ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

পাটপণ্য উৎপাদনে বৈচিত্র্য আনতে হবে: মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৫:৪৮ এএম, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

 

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, পাটপণ্য উৎপাদনে বহুমুখী বৈচিত্র্য আনতে হবে। ক্রেতা আকৃষ্ট হয় এমন ডিজাইন উদ্ভাবন করতে হবে।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারে (জেডিপিসি) বহুমুখী পাটজাত পণ্য প্রদর্শনী পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় জেডিপিসির নির্বাহী পরিচালক (যুগ্মসচিব) গোপাল চন্দ্র দাশসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাট ও পাটজাত পণ্যে ওপর অনেক গুরুত্ব দিয়েছেন। তা নিশ্চয়ই আপনারা সবাই শুনতে পারছেন, বুঝতে পাচ্ছেন। তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনোত্তর সরকার গঠনের পরে সরকারপ্রধান হিসেবে যতগুলো বক্তব্য দিয়েছেন তাতে পাটের ওপর অতীব গুরুত্ব দিয়েছেন সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের চামড়া শিল্পের ওপরও তিনি গুরুত্ব দিয়েছেন। পাট সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা আপনারা গুরুত্বসহকারে নেবেন। এটা আমি প্রত্যাশা করি। বার্তাটি অনুধাবন করবেন, এটি আমি মনে করি।

তিনি বলেন, পাট আমাদের প্রধান রপ্তানি পণ্য ছিল, কিন্তু আমাদের গর্বের পাট অনেকটা হারিয়ে গিয়েছিল। জুট মিলগুলো বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। জুটমিলের সঙ্গে সম্পৃক্ত হাজার হাজার কর্মকর্তা, শ্রমিকরা এক অনিশ্চয়তার মধ্যে পরে গিয়েছিল। আদমজীর মতো জুটমিল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। বর্তমান টেকসই উন্নয়নের যুগে বিশ্বব্যাপী পরিবেশবান্ধব পাট ও পাটপণ্যের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে। পরিবেশবান্ধব পাটপণ্যের রপ্তানি বাড়াতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, পাটের ব্যবহার বহুমুখী করে তৈরি করা হচ্ছে শাড়ি, জুতা, ব্যাগ, পর্দার কাপড়, বেড কভার ইত্যাদি। আমাদের বিজ্ঞানিরা পাটের জীবন রহস্য উদঘাটনের মাধ্যমে পাটের তৈরি সোনালি ব্যাগ তৈরি করতে পেরেছে। পাট থেকে সোনালি ব্যাগের উৎপাদন কতদ্রুত করা যায় সে বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমেই পাটশিল্পকে আমরা লাভজনক করতে পারবো।

পাটশিল্পের বেসরকারি খাতের উদ্যোগকে আরও উৎসাহিত করা হবে। আমি মনে করি আমরা সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে সফল হতে পারবো। আমি আপনাদের বলতে পারি আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা, আমি পাট শিল্পকে এবং বেসরকারি খাতের উদ্যোগ উৎসাহিত করার জন্য যা যা করণীয় তাই করা হবে। আপনাদের কর্মচাঞ্চল্যতা, মেধা মস্তিষ্কের সম্মিলনে পাটপণ্যকে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের এক নম্বর হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে সক্ষম হবো। এটাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বার্তা। এ বার্তাটি বাস্তবায়নে আমরা প্রাণান্তর চেষ্টা করবো।

সম্প্রতি জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে অনুষ্ঠিত আম্বিয়ান্তে ফেয়ারে অংশগ্রহণ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, আমি মেলায় বাংলাদেশ, ভারতসহ অন্য দেশের স্টল পরিদর্শন করেছি। বাংলাদেশ ছাড়াও বিভিন্ন দেশের পাটজাত পণ্যের ডিজাইন ও নিউ ট্রেন্ড দেখেছি। আমি খুবই আশ্চর্যজনকভাবে লক্ষ্য করেছি আমাদের অনেক উদ্যোক্তা চমৎকার পরিবেশবান্ধব পণ্য সামগ্রী নিয়ে মেলায় অংশ গ্রহণ করেছে। এই মেলায় আমার অংশগ্রহণের ফলে আমি আত্মবিশ্বাসী হয়েছি, এই মেলার অভিজ্ঞতা বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালনে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

এনএইচ/এমএএইচ/