পরিচালনা করেছে।
রোববার (৫ মে) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘সিপিডি-নাগরিক প্ল্যাটফর্মের ‘নতুন সরকার, জাতীয় বাজেট ও জনমানুষের প্রত্যাশা’ শীর্ষক প্রাক বাজেট সংলাপে জরিপের ফলাফল উপস্থাপন করেন সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
জরিপের ফলাফলে বলা হয়, জরিপে দুই হাজার ২৪৯ ব্যক্তির গুগল ফর্মের মতামত ও আট হাজার ৪৮টি সোশ্যাল মিডিয়া রিঅ্যাকশন বিবেচনায় নেওয়া হয়।
জরিপে শোভন কর্মসংস্থান চেয়েছে ২১ দশমিক ৫৭ শতাংশ মানুষ, ১৭ দশমিক ৫১ শতাংশ মানুষ মানসম্পন্ন শিক্ষা, ১২ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ মানুষ সামাজিক নিরাপত্তার চাহিদার কথা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন
৯ মে পর্যন্ত চলবে সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন
এতে আরও জানানো হয়, চর এলাকার ১৭ দশমিক ৬৭ শতাংশ মানুষ কর্মসংস্থান, ১৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ শিক্ষায় অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। শিশুদের মধ্যে ৬০ শতাংশ কর্মসংস্থান, হাওর এলাকার ৩৫ দশমিক ৭১ শতাংশ দ্রব্যমূল্যের দাম কমানো, বস্তি এলাকার ২৭ দশমিক ২৭ শতাংশ দ্রব্যমূল্যের দাম কমানো, নারীদের মধ্যে ২০ দশমিক ৩৫ শতাংশ নারীর ক্ষমতায়নের কথা বলেছেন। এসময় সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের বাজেট প্রত্যাশা তুলে ধরেন ড. দেবপ্রিয়।
বাজেট প্রস্তাবনায় সিপিডি করছাড়ের সুযোগ সীমিত করা, আমদানি বিধিনিষেধ অব্যাহত রাখা, দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে কৃষিখাতে বরাদ্দ বাড়ানো, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণসহ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে শুল্ক অব্যাহতি প্রদান, শিক্ষা-স্বাস্থ্য, জলবায়ু খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর কথা বলেছে।
সংলাপে বিভিন্ন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা তাদের বাজেট প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।
কেয়ারের পরিচালক টনি মাইকেল বলেন, সুপেয় পানি মানুষের মৌলিক চাহিদা। খুলনা, সাতক্ষীরা ও টেকনাফে পানিতে লবণাক্ততা বাড়ছে। নাগরিকদের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা উচিত রাষ্ট্রের। আমরা এখনো ইথওপিয়া কিংবা নাইজার হয়ে যাইনি যে, আমাদের মানুষকে খাবার পানি সংগ্রহ করতে ৫-৭ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হবে।
পরিবেশবিদ শরীফ জামিল বলেন, সরকারের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর সক্ষমতা বাড়ানো দরকার। পরিবেশ, বন কিংবা শিল্পের দিকে মনোযোগী হওয়ার দরকার। কিন্তু বাজেটে এসব মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ কমেছে। যখন দুর্যোগ আসবে তখন সেটা ম্যানেজ করতে হবে। যে কাজ আমরা করেছি তার অভিঘাত বুঝতে পারছি।
এসময় নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী আয়েশা বিনতে নুর জানায়, মোহাম্মদপুরে সরকারি স্কুলে শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো উপবৃত্তি পাচ্ছে না। সড়কে পানি জমে চলাচলে সমস্যা হয়, ইভটিজিংয়ের সমস্যাও রয়েছে।
এসএম/ইএ/জেআইএম