ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

শুল্কছাড়

এখনো ঊর্ধ্বমুখী চিনি-খেজুরের দাম, কমেছে শুধু তেলের

নাজমুল হুসাইন | প্রকাশিত: ০৮:৪৪ পিএম, ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

রমজান মাস এলেই অস্থির হয়ে ওঠে দেশের নিত্যপণ্যের বাজার। কয়েক বছর ধরে চলে আসছে এ সংস্কৃতি। ব্যবসায়ীরা এখন দু-এক মাস আগেই দাম বাড়াতে শুরু করেন। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার এবার আগেভাগেই চিনি, খেজুরসহ চার পণ্যে শুল্ক-কর ছাড়ের ঘোষণা দেয়। তেল ছাড়া এতেও কমেনি পণ্যগুলোর দাম। বরং উল্টো আছে বাড়তি প্রবণতায়। তবে স্থিতিশীল চালের দাম।

ওই চার পণ্য ছাড়াও এখন বাজারে মসলা, গরুর মাংস, মসুর ডাল, অ্যাংকর ডাল, খেসারির ডাল, ছোলা ও পেঁয়াজের দামও বাড়তি। ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ আসবে রোজার আগেই। তবু রোজায় দাম কমা নিয়ে শঙ্কায় ভোক্তারা।

শুল্ক-কর ছাড়ের পরেও পণ্যের দাম কেন কমছে না- এ নিয়ে ব্যবসায়ীদের যুক্তির শেষ নেই। অধিকাংশ ব্যবসায়ী বলছেন, অপর্যাপ্ত ছাড়ের কারণে আমদানি শুল্ক কমিয়ে আনা সত্ত্বেও এখনো বাজারে কোনো প্রভাব পড়েনি। এছাড়া এমন সময়ে এসব নিত্যপণ্যে ছাড় দেওয়া হয়েছে, যখন বাজারে রমজানের অধিকাংশ পণ্য আমদানি হয়েছে। এছাড়া এমন পরিস্থিতিতে যে পরিমাণ শুল্ক ও করছাড় দেওয়া হয়েছে তা ‘যথেষ্ট নয়’। যে কারণে শুল্কছাড়ের পরেও প্রায় তিন সপ্তাহে বাজারে এসব পণ্যের দাম না কমে বরং ঊর্ধ্বমুখী।

গত ২৯ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দেওয়ার পর ৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আলাদা প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এসব পণ্য আমদানিতে শুল্ক-কর কমানোর ঘোষণা দেয়। এতে সিদ্ধ ও আতপ চালের ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক পুরোপুরি তুলে নেওয়া হয়। একই সঙ্গে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক বা রেগুলেটরি ডিউটি ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে করা হয় ৫ শতাংশ। এছাড়া স্থানীয় পর্যায়ে পরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেলের উৎপাদন এবং ব্যবসা পর্যায়ে ভ্যাট পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হয়েছে। বিদেশ থেকে পরিশোধিত-অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেল আমদানিতে ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে করা হয়েছে ১০ শতাংশ।

রমজানে ভোজ্যতেলে স্বস্তি পাবেন ক্রেতারা। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১০ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। নতুন দাম আগামীকাল (১ মার্চ) থেকে কার্যকর হবে। এরই মধ্যে বাজারে খুচরায় তেলের দাম কিছুটা কমেছে।- টি কে গ্রুপের পরিচালক শফিউল আতহার

প্রতি টন অপরিশোধিত চিনি আমদানিতে শুল্ক দেড় হাজার টাকা থেকে কমিয়ে করা হয়েছে এক হাজার টাকা। পরিশোধিত চিনি আমদানিতে প্রতি টনে আমদানি শুল্ক তিন হাজার থেকে কমিয়ে করা হয়েছে দুই হাজার টাকা। খেজুরের আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে করা হয়েছে ১৫ শতাংশ।

এখনো ঊর্ধ্বমুখী চিনি-খেজুরের দাম, কমেছে শুধু তেলের

এ শুল্ক-কর ছাড়ে পণ্যের দাম কতটুকু কমবে সে বিষয়ে বিশ্লেষণ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি)। সেখানে দেখা যায়, অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের আমদানি ব্যয় লিটারে ৫ টাকা, পাম তেলে প্রায় সাড়ে ৪ টাকা, চিনিতে কেজিপ্রতি ৫৫ পয়সা এবং খেজুরে মানভেদে ১৩ থেকে ৩৩ টাকা খরচ কমার কথা।

