জ্বালানি তেলের সঙ্গে গণপরিবহন ভাড়া সমন্বয়ের দাবি
দেশের বাজারে আরেক দফা কমেছে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম। গত মার্চ মাসে দুই দফা দাম কমানোর সঙ্গে গণপরিবহন ভাড়া সমন্বয় করার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজ।
সোমবার (১ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, যখনই জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি করা হয় সেটা হোক এক টাকা, দুই টাকা বা ১০ টাকা সঙ্গে সঙ্গেই সারাদেশে গণপরিবহন এবং দূরপাল্লার বাস বন্ধ করে দেওয়া হয় এমনকি প্রয়োজনীয় পণ্য বহনকারী ট্রাকও বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিআরটিএ এবং পরিবহন মন্ত্রণালয় সঙ্গে সঙ্গে ভাড়া সমন্বয় করার জন্য উঠেপড়ে লাগে। এভাবেই গত কয়েক বছর যাবত পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে।
কিন্তু জ্বালানির মূল্য কমানো হলো দুই দফায়, লিটার প্রতি প্রায় তিন টাকা ,কিন্তু এখন পর্যন্ত বিআরটিএ ,মন্ত্রণালয় বা মালিকপক্ষ ভাড়া সমন্বয় করা তো দূরে থাক ঈদকে সামনে রেখে এরই মধ্যেই তারা সর্বশেষ নির্ধারিত ভাড়া আদায় করছে। অনেক গণমাধ্যমে আজ সংবাদ পরিবেশিত হয়েছে যে দ্বিগুণ মূল্যে বিক্রি হচ্ছে ঈদ যাত্রার বাসের টিকিট।
এতে আরও বলা হয় নাগরিকরা দিন দিন পরিবহন সেক্টরের কাছে জিম্মি হয়ে পড়ছে। ভাড়া কমানোর বদলে আরও অধিক মূল্যে ভাড়া আদায় করা হচ্ছে বাড়ি ফেরা মানুষের কাছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং অপরাধজনক কর্মকাণ্ড। সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং তাদের অধীনস্থ বিআরটিএ এবং মালিকপক্ষকে ডেকে আজ ও কালকের মধ্যে ভাড়া নৈরাজ্য বন্ধ করে জ্বালানি তেলের দামের সঙ্গে সমন্বয় করে ভাড়া নির্ধারণ করতে হবে।
এনএইচ/এসএনআর/জেআইএম