ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

রিজার্ভ এখন ১৯ বিলিয়নের ঘরে

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৭:৩১ পিএম, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

দেশের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে ডলার সংকট। সহসায় কাটছে না এ সংকট। এর ফলে অনেক ব্যাংক ঋণপত্র (এলসি) খুলতে পারছে না। অন্যদিকে, জরুরি পণ্য আমদানি অব্যাহত রাখতে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে প্রতিনিয়ত ডলার সরবরাহ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে কমছে রিজার্ভের পরিমাণও। এবার রিজার্ভ কমে ১৯ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমে এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

বৃহস্পতিবার (১ ফ্রেরুয়ারি) এ প্রতিবেদন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নতুন বছরের শুরুতেই দেশের গ্রস রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৭০০ কোটি ডলার। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) গ্রস রিজার্ভ নেমে ২৫ দশমিক শূন্য ৯ বিলিয়ন ডলারে এসেছে। সে হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে রিজার্ভ থেকে কমেছে ১৯১ কোটি ডলার বা ১ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার। তবে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফের শর্তানুযায়ী (বিপিএম-৬ ম্যাথড) এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবের মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে। যার পরিমাণ প্রায় ৫ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংক বিপিএম-৬ এর হিসাবও প্রকাশ করেছে। সে হিসাবে (বিপিএম-৬ ম্যানুয়াল অনুযায়ী) ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশে গ্রস রিজার্ভ এখন ১৯ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলার। তবে, এর বাইরে আরও একটি হিসাব রয়েছে সেটি বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের হিসাব। এ হিসাবটি শুধু আইএমএফকে দেওয়া হয়। এত তথ্য সূত্র বলছে, ওই হিসাবে দেশের প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৫ বিলিয়ন ডলারের নিচে অবস্থান করছে। যা দিয়ে তিন মাসের আমদানি দায় মেটানো যাবে।

তবে, এরই মধ্যে বাড়তে শুরু করেছে প্রবাসী আয়। চলতি বছরের প্রথম মাসের পুরো সময়ে ২০১ কোটি ডলার বা ২ দশমিক শূন্য ১ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন বাংলাদেশিরা। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ২২ হাজার ১১০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার সমান ১১০ টাকা)। বৈধ পথে রেমিট্যান্স আনার উদ্যোগের ফলে রেমিট্যান্স বাড়ছে। এর সঙ্গে বাড়তি প্রণোদনা প্রবাসী বাংলাদেশিদের আরও উৎসাহিত করছে বলে জানান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা।

ইএআর/এমএএইচ/এএসএম