ভোক্তার ডিজি
ইভ্যালির টাকা গ্রাহক ফিরে পাক একটি পক্ষ চায় না!
‘ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির টাকা গ্রাহক ফিরে পাক একটি পক্ষ সেটি চায় না’ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কার্যালয়ে গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়ার কার্যক্রম অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।
একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ বিষয়ে ভোক্তার মহাপরিচালক বলেন, আমি সরকারি চাকরি করি। আমরা একটি সুন্দর পরিবেশ তৈরি করেছি ইভ্যালি থেকে যাতে গ্রাহক টাকা ফেরত পায়। এরই মধ্যে প্রথম ধাপে ১৫০ জন এবং আজ আরও ১০০ জন গ্রাহক টাকা ফেরত পেয়েছেন। আমাদের কাছে সাড়ে ৭ হাজার অভিযোগ রয়েছে একে একে সবাই পাবেন। তবে, কাজে স্পৃহা কমিয়ে দেয় নেতিবাচক কিছু সংবাদ।
তিনি বলেন, একটি সাংবাদিক কমিউনিটির অনুষ্ঠানে আমাকে প্রধান অতিথি করা হলো, একই অনুষ্ঠানে ইভ্যালির রাসেলও ছিলেন। পরদিন নিউজ হলো একই অনুষ্ঠানে পরোয়াভুক্ত রাসেলের সঙ্গে ভোক্তার ডিজি। অথচ রাসেল আমাদের কাছে কমিটমেন্ট যে তিনি গ্রাহকের টাকা ফেরত দেবেন। আমরা অভিযোগ নিষ্পত্তির সাপেক্ষে টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করছি। আজও রাসেল সাহেবের এ অনুষ্ঠানে আসার কথা কিন্তু তাকে আসতে না করেছি। কারণ তিনি এলে হয়তো অন্য কেউ সংবাদ করবে একই অনুষ্ঠানে পরোয়ানাভুক্ত আসামির সঙ্গে ভোক্তার ডিজি।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, তাহলে কি একটি পক্ষ চায় না যে গ্রাহক ইভ্যালি থেকে টাকা ফেরত পাক। কার স্বার্থে এমনটা করছেন? আমাদের এখন ভাবতে হবে যে সাড়ে ৭ হাজার অভিযোগ নিষ্পত্তি করবো কি না। আমি সরকারি চাকরি করি, এখনতো নিষ্পত্তি করতে হলে আমাদের আদালত থেকে গঠন করা কমিটিকে অবহিত করতে হবে। রাসেল ২৭ মাস জেলে ছিলেন তখন কেউ টাকা ফিরে পায়নি। জেল থেকে বের হয়েতো তিনি টাকা ফিরত দিচ্ছেন, আমরা অভিযোগ নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করছি। এরই মধ্যে দুই কিস্তিতে ২৫০ জন গ্রাহক ২৫ লাখ টাকা ফিরে পেলেন।
আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে পাওনা টাকা ফেরত পেয়েছেন ইভ্যালির আর ১০০ গ্রাহক। ভোক্তার ডিজি গ্রাহকদের হাতে এসব পাওনা টাকার চেক তুলে দেন। এর আগে গত মাসে ফেব্রুয়ারির শুরুতে ১৫০ গ্রাহক টাকা ফেরত পেয়েছিলেন অধিদপ্তরের নিষ্পত্তির মাধ্যমে।
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি থেকে অর্ডার করে পণ্য না পেয়ে যারা জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করেছিলেন এমন গ্রাহকরাই দ্বিতীয়বারেরর মতো টাকা ফেরত পেয়েছেন। অধিদপ্তরে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার অভিযোগ রয়েছে।
ইএআর/এমএএইচ/এমএস