কমেছে শুধু ভোজ্যতেলের দাম
শুল্ক-কর ছাড়ের পর এখন পর্যন্ত কেজিতে ৫ টাকা কমেছে সয়াবিন তেলের দাম। যদিও এই সময়ের ব্যবধানে আমদানি ব্যয় কমার পাশাপাশি বিশ্ববাজারে ভোজ্যতেলের দাম বেশ কমেছে। যে কারণে কোম্পানিগুলো জানিয়েছে, মার্চের শুরু থেকে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ১০ টাকা কমানো হচ্ছে। ওই সময় খোলা তেলের দাম আরও কিছুটা কমবে।

আরও পড়ুন
চার নিত্যপণ্যে শুল্কছাড়ের পরও ঊর্ধ্বমুখী দাম
চিনিতে শুল্কছাড়ের সাড়ে ৪৪ কোটি টাকা ৫ মিলার আমদানিকারকের পকেটে!

দাম প্রসঙ্গে ভোজ্যতেল বিপণনকারী কোম্পানি টি কে গ্রুপের পরিচালক শফিউল আতহার জাগো নিউজকে বলেন, ‘রমজানে ভোজ্যতেলে স্বস্তি পাবেন ক্রেতারা। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১০ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। নতুন দাম আগামীকাল (১ মার্চ) থেকে কার্যকর হবে। এরই মধ্যে বাজারে খুচরায় তেলের দাম কিছুটা কমেছে।’

এখন বাজারে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহের চেয়ে ৫ টাকা কম। এছাড়া বোতলজাত তেল বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ থেকে ১৭২ টাকা। তবে বাজারে পাম তেলের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতি কেজি পাম তেল ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা ও পাম সুপার ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চিনির শুল্ক কমেছে অতি সামান্য, দামে প্রভাব নেই
গত একবছর আগে প্রতি কেজি চিনির দাম ছিল ৯৬ থেকে ১০০ টাকা, যা এখন ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রায় চার মাস ধরেই দেশে চিনির বাজার অস্থির। অনেক দোকানে এখনো খোলা চিনি পাওয়া যাচ্ছে না। কোথাও আবার প্যাকেটজাত চিনিও নেই। কোম্পানিগুলোকে তাগাদা দিয়েও মিলছে না এ নিত্যপণ্য।

সব মিলিয়ে প্রতি কেজি চিনি ভোক্তার হাতে যাওয়া পর্যন্ত মোট কর আরোপিত হয় ৬০ শতাংশের ওপর। অর্থাৎ টাকার অংকে যা ৪০ থেকে ৪২ টাকা। সেখানে ৫৫ পয়সা শুল্ক কীভাবে কমানো হলো। এটা খুব কম।- চিনি ব্যবসায়ী গোলাম মাওলা

এ পরিস্থিতিতে সবচেয়ে কম শুল্কছাড় দেওয়া হয়েছে চিনিতে। মানে কেজিতে ৫৫ পয়সা শুল্ক কমবে এ পণ্যে। এসব বিষয়ে ভোগ্যপণ্য বিক্রেতাদের সংগঠন মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও চিনি ব্যবসায়ী গোলাম মাওলা জাগো নিউজকে বলেন, ‘সব মিলিয়ে প্রতি কেজি চিনি ভোক্তার হাতে যাওয়া পর্যন্ত মোট কর আরোপিত হয় ৬০ শতাংশের ওপর। অর্থাৎ টাকার অংকে যা ৪০ থেকে ৪২ টাকা। সেখানে ৫৫ পয়সা শুল্ক কীভাবে কমানো হলো। এটা খুব কম।’

তিনি বলেন, ‘যেভাবে ডলারের রেট ও আমদানির ক্ষেত্রে জাহাজ ভাড়া বাড়ছে তাতে এ শুল্কছাড় কোনো কাজে আসবে না। বরং গত কয়েকদিন চিনির বাজার আরও বাড়তি প্রবণতায় রয়েছে।’

