ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

পোশাক খাতের কিছু হলে দেশের অবস্থা অ্যাঙ্গোলার মতো হবে: দেবপ্রিয়

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৮:৪৯ পিএম, ১১ মার্চ ২০২৪

পোশাক খাতের কিছু হলে দেশের অবস্থা আফ্রিকার যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ অ্যাঙ্গোলার মতো হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

এ জন্য পোশাক খাত থেকে নির্ভরতা কমিয়ে পণ্য বৈ-চিত্রকরণ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত হওয়া বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার ১৩তম মিনিস্টিরিয়াল সম্মেলনে বাংলাদেশে অবস্থান ও প্রাপ্তি বিষয়ক ডায়ালগে তিনি এ আহ্বান জানান।

সোমবার (১১ মার্চ) বিকেলে সিরডাপ মিলনায়তনে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডি ও ফ্রেডরিখ ইবার্ট স্টিফটাং (এফইএফ) যৌথভাবে এ ডায়ালগের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু ও বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ উপস্থিত ছিলেন। এতে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘এক পণ্যের ওপর নির্ভরশীল হলে অবস্থা আফ্রিকার যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ অ্যাঙ্গোলার মতো হবে। তাদের জ্বালানি তেল ছিল। যখন জ্বালানি তেলের দাম পড়ে গেলো, তারাও পড়ে গেলো। পোশাক খাতের যদি কিছু হয় আমাদের অবস্থাও তাদের মতো হবে। এ শিক্ষাটা আমাদের নিতে হবে। আমাদের পণ্য বৈ-চিত্রকরণ করতে হবে, উৎপাদন বাড়াতে হবে।

এলডিসি থেকে উত্তরণের পর আরও ৩ বছর বাংলাদেশ নানা সহায়তা পাবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা তিনটি বছর পেয়েছি, সেটা যদি সঠিকভাবে কাজে লাগাতে না পারি তাহলে এর কোনো মূল্য থাকবে না। পোশাক খাতের নির্ভরতা থেকে বের হয়ে এসে বিকশিত ও বহুমুখী অর্থনীতিতে প্রবেশ করতে হবে। সেখানে যেতে হলে শ্রমিকের উৎপাদনশীলতা, দক্ষতা ও অর্থায়ন বাড়াতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী রপ্তানি বৈচিত্রকরণে জোর দিতে বলেছেন জানিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন- চামড়া, পাট ও ওষুধ- এ তিন পণ্যে আমরা জোর দিচ্ছি। হস্তশিল্পকে বর্ষপণ্য হিসেবে ঘোষণা করেছি। হস্তশিল্প থেকে হয়তো বিলিয়ন ডলার আসবে। তবে এটা অনেক কর্মসংস্থান তৈরি করবে।

তিনি বলেন, সম্মেলনে ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে উত্তরণের পর আরও তিন বছর প্রযুক্তিগত ও সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি পেয়েছি। এটাকে নিয়ে আমাদের এখন কাজ করতে হবে। আমরা রপ্তানি বৈচিত্রকরণের প্রস্তুতি নিচ্ছি।

এসএম/এমএএইচ/এএসএম