‘ফিক্সড প্রাইজ’ শপে কাঁচাবাজারের চেয়ে দাম কম: প্রতিমন্ত্রী
‘ফিক্সড প্রাইজ’ শপগুলোতে পণ্যের দাম কাঁচাবাজারগুলোর চেয়ে তুলনামূলকভাবে কম বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস’ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ভোক্তা অধিদপ্তরের কাজ উপজেলা পর্যায়ে চলে গেছে। আমাদের নিয়ন্ত্রণে যে উদ্যোগগুলো সেগুলো নিয়ে ভোক্তা অধিদপ্তর কাজ করছে। আমার নিজের কাছেও অবাক লেগেছে যারা মধ্যবিত্ত বা উচ্চবিত্ত তাদের জন্য সুপার মার্কেট। কিন্তু সুপার মার্কেট অ্যাসোসিয়েশন আমাকে একটি চিঠি দিয়েছে রোজার মধ্যে কোন প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কত কমে বিক্রি করবে। এটা একটি উদাহরণ হতে পারে। আপনাদের (মিডিয়া) বলবো পণ্যের দাম সেটি হাইলাইট করতে, যেখানে পণ্যের দাম ফিক্সড করে দেওয়া আছে। মানুষের মুখের প্রাইজটা না নিয়ে যেটা ট্যাগে লাগানো আছে, সুপার মার্কেটে যেগুলো থাকে, সেটি হাইলাইট করলে মানুষও জানবে সুপার মার্কেটে তো এইটা (দাম), তাহলে কাঁচাবাজারে গিয়ে কেন এটা কিনবো? সুপার মার্কেটে যদি ২৯ টাকায় আলু থাকে তাহলে কেন আমি ৩৫ টাকায় দামাদামি করবো।’
‘অনেকে মনে করে দামাদামি করলে হয়তো দুই টাকা সাশ্রয় হবে, সেজন্যই মানুষ কাঁচাবাজারে যায়। তেলের দাম তারা আমাদের নির্ধারিত মূল্যের কমে বিক্রি করছে এবং অন্যান্য জিনিসও তারা চেষ্টা করছে।’ বলেন প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সুপার শপের অন্যান্য ইনসেনটিভগুলো নেন, প্রত্যেকটা রোজার পণ্য সুপারশপগুলোতে ফিক্সড প্রাইজ। সুপারশপ বলবো না, ফিক্সড প্রাইজ শপগুলোতে তুলনামূলকভাবে কাঁচাবাজারগুলোর চেয়ে কম। ঢাকার প্রত্যেকটা হোলসেল মার্কেট আমাদের নজরদারিতে। পাইকারি বিক্রেতাদের একটি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনতে হবে। তারা যেন ভাউচারগুলো দেয় যে, কত দামে তারা রিটেইলারের কাছে বা খুচরা বিক্রেতার কাছে দিল। আমরা যখন যাই খুচরা বিক্রেতাদের কাছে, এটি পাই না। কারণ তারা পাইকারি বাজারের আড়তদার থেকে নয়, পাইকারি বাজারের রাস্তা থেকে কিনছে। সেটাই আমি হাইলাইট করার চেষ্টা করেছিলাম। এগুলো অনুশাসনের মধ্যে আনতে হবে।’
আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘সাপ্লাই চেইনের মনিটরিংয়ে একটি সফটওয়্যার ডেভেলপ করার চেষ্টা করছি। যাতে আমরা সাপ্লাই চেইনটা মনিটরিং করতে পারি। এটা আমরা আগামীকাল উদ্বোধন করবো। আমাদের সাপ্লাই চেইন মনিটরিং করতে পারবো, কোথা থেকে কীভাবে পণ্য যাচ্ছে। কৃষক বেগুনের দাম পাচ্ছে ১০ টাকা। সেটি ঢাকায় এসে কত টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিপণন একটি আইনের আওতায় আছে, সেটি কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করে আমরা শক্তিশালী করবো। চালের ব্যাপারে তেমন অস্থিরতা নেই, যেহেতু কোনো নিউজ নেই।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য সাধারণ মানুষের স্বার্থ রক্ষা করা। ফিক্সড প্রাইজের যে দোকানগুলো থাকে সেখানে পণ্যের দামটা লেখা থাকে। কাঁচাবাজারে গেলে সে যেহেতু ব্যক্তি সে দামাদামি করে। যে দামটা সে চায় সেটিই প্রচার হচ্ছে। কিন্তু যে দামে বিক্রি হচ্ছে সেটি প্রচার হচ্ছে না। কাঁচাবাজারে কোনো ট্যাগ লাগানো থাকে না। আমার অনুরোধ কম্প্যারিজমটা করবেন। আমাদের কাছে কমিটমেন্ট আছে কে কতো দামে বিক্রি করবে।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সুপারশপগুলো কমিটেড তারা চিনি, তেল, ডাল ফিক্সড প্রাইজে বিক্রি করবে। আমার নির্দিষ্ট মূল্যে তারা বিক্রি করছে। আমি চাই এর চেয়ে কম দামে কাঁচাবাজারে বিক্রি হোক। কারণ সেখানে এসির খরচ নেই।’
আইএইচআর/ইএ/জিকেএস