ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

নিরাপদ খাবার প্যাকেজিংয়ের চ্যালেঞ্জ নিয়ে গোলটেবিল বৈঠক

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৬:৩৫ পিএম, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

খাবার প্যাকেটের কালিও যে অনিরাপদ এবং স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হতে পারে এটা খুব অল্প মানুষই জানেন। সাধারণ মানুষকে নিরাপদ খাবারের নিশ্চয়তা দিতে সম্প্রতি নতুন একটি পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট বা বিএসটিআই।

জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সংস্থাটি পণ্য প্যাকেজিংয়ে ব্যবহৃত কালির মান নির্ধারণ করে দিয়েছে। ফলে দেশে খাদ্যপণ্য প্যাকেজিং ও কালি উৎপাদনে আরও সতর্ক হতে হচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলোকে।

এরই মধ্যে বছর ঘুরে আবারও এসেছে নিরাপদ খাদ্য দিবস। তার আগের দিন বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে গণমাধ্যম ও অংশীদারদের নিয়ে একটি গোলটেবিল বৈঠক করেছে বৈশ্বিক খাদ্য প্যাকেজিং অ্যাপ্লিকেশন ও লেবেলের জন্য প্রিন্টিং কালি ও কোটিং প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান সিগওয়ার্ক।

আয়োজনের উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সমস্যাগুলো তুলে ধরা। সেই সঙ্গে খাবার প্যাকেজিংয়ে প্রিন্টিং কালি ব্যবহারের নির্দেশনা নিয়ে বিএসটিআইয়ের মান মেনে চলার ওপর গুরুত্বারোপ ও সচেতনতা বৃদ্ধি করা।

সেশনটি পরিচালনা করেন সিগওয়ার্কের ভারত অঞ্চলের ব্র্যান্ড ওনার কোলাবোরেশন বিভাগের হেড যতীন টাক্কার। গোলটেবিল বৈঠকে প্যাকেজিং সাপ্লাই চেইন, প্যাকেজিং উপাদানের নিরাপত্তা এবং ভোক্তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়।

একটি উপস্থাপনার মাধ্যমে সেশনে নিরাপদ খাদ্য প্যাকেজিং এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে সম্ভাব্য দূষণের ঝুঁকির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।

গোলটেবিল বৈঠকে সিগওয়ার্কের ভারত অঞ্চলের ব্র্যান্ড ওনার কোলাবোরেশন বিভাগের হেড যতীন টাক্কার বলেন, খাদ্য নিরাপত্তার মান বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এরই মধ্যে দারুণ অগ্রগতি দেখিয়েছে বাংলাদেশ। কাজেই যথাযথ ও নিরাপদ সলভেন্ট, পিগমেন্ট ও অন্যান্য উপাদানের সঙ্গে নিরাপদ খাদ্য প্যাকেজিং প্রস্তুত করতে হবে। আর তার জন্য নিয়ন্ত্রক ও সাপ্লাই চেইন উভয় দিক থেকেই খাদ্য প্যাকেজিং বিষয়ে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক মানদণ্ড অনুযায়ী কাজ করা খুবই জরুরি।

একই দিনে বিকেলে অংশীদারদের নিয়েও একটি গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন হয়। এই আয়োজনে দেশীয় ব্র্যান্ড মালিক ও কনভার্টাররা খাদ্য প্যাকেজিংকে নিরাপদ করে তোলার ক্ষেত্রে তাদের তাৎপর্যপূর্ণ বিভিন্ন পদ্ধতি তুলে ধরেন।

খাদ্য নিরাপত্তায় প্যাকেজিং কালির প্রভাব, টলুইনের ক্ষতিকর প্রভাব এবং এ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে সিগওয়ার্কের অগ্রণী ভূমিকা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়।

এতে জানানো হয়, পণ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সিগওয়ার্ক সবচেয়ে নিরাপদ কালি ও কোটিং তৈরিতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এরই মধ্যে শীর্ষস্থানীয় বৈশ্বিক নিরাপদ প্যাকেজিং সমাধান হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে এই কোম্পানি। পাশাপাশি কোম্পানিটি নিজেদের অভিজ্ঞতা দ্বারা অনেক ব্র্যান্ড মালিককে খাদ্য নিরাপত্তা এবং নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করেছে। এতে নিয়ন্ত্রক সংস্থার সম্মতি বা রেগুলেটরি কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করা যায় এবং খাদ্য দূষণের ঝুঁকি এড়ানো যায়।

এনএইচ/জেডএইচ/জিকেএস