ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

ঈদবাজার

মৌচাক-আয়েশা-ফরচুনে বেড়েছে ক্রেতার আনাগোনা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১০:০২ পিএম, ১৫ মার্চ ২০২৪

মৌচাক-মালিবাগ এলাকার মার্কেটগুলোতে বেড়েছে ঈদকেন্দ্রিক বেচাকেনা। বাহারি ঈদ পোশাকের পসরা সাজিয়েছেন বিক্রেতারা। যানজট ও ভিড় থেকে বাঁচতে অনেকেই ঈদের কেনাকাটা শুরু করে দিয়েছেন। যদিও ঈদকে সামনে রেখে দোকানগুলোতে বেচাকেনা জমে উঠেনি। তবে ক্রেতার আনাগোনা বেড়েছে।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাজধানীর মৌচাক মার্কেট, আনারকলি মার্কেট, আয়েশা শপিং কমপ্লেক্স, সেন্টার পয়েন্ট ও ফরচুন শপিংমল ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।

সরেজমিনে এসব মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, ঈদকে সামনে রেখে নিত্য নতুন পোশাকের সমাহার দেখা গেছে দোকানগুলোতে। ঈদের জন্য সব বয়সী মানুষের পোশাকের পসরা সাজিয়েছেন তারা। মার্কেটগুলোতে বাহারি থ্রি-পিছ, শাড়ি, লেহেঙ্গা, সালোয়ার-কামিজ, গজ কাপড়, ওড়না-হিজাবের সঙ্গে ছেলেদের পাঞ্জাবি-পায়জামা, জিন্স প্যান্ট, শার্ট, টি-শার্ট ও বাচ্চাদের জামা-কাপড় রয়েছে। যদিও ঈদকে সামনে রেখে দোকানগুলোতে বেচাকেনা জমে উঠেনি। তবে ক্রেতার আনাগোনা বেড়েছে। এবার দোকানে প্রচুর নতুন পণ্য তুলেছেন ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এখন কিছু ক্রেতা আসছেন। অনেকে দেখে পছন্দ করে চলে যাচ্ছেন। কেউ কেউ এখনি ঈদের কেনাকাটা সেরে ফেলছেন।

মৌচাক মার্কেটের নবরূপ তাঁতঘরের ম্যানেজার আবুল কালাম জাগো নিউজকে বলেন, এবছর শাড়িতে কিছুটা দাম বেড়েছে। সৃজন এলেই পাইকারি ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দেন। আমাদেরও একটু বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।

বাদল শাড়ি বিতানের মানিক হোসেন বলেন, ঈদ উপলক্ষে বেচাকেনা শুরু হয়েছে। তবে ১০ রমজানের পর থেকে ক্রেতাদের ভিড় জমবে। এখন মানুষ কম আসছে। পণ্যের দাম বেশি থাকায় এবার সাধারণ ক্রেতা কম পাবো।

তিনি বলেন, এ বছর নতুন কোনো পোশাক না এলেও বরাবরের মতো এ মার্কেটগুলোতে দেশি থ্রি পিস, গজ কাপড়, ওড়না ও শাড়ির চাহিদা বেশি। অন্যদিকে, ছেলেদের পাঞ্জাবির জন্য বিখ্যাত আয়েশা শপিং কমপ্লেক্স। ছেলে-মেয়ে উভয়ের জন্য বিখ্যাত মৌচাক মোড়ের ফরচুন শপিংমল।

মৌচাক মার্কেটের খাজানা শাড়ির দোকানি ঝন্টু বলেন, কাপড়ের দাম খুব বেশি বাড়েনি। সুতির মধ্যে ৮০০ থেকে ৩৫০০ টাকায় শাড়ি রয়েছে। ব্রাইডাল ও পার্টি লেহেঙ্গা রয়েছে ৩ হাজার টাকা থেকে চল্লিশ হাজার টাকার মধ্যে। এছাড়া পার্টি শাড়িও রয়েছে।

ফরচুন শপিং মলের তৃতীয় তলার ‘মোর হাউজ ড্রেস’ দোকানে দেখা গেছে, মেয়েদের স্টাইলিস্ট পোশাক। এ বছরের নতুন সংযোগ আলিয়া বাট ড্রেস। এটি থ্রি-পিস পদ্ধতির। বিক্রি হচ্ছে ১২০০ থেকে ১৮০০ টাকায়। এছাড়া বিভিন্ন থ্রি-পিস, লেহেঙ্গা ও গ্রাউনের সমাহার রয়েছে।

আয়েশা শপিং কমপ্লেক্সে দেখা গেছে, দেশি ও বিদেশি কাপড়ের পাঞ্জাবির সমাহার। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ৩০০ থেকে ৭০০০ টাকা পর্যন্ত পাঞ্জাবি রয়েছে এখানে। এছাড়া এক দামের দোকান রয়েছে।

আনারকলি মার্কেটের নুশিন ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী মোস্তফা কামাল বলেন, যারা শেষের দিকে ভিড়ের মধ্যে আসতে চায় না, তারা এখন কেনাকাটা করছেন। এ বছর সুতা ও রঙের দাম বৃদ্ধির কারণে দাম বেড়েছে। এছাড়া বিদেশি কাপড় ও উচ্চমূল্যে আমদানি করতে হচ্ছে। তবে দাম স্বাভাবিক।

সেন্টার পয়েন্ট শপিং কমপ্লেক্সে কথা হয় রামপুরা বাসিন্দা নাজমা প্রীতির সঙ্গে। তিনি বলেন, মেয়েকে নিয়ে আসছি মার্কেটে। আমরা সব এ মৌচাক এলাকার মার্কেট থেকেই কেনাকাটা করি। যানজটের কারণে অন্য কোথাও যাওয়া হয় না। এবার পাকিস্তানি ও ইনডিয়ান থ্রি পিসের দাম কিছুটা বেশি।

আনারকলি মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিভোর চন্দ দে বলেন, এখন অনলাইনে বেচাকেনা বেড়েছে। অনেকে ভ্যাট-ট্যাক্স ছাড়াই বেচাকেনা করছেন। অন্যদিকে, প্রতি অলি-গলিতে মার্কেট। আগের মতো জমজমাট বেচাকেনা নেই। সাধারণ মানুষের হাতে টাকা-পয়সা নেই। তবে, আমরা আশা রাখছি, ঈদ ঘনিয়ে এলে বেচাকেনা বাড়বে।

আরএএস/এমএএইচ/এএসএম