ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

দুর্নীতি-সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা মন্ত্রীদের

সাঈদ শিপন | প্রকাশিত: ০৯:৫৬ পিএম, ১৪ জানুয়ারি ২০২৪

নতুন সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্যরা দায়িত্ব নিয়েই দুর্নীতি ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিয়েছেন। কেউ দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করেছেন, কেউ বলেছেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স থাকবে। আবার কেউ বলেছেন বাংলাদেশে কোনো সিন্ডিকেট থাকতে পারবে না। বেশিরভাগ মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীর কথায় সিন্ডিকেট ও দুর্নীতি বন্ধ করে জনবান্ধব সরকার গঠনের বার্তা এসেছে।

গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করে। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ২৫ মন্ত্রী ও ১১ প্রতিমন্ত্রীসহ ৩৬ জনকে নিয়ে গঠন করা হয়েছে নতুন মন্ত্রিসভা।

নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা প্রথম অফিস করেছেন রোববার (১৪ জানুয়ারি)। প্রথম দিনই বেশিরভাগ মন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। সেই সঙ্গে দেশে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা, স্মার্ট বাজার ব্যবস্থাপনা করার বার্তাও দিয়েছেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে রাখার আশার বাণীও শুনিয়েছেন।

প্রথম কার্যদিবসেই মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর দুর্নীতি ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কথা বলাকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন বিশ্লেষক ও অর্থনীতিবিদরা। তারা বলছেন, আমাদের দেশের বড় সমস্যা দুর্নীতি। মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের কথায় একটি পরিবর্তনের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারেও এ বিষয়ে বলা হয়েছে। মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা দুর্নীতি এবং সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে যে বার্তা দিয়েছেন সেটি কতটা বাস্তবায়ন হয়, ভবিষ্যতেই দেখা যাবে।

 

প্রথম দিনই মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের এ ধরনের মন্তব্য পরিবর্তনের আভাস দিচ্ছে কি না? এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আভাস তো একটা দিচ্ছেই। সেই আভাসটা বাস্তবায়ন কতটুকু হয়, সেটি ভবিষ্যতে দেখতে হবে।

 

এ বিষয়ে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের মন্তব্যগুলোকে স্বাগত জানাই। আমাদের দেশে দুর্নীতি একটি বড় সমস্যা। সিন্ডিকেট করে বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়ানা হয়, সেটাও একটা সমস্যা। এ সমস্যা সমাধানে তারা আপ্রাণ চেষ্টা করবেন, এটাই আমার প্রত্যাশা।

প্রথম দিনই মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের এ ধরনের মন্তব্য পরিবর্তনের আভাস দিচ্ছে কি না? এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আভাস তো একটা দিচ্ছেই। সেই আভাসটা বাস্তবায়ন কতটুকু হয়, সেটি ভবিষ্যতে দেখতে হবে।

আরও পড়ুন>> দায়িত্ব নিয়েই দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা পরিকল্পনামন্ত্রীর

অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর জাগো নিউজকে বলেন, দুর্নীতি বন্ধ হোক সেটা আমরা সবাই চাই। এক্ষেত্রে দ্বিমতের কিছু নেই। তবে সিন্ডিকেট ভাঙার বিষয়ে একটু সাবধান হতে হবে। আমরা সাপ্লাই সাইড স্বাভাবিক রাখতে চাই। আমরা সিন্ডিকেট ভাঙার কথা বলবো না, আমরা বলবো তাদের কন্ট্রোল করতে হবে, ম্যানেজ করতে হবে।

তিনি বলেন, সিন্ডিকেট আমাদের অপরিচিত কেউ নয়। এরা আমাদের বড় বড় কোম্পানি। এই বড় কোম্পানিগুলো কীভাবে মূল্য নিয়ন্ত্রণ করছে সেটার ওপর নজরদারি রাখতে হবে। পণ্যের সংখ্যা খুব বেশি নয়, পণ্যের সংখ্য খুবই কম। এরমধ্যে রয়েছে ভোজ্যতেল, চিনি এ ধরনের পণ্য। এই পণ্যগুলো প্রাইস সেনসিটিভ এবং এগুলো মানুষ দৈনন্দিন ব্যবহার করে। এ পণ্যগুলো প্রচুর পরিমাণে আমদানি হয় এবং হাজার হাজার কোটি টাকা তারা লাভ করে। এ জায়গায় সরকার নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারলে ভালো।

