ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

‘দৈনিক তারল্য সুবিধা বন্ধ হচ্ছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৩:২৯ এএম, ০৫ মার্চ ২০২৪

নগদ অর্থের প্রবাহ কমাতে ব্যাংক ও নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানেগুলোকে (এনবিএফআই) দৈনিক চাহিদা অনুযায়ী তারল্য সহায়তা দেওয়া থেকে সরে আসছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত রীতি অনুযায়ী সপ্তাহের যে কোনো একদিন নিলামের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে তারল্য সুবিধা দিতে নীতিমালা প্রণয়নে কাজ শুরু করেছে।

কেন্দ্রীয় পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে সোমবার ও বুধবারের যেকোনো একদিন নিলামের মাধ্যমে ধারের প্রস্তাব করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) সংস্থার শর্ত বাস্তবায়নে এটি করা হচ্ছে। আর নতুন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য ব্যাংক ও এনবিএফআইয়ের ট্রেজারি বিভাগের প্রধান কর্মকর্তাদের সঙ্গে সোমবার প্রথম বৈঠক করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নতুন পদ্ধতিটি আগামী অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে চালু হচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের একাধিক সূত্র জানায়, ঘোষিত সংকোচনমূলক মুদ্রানীতির পরেও পণ্যের মূল্য বেড়েই যাচ্ছে। গত জানুয়ারি মাসে মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে। নগদ অর্থের যোগান কমাতে বাংলাদশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে রিপোর (নীতি সুদহার) মাধ্যমে প্রতিদিন নগদ অর্থ সহায়তা বন্ধ করে দিচ্ছে।

সপ্তাহের সোম বা বুধবারের মধ্যে যে কোনো একদিন এসব প্রতিষ্ঠানকে অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে। তবে আগের মতোই আন্ত: ব্যাংক রিপোতে ধার, স্ট্যান্ডিং লেন্ডিং ফ্যাসিলিটি (এসএলএফ), লিকুইডিটি সাপোর্ট সুবিধা (এলএসএফ) ও ইসলামিক ব্যাংকস লিকিউডিটি ফ্যাসিলিটি (আইবিএলএফ) প্রভৃতি ধার নেওয়া যাবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক ঊর্ধতন কর্মকর্তা এ বিষয়ে জানান, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল সংস্থার শর্তে নতুন নিয়মে বাজারের অর্থের প্রবাহ কমাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অর্থের যোগান কমাতে চায়। এক দিন, ৭ দিন এবং ১৪ দিন মেয়াদি ধারের সুদহার বেশি হওয়ায় অনেক ব্যাংকে বেশি সুদ দিতে হয়। এ প্রথা চালু হলে কম তারল্য সুবিধা নিবে যেটি বাজারে নগদ টাকার সরবরাহ কমাতে সহায়ক হবে।

বেসরকারি এক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ বিষয়ে জানান, তারল্য ব্যবস্থাপনা একটি কঠিন ইস্যু। নগদ টাকার চাহিদা বাড়লে ধার করা হয়। মূলত আন্ত; ব্যাংকে বেশি লেনদেন হয় এটি যার বড় ভরসা কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এটা প্রতিদিন না হোক সপ্তাহে একদিন হলেও চলবে। অনেক ব্যাংক আবার ধার করে না। মানি মার্কেটের জন্য এটা নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি হবে।

ইএআর/এমআইএইচএস