১৯ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৫ হাজার কোটি টাকা
ডলার সংকটের মাঝেই সুখবর বেয়ে আনছে প্রবাসী আয়। নতুন বছরের প্রথম মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহের গতি বেড়েছে। চলতি জানুয়ারি মাসের প্রথম ১৯ দিনে বৈধপথে ১৩৬ কোটি ৪১ লাখ ৪০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ১৫ হাজার ৫৫ কোটি টাকা (প্রতি ডলার সমান ১১০ টাকা)।
রোববার (২১ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি মাসের প্রথম ১৯ দিনে ১৩৬ কোটি ৪১ লাখ ৪০ হাজার ডলার এসেছে। প্রতিদিন আসেছ ৭ কোটি ১৭ লাখ ডলারের বেশি। আলোচিত সময়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১১ কোটি ৬ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ২ কোটি ৮৮ লাখ মার্কিন ডলার এসেছে। আর বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১২২ কোটি ৫ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৪১ লাখ মার্কিন ডলার এসেছে।
আলোচিত সময়ে ৮ ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি দেশে। এসব ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে- রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব, বেসরকারি কমিউনিটি ব্যাংক, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, সীমান্ত ব্যাংক, বিদেশি খাতের হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।
আরও পড়ুন>> রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে, ৬ মাসে এলো এক হাজার ৮০ কোটি ডলার
এর আগে বিদায়ী মাস ডিসেম্বরের পুরো সময়ে ১৯৮ কোটি ৯৮ লাখ ৭০ হাজার ডলার ২১ হাজার ৮০০ কোটি টাকার বেশি রেমিট্যান্স আসে। আর দিনে এসেছে ৬ কোটি ৪১ লাখ ডলার বা ৭০৪ কোটির টাকার বেশি করে। এর মধ্যে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৯ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে এক ব্যাংকের (বিকেবি) মাধ্যমে এসেছে ৬ কোটি ৬২ লাখ ৩০ হাজার ডলার। আর বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৭২ কোটি ৪৫ লাখ ৯০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫২ লাখ ৮০ হাজার ডলার।
খাত সংশ্লিষ্টদের মতে, ২০২০ সালে হুন্ডি বন্ধ থাকায় ব্যাংকিং চ্যানেলে সর্বোচ্চ সংখ্যক রেমিট্যান্স এসেছিল। বিদায়ী ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২ হাজার ১৬১ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স। এটি এ যাবৎকালের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে করোনাকালীন ২০২০-২০২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে।
ইএআর/ইএ/জিকেএস