ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, আইপিওতে শেয়ার বিক্রি করতে পারবে এশিয়াটিক

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৬:১২ পিএম, ২৮ নভেম্বর ২০২৩

সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে শেয়ার বিক্রি করে অর্থ উত্তোলনের ক্ষেত্রে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। ওই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে শেয়ারবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) কমিশন সভা করে এই নিষেধাজ্ঞ তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি। নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম এ তথ্য জানিয়েছেন।

নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ফলে এখন আইপিও’র মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রি করতে পারবে এই কোম্পানিটি। বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে শেয়ারবাজার থেকে টাকা তোলার অনুমোদন পাওয়া এই কোম্পানিটি শর্ত অনুসারে, কাট-অফ মূল্যের চেয়ে ২০ টাকা কমে। অর্থাৎ ৩০ টাকা দামে আইপিওতে শেয়ার বিক্রি করবে। যোগ্য বিনিয়োগকারীরা নিলামে অংশ নিয়ে কোম্পানিটির কাট-অফ মূল্য নির্ধারণ করে ৫০ টাকা।

বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে আইপিওর মাধ্যমে শেয়ার ছেড়ে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজকে শেয়ারবাজার থেকে ৯৫ কোটি টাকা তোলার অনুমোদন দেয় বিএসইসি। তবে আইপিওতে সাধারণ বিনিয়োগাকারীদের কাছ থেকে আবেদন জমা নেওয়া শুরুর ঠিক একদিন আগে গত ১৫ জানুয়ারি তা স্থগিত করে বিএসইসি। এখন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হওয়ায় আইপিওতে শেয়ার বিক্রিতে আর কোনো বাধা থাকলো না।

বুক বিল্ডিং পদ্ধতির মাধ্যমে আইপিওতে শেয়ার ছাড়ার লক্ষ্যে গত বছরের ২৪ অক্টোবর রাজধানীর একটি হোটেলে রোড শোর আয়োজন করে কোম্পানিটি। এতে যোগ্য বিনিয়োগকারী (এলিজিবল ইনভেস্টর) ও সংশ্লিষ্টদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। তাদের সামনে কোম্পানির আর্থিক চিত্র, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ইত্যাদি বিষয় তুলে ধরেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনির আহমেদসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা।

২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে পুনর্মূল্যায়ন পরবর্তী কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) ছিল ৫৬ টাকা ৬১ পয়সা। আর পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া এনএভিপিএস ৩৫ টাকা ৪৮ পয়সা। পাঁচ বছরের ভারিত গড় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৩ টাকা ২১ পয়সা।

আইপিও অনুমোদনের ক্ষেত্রে বিএসইসির দেওয়া শর্ত অনুসারে, তালিকাভুক্তির আগে কোম্পানিটি কোনো ধরনের লভ্যাংশ ঘোষণা, অনুমোদন বা বিতরণ করতে পারবে না। কোম্পানিটির আইপিওর ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে আছে শাহজালাল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট।

এমএএস/কেএসআর/এমএস