ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

বাণিজ্যমেলায় তার্কিশ প্যাভিলিয়নে ক্রেতার চেয়ে দর্শনার্থী বেশি

উপজেলা প্রতিনিধি | সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) | প্রকাশিত: ০৮:৩৯ এএম, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

শেষ সময়ে ক্রেতা-দর্শনার্থীর চাপ বেড়েছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার ২৮তম আসরে। অন্যান্যবারের মতো এবারও দেশি-বিদেশি অসংখ্য স্টল-প্যাভিলিয়নে নানা পণ্য শোভা পেয়েছে। যেসব পণ্যে রয়েছে বিভিন্ন মূল্যছাড়। এর মধ্যে মেলায় আগত ক্রেতা-দর্শনার্থীরা বেশি ভিড় করছেন তার্কিশ প্যাভিলিয়নে। তবে এই প্যাভিলিয়নটিতে ক্রেতার চেয়ে দর্শনার্থী বেশি দেখা গেছে।

রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার তার্কিশ প্যাভিলিয়নে সরেজমিনে এমনই চিত্র লক্ষ্য করা যায়।

বাণিজ্যমেলায় তার্কিশ প্যাভিলিয়নে ক্রেতার চেয়ে দর্শনার্থী বেশি

জানা যায়, মেলা উপলক্ষে তার্কিশ প্যাভিলিয়নের বিভিন্ন পণ্যে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় চলছে। এগুলোর মধ্যে ছাড় দিয়ে ওয়াল হ্যাঙ্গিং ৩০০ টাকা থেকে সাড়ে ৬ হাজার টাকা, সিরামিক পণ্য ৫০০ টাকা থেকে ৯ হাজার টাকা, ঝাড়বাতি ২ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ২ লাখ টাকা, কপারের তৈরি পণ্য ৭০০ টাকা থেকে ৪ হাজার ৫০০ টাকা, লেদারের ব্যাগ ৫০০ টাকা থেকে ৬ হাজার ৫০০ টাকা, ক্রিস্টাল গ্লাসের সার্ভিসিং বল ২ হাজার টাকা থেকে ৮ হাজার টাকা, তুর্কি মেলামাইনের পণ্য ৪০০ টাকা থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

স্ত্রীকে নিয়ে সোনারগাঁ থেকে মেলায় এসেছেন রিয়াজুল হাসান। তার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, অন্যসব প্যাভিলিয়নের তুলনায় এটি সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। এখানকার ঝাড়বাতিগুলো খুব সুন্দর। আমার স্ত্রী কয়েকটা পছন্দ করেছে। তবে দাম বেশি হওয়ায় একটা কিনে নিলাম।

বাণিজ্যমেলায় তার্কিশ প্যাভিলিয়নে ক্রেতার চেয়ে দর্শনার্থী বেশি

শ্রাবণ মুন্সী নামের আরেক দর্শনার্থী বলেন, এখানকার প্রত্যেকটি পণ্যের দাম বেশি। তবে দেখতে খুব আকর্ষণীয়। কেনার সামর্থ্য নেই, তাই ছবি তুলেই চলে যাচ্ছি।

প্যাভিলিয়ন ইনচার্জ নাসির হোসেন বলেন, আমাদের প্যাভিলিয়নের প্রত্যেকটি পণ্য তুরস্কের। তাই দাম একটু বেশি। তবে আমরা মেলা উপলক্ষে প্রত্যেকটি পণ্যে কমবেশি ছাড় দিচ্ছি। আশা করছি, শেষ দিন পর্যন্ত ক্রেতাদের ভালো সাড়া পাবো।

বাণিজ্যমেলায় তার্কিশ প্যাভিলিয়নে ক্রেতার চেয়ে দর্শনার্থী বেশি

এবারের বাণিজ্যমেলায় দেশীয় পণ্যের পাশাপাশি ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক, ইরান, হংকং, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশ অংশ নিয়েছে। মেলায় এসব দেশের বস্ত্র, মেশিনারিজ, কার্পেট, কসমেটিকস অ্যান্ড বিউটি এইডস, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস, ফার্নিচার, পাট ও পাটজাত পণ্য, গৃহসামগ্রী, চামড়া/আর্টিফিসিয়াল চামড়া ও জুতাসহ চামড়াজাত পণ্য, স্পোর্টস গুডস, স্যানিটারি ওয়্যার, খেলনা, স্টেশনারি, ক্রোকারিজ, প্লাস্টিক, মেলামাইন পলিমার, হারবাল ও টয়লেট্রিজ, ইমিটেশন জুয়েলারি, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, ফাস্টফুড, হস্তশিল্পজাত পণ্য, হোম ডেকর ইত্যাদি পণ্য মেলায় প্রদর্শিত হচ্ছে। পণ্য প্রদর্শনের পাশাপাশি দেশীয় পণ্য রফতানির বড় বাজার খোঁজার লক্ষ্য রয়েছে।


রাশেদুল ইসলাম রাজু/এমআরএম/জিকেএস