ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

সোনালী ব্যাংককে এজেন্টদের আলটিমেটাম

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০১:২২ পিএম, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দুই বছরেও এজেন্ডদের সুযোগ-সুবিধা দেয়নি সোনালী ব্যাংক। রাষ্ট্র মালিকানাধীন সবচেয়ে বড় এ ব্যাংকটির সার্ভার ঠিকমতো কাজ না করায় সেবা প্রদানে সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে এজেন্টদের। আগামী ১৫ কার্য দিবসের মধ্যে এসব সমস্যার সমাধান না করলে সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ঘেরাও করার ঘোষণা দিয়েছে সোনালী এজেন্ট ব্যাংকিং অ্যাসোসিয়েশন (সাবা)।

সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন থেকে এ ঘোষণা দেন সাবার সভাপতি যতীন্দ্রনাথ বিশ্বাস। এসময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহাব বাবু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নেয়ামতুল্লাহ, উপদেষ্টা নেয়ামুল আহসান পামেলাসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।

সাবার সভাপতি যতীন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন, সোনালী ব্যাংক আমাদের নিয়োগ দেওয়ার সময় যেসব সরঞ্জামাদি দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল তার দুই বছর হয়েছে, অথচ তার কিছুই বাস্তবায়ন করেনি। সব সময় ব্যাংকের সার্ভার ডাউন থাকে। সার্ভার ঠিকমতো কাজ না করায় আমরা সেবা-প্রদান করতে পারছি না। নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। গ্রাহক আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠছেন। এ পরিস্থিতিতে আমরা সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান, এমডিসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বারবার দেখা করেও সমাধান পায়নি। প্রতিবারই তারা আমাদের আশ্বাস দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে। সমাধান না হওয়ায় বাধ্য হয়ে আমরা আন্দোলনে এসেছি।

সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহাব বাবু বলেন, তিন থেকে চার মাসের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সব ধরনের কার্যক্রমই পরিচালনা করেছে। আমাদের ১ হাজার ২০০ এজেন্ট থেকে ৪৭৮ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনো নোটিশ ছাড়াই সেখান থেকে মাত্র ২২৭ জনকে রেখে বাকিদের বাদ দেওয়া হয়। প্রতিবাদ যেন না হয় এজন্য আমাদেরকে প্রধান কার্যালয়ে ডেকে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করা হয়। ওই চুক্তিপত্র আমাদেরকে পড়ে দেখতে দেওয়া হয়নি। জোর করে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করানো হয়। পরে জানতে পারি সার্কুলারে যেই কমিশনসহ সুযোগ-সুবিধার কথা উল্লেখ ছিল চুক্তিপত্রে কৌশলে সেগুলো কমানো হয়।

তিনি বলেন, তবুও কাজ শুরু করি। সার্ভার জটিলতা দুই বছর শেষ হয়ে যাওয়ার পরও আমাদের চুক্তি অনুযায়ী কমিশন সমন্বয় না করায় পথে বসতে চলেছি। আমরা সোনালী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং সারা দেশের ছড়িয়ে দিতে চেয়েছিলাম। সরঞ্জাম বিতরণে দুর্নীতি, সার্ভার জটিলতাসহ নানা কারণে আমাদের আর্থিক ও সম্মান নষ্ট হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে দ্রুত এসব সমস্যার সমাধান চাই আমরা। সমস্যা সমাধান করা সম্ভব না হয় তাহলে আমাদেরকে এজেন্ট ব্যাংকিং থেকে বাদ দেওয়া হোক। দুই বছরে আমাদের যেসব আর্থিক ক্ষতি হয়েছে সেগুলো ফেরত দিতে হবে।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নেয়ামতুল্লাহ বলেন, সমন্বয়হীনতা, সার্ভার জটিলতা ও সরঞ্জাম বিতরণে ব্যাপক দুর্নীতির কারণে প্রতিজন এজেন্ট এরই মধ্যে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। যত দিন যাচ্ছে ক্ষতির মাত্রাও বাড়ছে। সার্ভার সমস্যার কারণে আমরা সেবা দিতে গিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছি। এ পরিস্থিতিতে সব সমস্যার সমাধান চাই।

ইএআর/এসএনআর/জিকেএস