আরেক অর্থনীতিবিদ ড. জায়েদ বখত জাগো নিউজকে বলেন, সামনে আমাদের চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখা। বিশেষ করে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল করা। সেই সঙ্গে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা। সেক্ষেত্রে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীরা প্রথম দিনই দুর্নীতি বন্ধ করার যে কথা বলেছেন, সেটি সহায়ক হবে বলে আমি মনে করি।

তিনি বলেন, মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা যে কথাগুলো বলেছেন তা নির্বাচনী ইশতেহারেই আছে। ইশতেহারের কথাগুলোই ওনারা নিজেদের মন্ত্রণালয়ের পরিপ্রেক্ষিতে বলছেন। আমি মনে করি এটা ওভার অল রাজনৈতিক দলের যে ইশতেহার আছে, তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

আরও পড়ুন>> বাংলাদেশে কোনো সিন্ডিকেট থাকতে পারবে না: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

দুর্নীতিকে আমাদের দেশের একটা বড় সমস্যা মনে করা হয় নতুন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের প্রথম দিনের কথায় পরিবর্তনের একটা আভাস পাওয়া যাচ্ছে কি না? এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমি তাই মনে করি। কারণ এবার ইশতেহারে এটা আলাদা করে গুরুত্বের সঙ্গে বলা হয়েছে।

দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স

প্রথম দিন অফিসে গিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন বলেছেন, দুর্নীতির ব্যাপারে আমার জিরো টলারেন্স থাকবে। আমি নিজেও জীবনে কোনোদিন দুর্নীতি করিনি। আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। উনি আমাকে বলেছেন তুমি করো, যদি কোনো অসুবিধা হয় আমাকে ফোন করবা। আমি সেটাই করবো। যদি কোথাও দেখি দুর্নীতি হচ্ছে আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।

তিনি বলেন, গ্রামগঞ্জে এখন ডাক্তার থাকে না, এটা একটা সমস্যা আমি জানি। এর কারণ কী সেটা খুঁজে বের করতে হবে। আমি চেষ্টা করবো। আমার শুধু একপক্ষের কথা শুনলে হবে না, ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলতে হবে। আমাকে ডাক্তারের নিরাপত্তার বিষয়টি দেখতে হবে। সব দেখে তারপর আমি ব্যবস্থা নেবো।

তিনি বলেন, আমার প্রথম কাজ হচ্ছে একেবারে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর, একেবারে গ্রাস রুট লেভেলে চিকিৎসাসেবা যাতে পৌঁছে দিতে পারি। সেই লক্ষ্য একদিনে পারবো না। আমাকে বসে সবার সঙ্গে কথা বলতে হবে, আমার দুই সচিবের সঙ্গে বসে ঠিক করবো কীভাবে কী করা যায়। আমরা যদি এটি করতে পারি তাহলে ঢাকা শহরে মাটিতে শুয়ে চিকিৎসা করাতে হবে না।

বাংলাদেশে কোনো সিন্ডিকেট থাকতে পারবে না

মজুতদারি শক্ত হাতে দমন করা হবে জানিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশে আমরা স্মার্ট বাজার ব্যবস্থাপনা করতে চাই। বাংলাদেশে কোনো সিন্ডিকেট থাকতে পারবে না। কেউ কোনো কারসাজি করে বাজারে অস্থিতিশীলতা তৈরি করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আমরা দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে চাই। কোনো ভয়ভীতি এটা না। এদেশে যারা ব্যবসা করেন সবাই দেশপ্রেমিক। আমরা বিশ্বাস করি তারা মানুষের কল্যাণে কাজ করবেন। আমাদের দায়িত্ব থাকবে তাদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির মধ্যে নিয়ে আসা। বিশেষ করে যারা আমাদের অ্যাসেনশিয়াল (জরুরি) পণ্যগুলো নিয়ে কাজ করেন, তেল, চিনি, লবণ এ ধরনের পণ্য নিয়ে যারা কাজ করেন, তারা যেন স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সঙ্গে কাজ করেন এটা আমরা নিশ্চিত করবো।

 

