ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

চলতি হিসাবে টাকা নেই পাঁচ ইসলামি ব্যাংকের, লেনদেন বন্ধের ঝুঁকি

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৮:০১ পিএম, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩

দেশের শরিয়াহভিত্তিক পাঁচ ব্যাংকের আর্থিক লেনদেন সেবা বন্ধের উপক্রম হয়েছে। টাকার ঘাটতির (বিধিবদ্ধ তারল্য) কারণে এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে এসব ব্যাংককে।

এই পাঁচ ব্যাংককে চিঠি দিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, ব্যাংকগুলোর সঙ্গে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের চলতি হিসাবের স্থিতি দীর্ঘদিন ধরে ঋণাত্মক। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চলতি হিসাবের টাকার ঘাটতি পূরণ করতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। না হলে এসব ব্যাংকের লেনদেন কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ব্যাংক গ্রাহকদের জন্য চালু হলো ‘ব্যাংকাসুরেন্স’

যেসব ব্যাংককে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেগুলো হলো- ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংক। গত ২৮ নভেম্বর ব্যাংক পাঁচটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের এ চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

জানা যায়, এসব ব্যাংকের চলতি হিসাবের স্থিতি দীর্ঘদিন ধরে ঋণাত্মক থাকার বিষয়টি বারবার অবহিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপরও উল্লেখযোগ্য কোনো পদক্ষেপ নেয়নি ব্যাংকগুলো। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক চলতি হিসাবের ঋণাত্মক স্থিতি সমন্বয়ে ২০ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছে। যদিও এসব ব্যাংকের চলতি হিসাব ঋণাত্মক হলেও লেনদেন হচ্ছে। তবে পর্যাপ্ত অর্থ রাখতে না পারলে লেনদেন বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

আরও পড়ুন: যেকোনো সুদহারে আমানত সংগ্রহ করতে পারবে ব্যাংক

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয় থেকে সম্প্রতি এসব ব্যাংককে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ‘বিএসিএইচ সেটেলমেন্ট জটিলতা প্রসঙ্গে’ শিরোনামে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, ‘মতিঝিল অফিসের ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট বিভাগে রক্ষিত আপনাদের চলতি হিসাবের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্লিয়ারিং পেমেন্ট সিস্টেমে লেনদেন (আন্তঃব্যাংক লেনদেন) সম্পন্ন হয়ে থাকে। এর মধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশ অটোমেটেড চেক প্রসেসিং সিস্টেম, বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার নেটওয়ার্ক (বিইএফটিএন), ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ বাংলাদেশ (এনপিএসবি) ও রিয়েল টাইম গ্রস সেটেলমেন্ট (আরটিজিএস)। দীর্ঘদিন ধরে আপনাদের চলতি হিসাবের স্থিতি ঋণাত্মক, যা স্বাভাবিক ব্যাংকিং প্রক্রিয়ার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।’

বিষয়টি বারবার জানানো হলেও এ পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি উল্লেখ করে চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘আগামী ২০ কর্মদিবসের মধ্যে আবশ্যিকভাবে চলতি হিসাবের ঋণাত্মক স্থিতি সমন্বয়ের পরামর্শ দেওয়া হলো। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সমন্বয়ে ব্যর্থ হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগের সঙ্গে সম্পাদিত ক্লিয়ারিং সেটেলমেন্টের জন্য নির্ধারিত হিসাবে পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ সংরক্ষণ চুক্তি অনুসারে সব বা নির্দিষ্ট কোনো ক্লিয়ারিং প্ল্যাটফর্ম থেকে বিরত রাখা হবে।’

ইএআর/কেএসআর/এএসএম