দেশে চাহিদার তুলনায় চিনি উৎপাদন হয় কমবেশি এক শতাংশ। এখন স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয় কমবেশি ৩০ হাজার টন চিনি। আমদানি হয় ২২ থেকে ২৪ লাখ টন, যা দিয়ে দেশের চাহিদা মেটে।

শুল্ক কমালেও দফায় দফায় বাড়ছে খেজুরের দাম
আমদানি শুল্ক কমানো পরও কমছে না খেজুরের দাম, বরং বাড়ছে। গত বছরের তুলনায় বর্তমানে দেশের বাজারে খেজুরের দাম মানভেদে বেড়েছে ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ।

এখনো ঊর্ধ্বমুখী চিনি-খেজুরের দাম, কমেছে শুধু তেলের

রাজধানীর বেশ কয়েকটি পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, সৌদি আরবের মেডজুল, মাবরুম, আজওয়া ও মরিয়ম খেজুরের দাম গত এক মাসের ব্যবধানে কেজিতে বেড়েছে ২শ থেকে ৩শ টাকা। জাম্বো মেডজুল মানভেদে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৬শ থেকে এক হাজার ৮শ টাকা। সাধারণ মেডজুল এক হাজার ২শ ৫০ থেকে এক হাজার ৪শ, মাবরুম খেজুর এক হাজার ১শ থেকে এক হাজার ৫শ, আজওয়া খেজুর মানভেদে ৯শ থেকে এক হাজার ৩শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সবচেয়ে ভালো মানের মরিয়ম খেজুর বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৯শ থেকে এক হাজার ১শ টাকায়। এছাড়া কালমি মরিয়ম ৮শ থেকে ৯শ টাকা, সুফরি মরিয়ম ৭৫০ থেকে ৮শ, আম্বার ও সাফাভি ৯শ থেকে এক হাজার ২শ ও সুক্কারি খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৮শ থেকে ৯শ টাকায়।

তবে পাড়া মহল্লার বাজার ও দোকানে এসব দামি খেজুর বিক্রি হচ্ছে আরও ৫০ থেকে ২শ টাকা বেশি দামে। সাধারণ মানের খেজুরের মধ্যে খুচরায় বর্তমানে প্রতি কেজি গলা বা বাংলা খেজুর বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা, জাহিদি খেজুর ৩শ থেকে ৩২০ ও মানভেদে দাবাস খেজুর ৪৫০ থেকে ৫৫০ টাকায়। এছাড়া বরই খেজুর মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৪৪০ থেকে ৫৪০ টাকায়।

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বর্তমানে খেজুরের শুল্কায়ন মূল্য প্রতি টন এক হাজার থেকে ২ হাজার ৭৫০ ডলার। এর সঙ্গে কাস্টম ডিউটি ১৫ শতাংশ, রেগুলেটরি ডিউটি ৩ শতাংশ ও ভ্যাট ১৫ শতাংশ। পাশাপাশি অগ্রিম আয়কর ও অগ্রিম কর ৫ শতাংশ হারে দিতে হচ্ছে। এতে বর্তমানে মোট ৪৩ শতাংশ শুল্ক দিতে হচ্ছে। ফলে শুল্ক ১০ শতাংশ কমানোর পরও খুচরা বাজারে দামে খুব একটা প্রভাব ফেলছে না।

ব্যবসায়ীরা জানান, গত রোজার আগে মানভেদে প্রতি কেজি খেজুরে শুল্ক দিতে হতো ৫ টাকা ৪৫ পয়সা থেকে ২১ টাকা ৮৪ পয়সা। এবার সে শুল্ক দাঁড়িয়েছে ৫৪ থেকে ২০৮ টাকা। মূলত শুল্কের প্রভাব পড়েছে খেজুরের দামে।

পাইকারি ও ট্রেডিং প্রতিষ্ঠানের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, বর্তমানে প্রতি ৫ কেজির এক কার্টন মেডজুল খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৬ হাজার টাকায়। গত বছর এ খেজুর বিক্রি হয় ৩ হাজার ৫শ থেকে ৩ হাজার ৮শ টাকায়। সাধারণ খোলা খেজুর ফেব্রুয়ারির শুরুতে কেজিপ্রতি পাইকারি দাম ছিল ১২৮ থেকে ১৩০ টাকা। বর্তমানে দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায়।

বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘প্রতি কেজি খেজুর ১১০ টাকায় কিনলে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা শুল্ক দিতে হয়। ১২০ টাকায় কিনলে শুল্ক দিতে হয় ২০৮ টাকা। গত বছর ৯০ টাকায় ডলার কিনতে পারতাম। এবছর ১২০ থেকে ১২২ টাকা দিতে হচ্ছে। কাস্টম থেকে অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু ইচ্ছামতো করা হচ্ছে। এলসি যে মূল্যে খুলছি সে অনুযায়ী শুল্ক নির্ধারণ হলে খেজুরের দাম অর্ধেকে নেমে আসে। কিন্তু সেটা করা হচ্ছে না। এ কারণে বন্দর থেকে অনেক খেজুর খালাস করছেন না ব্যবসায়ীরা।’

চাল আমদানি হচ্ছে না, বাড়তি সতর্কতার জন্য শুল্কছাড়
চালের ক্ষেত্রে এ শুল্কছাড় কোনো কাজে আসবে না এখন। কারণ দেশে এখন চাল আমদানির কোনো প্রয়োজন নেই। বরং ভরা মৌসুম চলছে। সরকারের কাছেও মজুত রয়েছে পর্যাপ্ত।

খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, দেশে বর্তমানে ১৮ লাখ টন চাল মজুত আছে, যা চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত। আসছে রোজার মাসে বাজারে চালের কোনো সরবরাহ সংকট হবে না।

এমন পরিস্থিতিতে শেষ প্রায় এক বছর চাল আমদানি করছেন না ব্যবসায়ীরা। বরং বিশ্ববাজারে চালের দাম বাংলাদেশের চেয়ে অনেক বেশি।

এসব বিষয়ে দেশের অন্যতম চাল আমদানিকারক শামসুল হক জাগো নিউজকে বলেন, ‘চাল এখন আমদানিই হচ্ছে না। তাহলে শুল্কছাড় দিয়ে লাভ কী? এমনকি শূন্য শুল্ক করে দিলেও এখন কেউ চাল আমদানি করবে না। কারণ বর্তমানে বিশ্ববাজারে চালের দাম ১৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। শুল্কছাড়ের পরও প্রতি কেজি চাল ৬০ টাকার বেশি হবে। সবচেয়ে কম দামের চালের আমদানি খরচ এখন প্রতি টন ৫৫০ মার্কিন ডলারের বেশি। এ চাল এনে দেশের বাজারে লোকসান দিয়ে বিক্রি করতে হবে।

সরকারি পদক্ষেপের সুফল কম
সরকারি এ শুল্ক-কর ছাড়ের পদক্ষেপের পাশাপাশি বাজারে অভিযান ও মন্ত্রীদের হুঁশিয়ারির প্রভাব বাজারে খুব একটা পড়ছে না। এসব শুল্ক-কর ছাড়ের পণ্য ছাড়াও বাজারে এখন মসলা, গরুর মাংস, মসুর ডাল, অ্যাংকর ডাল, খেসারির ডাল, ছোলা ও পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। ফলে রোজায় দাম কমা নিয়েও শঙ্কায় ভোক্তারা।

দেশে মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে রমজান মাস শুরু হচ্ছে। পাইকারি বাজারে রোজার পণ্যের কেনাবেচা এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। সেখান থেকে কম দামে কিনতে পারলে খুচরায় দাম কমানোর সুযোগ থাকে। তবে এখনো বাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা থাকায় রোজায় কম দামে পণ্য পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা শুরু হয়েছে।

এসব বিষয়ে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী জাগো নিউজকে বলেন, ‘সরকারের প্রচেষ্টা থাকলেও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও মজুতদারের জন্য সুফল পাচ্ছে না জনগণ। অসাধু কোনো ব্যবসায়ীর পক্ষে এফবিসিসিআই নেই। তাদের বিরুদ্ধে সব সময় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এবার রোজায় এফবিসিসিআইয়ের পক্ষে বাজার মনিটরিং করা হবে। এতে কোনো অনিয়ম পাওয়া গেলে সে ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

এনএইচ/এএসএ/এমএস