সিপিডি
ট্যানারি শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২২ হাজার ৭৭৬ টাকা করার প্রস্তাব
ট্যানারি শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২২ হাজার ৭৭৬ টাকা নির্ধারণ করার প্রস্তাব দিয়েছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
‘ট্যানারি শিল্পে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ ও বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক মিডিয়া ব্রিফিং ও আলোচনায় সভায় এ প্রস্তাব দেয় সিপিডি।
শনিবার (৪ মে) সকালে ধানমন্ডিতে সিপিডি কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
তবে সিপিডির প্রস্তাব অনুযায়ী, মজুরি বাস্তবায়ন সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ। তিনি বলেছেন, কাঁচামালের ও গ্যাসের মূল্য বাড়ায় এ খাতে মুনাফা কমেছে। পাশাপাশি সনদ না থাকায় ইউরোপে ভালো দামে চামড়া বিক্রি করতে পারছেন না তারা।
এই বিষয়ে ন্যূনতম মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লা বলেছেন, শিল্পের স্বার্থে মালিক এবং শ্রমিক উভয়ের কথা শুনে মজুরি চূড়ান্ত হবে। ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়নে বোর্ড আম্পায়ারের ভূমিকা থাকবে।
ট্যানারি মালিকরা চুক্তি অনুযায়ী, শ্রমিকদের জন্য আবাসন ও চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করেন না বলে জানিয়েছেন ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক।
শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি প্রস্তাবনায় সিপিডি আরও জানায়, শ্রমিকদের খাদ্যমূল্য ২০ হাজার ৫৬৪ ও নন-ফুড মূল্য ১২ হাজার ৮৮১ টাকা হিসেবে মাসে মোট ৩৩ হাজার ৪৪৫ টাকা প্রয়োজন। অ্যাংকর সিস্টেমে পরিবারের সদস্য সংখ্যা ও তাদের আয়কেও বিবেচনায় নেওয়া হয়। অর্থাৎ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের আয় ও বর্তমান বাজার বিবেচনায় নেওয়া হয়। সেই হিসেবে সিপিডি মনে করছে ন্যূনতম মজুরি হওয়া উচিত ২২ হাজার ৭৭৬ টাকা। একই সঙ্গে তাদের প্রস্তাব থাকবে গ্রেডিং সিস্টেম ঠিক করে একটি গ্রেডে আনা।
সিপিডির গবেষণায় উঠে এসেছে, ৬৯ শতাংশ ট্যানারি মালিক ২০১৮ সালের ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়ন করেন না।
সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, চামড়া শিল্পের শ্রমিকদের জন্য প্রথম মজুরি বোর্ড গঠিত হয় ১৯৭০ সালে, তখন ন্যূনতম মাসিক মজুরি ছিল ১১০ টাকা। এরপর ১৯৯৪ সালে এটা নির্ধারিত হয় ১৪৪০ টাকা, ২০১১ সালে ৮ হাজার ৭৫০ টাকা এবং সর্বশেষ ২০১৮ সালে সাড়ে ১৩ হাজার টাকা মজুরি ঠিক করা হয় শ্রমিকদের জন্য।
সিপিডির সিনিয়র গবেষক তামিম আহমেদ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আলোচনা সভায়।
এসএম/এসএনআর/এএসএম