দুর্নীতি বন্ধ হোক সেটা আমরা সবাই চাই। এক্ষেত্রে দ্বিমতের কিছু নেই। তবে সিন্ডিকেট ভাঙার বিষয়ে একটু সাবধান হতে হবে। আমরা সাপ্লাই সাইড স্বাভাবিক রাখতে চাই। আমরা সিন্ডিকেট ভাঙার কথা বলবো না, আমরা বলবো তাদের কন্ট্রোল করতে হবে, ম্যানেজ করতে হবে

 

টিটু বলেন, কৃষিতে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ। কৃষিতে আমরা অভূতপূর্ব সাফল্য পেয়েছি। চাল, ভেজিটেবল, মাছ, ডিম, মুরগি কোনো কিছুতে আমাদের ঘাটতি নেই। কিন্তু বাজার ব্যবস্থাপনা, স্মার্ট বাংলাদেশে স্মার্ট বাজার ব্যবস্থাপনা করতে চাই। উৎপাদক বা আমদানিকারক থেকে ভোক্তা পর্যায়ে সরবরাহের সময় কমিয়ে আনতে চাই। সরবরাহ যদি ভালো থাকে তাহলে কেউ বাজারে কারসাজি করার সুযোগ পাবে না এবং কেউ উচ্চমূল্যে বিক্রি করারও সুযোগ পাবে না।

তিনি বলেন, কেউ কারসাজি করার চেষ্টা করলে আমরা শক্ত হাতে দমন করবো। বিশেষ করে মজুতদারি। আমরা দেখি রমজান এলেই কিছু ব্যবসায়ী, আমি ব্যবসায়ী বলবো না তাদের, অসাধু কিছু গোষ্ঠী তারা ব্যবসার নামে এ অপকর্মগুলো করে। মজুতদারি আমরা শক্ত হাতে দমন করবো। আমাদের সব ডিপার্টমেন্ট এ বিষয়ে সচেতন থাকবে।

আরও পড়ুন>> রাতারাতি সব সংকট দূর হবে না: অর্থমন্ত্রী

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সহজলভ্য হোক। যাতে সবার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে। আমরা এ বছরের শুরু থেকে স্মার্ট বাজার সিস্টেম চালু করতে চাই। যাতে উৎপাদনকারী থেকে ভোক্তা, আমদানিকারকদের থেকে ভোক্তা- এরমধ্যে যেন কোনো হস্তক্ষেপ না থাকে। আপনারা জানেন অনেক পণ্যের জন্য আন্তর্জাতিক বাজারের ওপর নির্ভর করতে হয়। আমাদের শতভাগ স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। এটার নিশ্চয়তা দিতে পারি।

সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেবেন- জানতে চাইলে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি সিন্ডিকেট শব্দের সঙ্গে অভ্যস্ত না। দেশে কোনো সিন্ডিকেট থাকতে পারবে না। আমি পুঁজিবাজার নিয়ে কাজ করেছি। তখন কোনো সিন্ডিকেট, মজুতদার কোনো কারসাজি করতে পারেনি। এখানেও আমরা সফল হবো। ব্যবসায়ীদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির মধ্যে কাজ করতে হবে। আমাদের যথেষ্ট সুযোগ আছে, তাদের অনুরোধ করবো, তাদের নিয়ে বসবো। আমরা তাদের বলবো স্বচ্ছতা, জবাবদিহির সঙ্গে ব্যবসা করলে আমরা তাদের সহযোগিতা করবো। কিন্তু কোনো রকম কারসাজি করে, সরকারকে বিব্রত করার চেষ্টা করলে আমরা শক্ত হাতে ব্যবস্থা নেবো।

তিনি বলেন, কোনো ব্যবসায়ীর স্বার্থ রক্ষার জন্য নয়, জনস্বার্থে কাজ করবো। প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব নিয়ে কাজ দিয়েছেন। আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে সেই কাজ করবো। ভোক্তাদের নিশ্চয়তা দিচ্ছি আমাকে একটু সময় দেন।

দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা

পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম বলেছেন, দুর্নীতির বিষয়ে কোনো ছাড় নয়। যদিও এটি জাতীয় ইস্যু। এটি রাষ্ট্রীয় ও বৈশ্বিক বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত মনে করি। আমি ১৫ বছর এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। কিন্তু একটি লোকও বলতে পারবেন না আমি কোনো দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম।

