চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিলাম
হাড়বিহীন মহিষের মাংস কেজিতে ২৮ টাকা!
বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়তি,গরু কিংবা মহিষের মাংস কেজিতে আটশো টাকার ওপরে। কিন্তু চট্টগ্রাম কাস্টমস নিলামে প্রতিকেজি হিমায়িত হাড়বিহীন মহিষের মাংসের দাম উঠেছে ২৮ টাকা ৫৩ পয়সা।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) নগরীর পতেঙ্গা এলাকার কাস্টমস অকশন শেডে এ নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। ভারত থেকে আমদানিকৃত ২৮ হাজার ৪০ কেজি হিমায়িত ব্যোনলেস (হাঁড়বিহীন) মহিষের মাংসের সর্বোচ্চ দর উঠেছে ৮ লাখ টাকা। যা প্রতিকেজি হিসেবে ২৮ টাকা ৫৩ পয়সা।
নগরীর জাকির হোসেন রোডের পাহাড়তলী এলাকার ডা. অলি আহমদের বাড়ির মো. সোহেল রানা সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ৮ লাখ টাকা দর ডাকেন। তবে এসব মাংসের মেয়াদ রয়েছে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। সময়ের হিসেবে আছে আর মাত্র ৯ দিন। নিলামে উঠা এসব হিমায়িত মহিষের মাংসের মূল্য ১ কোটি ৬০ লাখ ৬৫ হাজার ২৩৫ টাকা সাত সাত পয়সা নির্ধারণ করে কাস্টমস।
একই দিন নিলামে উঠে ফ্রোজেন স্মোকড হাঁস, ফ্রোজেন মিট পেস্ট, ফ্রোজেন মিট প্রিপেয়ার্ড ফুড ও ফ্রোজেন চিকেন প্রিপেয়ার্ড ফুডের একটি চালান। যার সর্বোচ্চ ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা দর ডেকে চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড়তলী উত্তর সরাইপাড়া লোহারপুলের মোরশেদ আকতার চৌধুরী সর্বোচ্চ দরদাতা নির্বাচিত হন। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ১২ হাজার ৫২৯ কেজির চালানটিতে থাকা পণ্যের সংরক্ষিত দাম নির্ধারণ করে ৬৯ লাখ ১৫ হাজার ১০৫ টাকা।
আরেক চালানে বিভিন্ন জাতের হিমায়িত সামুদ্রিক মাছের দর উঠেছে ১২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ১০ হাজার ৬৭০ কেজি হিমায়িত মাছের চালানটির সংরক্ষিত দর নির্ধারণ করে ৩৩ লাখ ১০ হাজার ৩৪২ টাকা। সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারি এলাকার তুলাতলী রোডের মেসার্স আল আমিন এন্টারপ্রাইজ সর্বোচ্চ দরদাতা নির্বাচিত হন।
অপরদিকে, ১৮ হাজার ৫৯০ কেজি আদার সর্বোচ্চ দর উঠেছে ৪ লাখ ৩১ হাজার টাকা। চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আদার চালানের সর্বোচ্চ দর নির্ধারণ করে ১৮ লাখ ৪২ হাজার ৩৫৭ টাকা। কোতোয়ালী রহমতগঞ্জ দেওয়ানজী পুকুর লেইনের তপন সিংহ সর্বোচ্চ দরদাতা নির্বাচিত হন।
মাছ মাংসসহ পচনশীল পণ্যের প্রকাশ্য নিলামের বিষয়ে চট্টগ্রাম কাস্টমসের মুখপাত্র উপ-কমিশনার ব্যারিস্টার বদরুজ্জামান মুন্সী বলেন, পচনশীল পণ্য দ্রুত নিলাম সম্পন্ন করার উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ। তারই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) প্রকাশ্য নিলাম অনুষ্ঠিত হয়েছে। নিলামে তোলা পণ্যের অনুমোদনের বিষয়ে নিলাম কমিটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানান তিনি।
ইকবাল হোসেন/এসএনআর/জিকেএস