সাগর-আকাশপথে শেনজেন অঞ্চলে যুক্ত হলো রোমানিয়া-বুলগেরিয়া
অবশেষে শেনজেন অঞ্চলে সমুদ্র বা আকাশপথে ভিসা ও পাসপোর্টহীন প্রবেশাধিকার পেলো পূর্ব ইউরোপীয় দেশ বুলগেরিয়া ও রোমানিয়া। অর্থাৎ এখন থেকে সমুদ্র বা আকাশপথে ভ্রমণের সময় ভিসা ছাড়াই এ দুটি দেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাকি দেশগুলোতে ভ্রমণ করা সম্ভব হবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদানের এক দশকেরও বেশি সময় পর রোববার (৩১ মার্চ) আংশিকভাবে ইইউর অন্য সদস্যদের সঙ্গে ভিসামুক্ত শেনজেন এলাকায় দেশ দুটিকে যুক্ত করা হলো।
বার্তা সংস্থা এএফপি ও ডয়েচে ভেলের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, অস্ট্রিয়ার ভেটোয় স্থল পথে এখনো শেনজেনে যুক্ত হতে পারেনি বুলগেরিয়া ও রোমানিয়া। কারণ হিসেবে অস্ট্রিয়ার দাবি, স্থলপথে এই দেশগুলো হয়ে ইউরোপীয় নন এমন অভিবাসীরা ইইউয়ের বাকি দেশগুলোতে সহজেই পৌঁছে যেতে পারবেন।
আরও পড়ুন:
- অবৈধ অভিবাসীদের ফেরাতে ঢাকার ওপর ইইউ’র চাপ, ভিসা কড়াকড়ির প্রস্তাব
- ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে অভিবাসী বহিষ্কার বেড়েছে
- রোমানিয়ায় অভিবাসী পাচারের অভিযোগে বাংলাদেশিসহ আটক ২১
- রোমানিয়া থেকে হাঙ্গেরি ঢোকার চেষ্টা, বাংলাদেশিসহ আটক ১০৭
তবে চলতি বছর শেষ হওয়ার আগেই শেনজেনের পুরো সদস্য হওয়ার আশা করছে দেশ দুটি। তারা ছাড়া ইইউভুক্ত বাকি সব দেশই শেনজেন অঞ্চলের সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে। এমনকি, তাদের পরে ইইউর সদস্য হওয়া ক্রোয়েশিয়াও গত বছরের জানুয়ারি থেকে শেনজেন অঞ্চলের পূর্ণ সদস্যপদ লাভ করেছে।
সাইপ্রাস ও আয়ারল্যান্ড ছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাকি ২৫টি দেশ ও ইইউর বাইরের চার দেশ সুইজারল্যান্ড, নরওয়ে, আইসল্যান্ড ও লিচেনস্টাইন শেনজেন অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত।
এ বিষয়ে রোমানিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কাতালিন প্রেতোইও বলেছেন, আমরা একাধিক কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে স্থল পথে শেনজেনে যোগদানের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।
জানা গেছে, রোমানিয়ার ট্রাকচালকরা স্থলপথে শেনজেনে যুক্ত হওয়ার জন্য দেশের সরকারকে চাপ দিচ্ছেন। কারণ, ট্রাক নিয়ে শেনজেনের অন্য দেশগুলোতে ঢুকতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয় তাদের।
আরও পড়ুন:
- শেনজেনভুক্ত হচ্ছে ক্রোয়েশিয়া, চালু করলো ইউরো মুদ্রা
- এক ভিসায় ঘোরা যাবে মধ্যপ্রাচ্যের ৬ দেশ
- যুক্তরাষ্ট্রসহ ৬০ দেশের জন্য ভিসামুক্ত ইউরোপ ভ্রমণের দিন শেষ!
রোমানিয়ার প্রধান রোড ট্রান্সপোর্ট ইউনিয়ন ইউএনটিআরআর’র সেক্রেটারি জেনারেল জানিয়েছেস, হাঙ্গেরি সীমান্তে ট্রাকচালকদের গড়ে ষোলো ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এর ফলে প্রতি বছর ব্যবসায়ীরা শত শত কোটি ইউরো হারাচ্ছেন।
বুলগেরিয়ান ব্যবসায়ীরাও স্থল পথে শেনজেনে যুক্ত হতে না পারায় হতাশা প্রকাশ করেছেন। বুলগেরিয়ান ইন্ডাস্ট্রিয়াল ক্যাপিটাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইসিএ) চেয়ারম্যান ভাসিল ভেলেভ বলেন, বুলগেরিয়ান পণ্যের মাত্র ৩ শতাংশ আকাশ ও সমুদ্রপথে পরিবহন করা হয়, বাকি ৯৭ শতাংশ স্থলপথে।
সূত্র: এএফপি
এসএএইচ