তিনি বলেন, এটি জাতীয় বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে যুক্ত। এখানে হাত দেওয়া কঠিন। এটি শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দুর্নীতি নিরসনে সংগ্রাম চলছে, যুদ্ধ চলছে এবং জিহাদ চলছে। এই যুদ্ধ এগিয়ে নেবো। দুর্নীতির প্রশ্নে কোনো আপস নেই।

আরও পড়ুন>> রেলের দুর্নীতি বন্ধ করতে চাই: রেলমন্ত্রী

উন্নয়ন প্রকল্পের অনিয়ম, দুর্নীতি নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, দুর্নীতি নেই এ কথা বলবো না। এটা ঠিক হুট করে ঠিক করাও যাবে না। দেখা যায় প্রাইমারির শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি হয়। এমন হলে বাচ্চারা কী শিখবে। প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকেই বাচ্চাদের দুর্নীতিমুক্ত থাকার শিক্ষা দিতে হবে। তাহলে তারা কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ঠিক থাকবে। আমি আমার এলাকায় নির্দেশনা দিয়েছি যেন কেউ নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতি করতে না পারে।

রাতারাতি সব সংকট দূর হবে না

আসন্ন রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সময় দিতে হবে মন্তব্য করে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, রাতারাতি সব সংকট দূর হবে না। পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে অর্থ মন্ত্রণালয় একা পারবে না। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবো।

তিনি বলেন, অর্থপাচার রোধে কাজ করা হবে। টাকার মূল্য কমে গেছে, সেটা নিয়েও কাজ করা হবে। এ বিষয়ে দেখি কী করা যায়! অর্থনীতিতে চ্যালেঞ্জ আছে। একটু সময় দেন।

 

মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীরা যে কথাগুলো বলেছেন তা নির্বাচনী ইশতেহারেই আছে। ইশতেহারের কথাগুলোই ওনারা নিজেদের মন্ত্রণালয়ের পরিপ্রেক্ষিতে বলছেন। আমি মনে করি এটা ওভার অল রাজনৈতিক দলের যে ইশতেহার আছে, তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

 

বর্তমান অর্থনীতিতে যে সংকট সেটি কীভাবে কাটিয়ে উঠবেন এবং দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি কি কৃত্রিমভাবে করা কি না, এ বিষয়ে সরকারের করণীয় কী, জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমার করণীয় বলতে আমাকে একটু সময় দিতে হবে। সমস্যার বিষয়ে আমরা সবাই জানি। আমি দেখছি এবং বোঝার চেষ্টা করছি। পাশাপাশি সমাধানের চেষ্টা করবো।

রেলের দুর্নীতি বন্ধ করতে চান রেলমন্ত্রী

রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম বলেছেন, আমরা রেলের দুর্নীতি বন্ধ করতে চাই। আমরা সবাই মিলে রেলের নিরাপত্তা, রেলের জমিগুলো বেদখল যেন না থাকে সেসব বিষয় নিয়ে কাজ করবো। সার্বিকভাবে রেলের উন্নয়ন করবো। রেলের উন্নয়ন জনগণের জন্য। প্রথম দিনই আপনাদের সহায়তা চাই। আমরা রেলের দুর্নীতি বন্ধ করতে চাই।

সাতদিনের মধ্যে একশ দিনের পরিকল্পনা

পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়কমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, আমরা চাই এটা যাতে এক নম্বর মন্ত্রণালয় হয়। আমার পক্ষ থেকে আইনের প্রতি শতভাগ স্বচ্ছতার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেবো। মিডিয়ার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবো। সাতদিনের মধ্যে একশ দিনের পরিকল্পনা দিতে চাই। এছাড়া অন্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবো।

তিনি বলেন, আমাদের নির্বাচনী ইশতেহার পূরণ করবো। নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়মিত মনিটরিং করা হবে। কাজের জন্য কোনো কাঠামো বদলের দরকার হলে সেটি করতে হবে। আমাদের কাজের সঙ্গে যা দরকার সেটা করবো। বায়ুদূষণ প্রতিরোধ করতে হবে। বন সংরক্ষণ করতে হবে। টেকসই উন্নয়নের জন্যই পরিবেশ রক্ষা করতে হবে। এখানে দুর্নীতি বা অনিয়ম প্রশ্রয় দেবো না। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, সেই অগ্রগতি টেকসই করতে হবে।

এমএএস/এমএইচআর/জিকেএস