কিছুটা নিম্নমুখী গরুর মাংসের দাম
দীর্ঘসময় চড়া থাকার পর বাজারে কিছুটা নিম্নমুখী গরুর মাংসের দাম। বর্তমানে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭২০ থেকে ৭৫০ টাকায়, যা ৮০০ টাকা ছিল। গত রমজানের আগে কয়েক দফা বেড়ে মাংসের দাম ৬৫০ থেকে গিয়ে ঠেকে ৮০০ টাকায়।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) রাজধানীর মালিবাগ, রামপুরা ও বাড্ডা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি গরুর মাংসের দাম চাওয়া হচ্ছে ৭৫০ টাকা, যা দরদাম করে ৭২০ টাকায়ও কেনা যাচ্ছে।
মালিবাগে খোরশেদ গোস্ত বিতানের খোরশেদ আলম বলেন, গ্রামগঞ্জে গরুর দাম কমেছে। তাই দাম কমিয়ে মাংস বিক্রি করা হচ্ছে। অল্প মাংস কিনলেও ৭৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। বেশি অর্ডার করলে দাম আরও কিছুটা কমানো যাচ্ছে। আগের তুলনায় প্রতিটি গরুর দাম ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা কম। গরুর বাজার আরও কিছুদিন নিম্নমুখী থাকলে দাম আরও কমতে পারে।
অন্যদিকে, বাজারে শুধু নয়, সুপারশপগুলোতেও আগের চেয়ে কম দামে মাংস বিক্রি হতে দেখা গেছে। মধ্যবাড্ডা স্বপ্ন সুপারশপে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্য সুপারশপেও মাংসের দাম ৭৫০ টাকার মধ্যে।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বাজারদরের তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে ঢাকার বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৩০ থেকে ৭৫০ টাকা কেজিতে। এক সপ্তাহ আগেও যা ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা ছিল। গত বছরের এ সময়ে বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস ছিল ৬৬০ থেকে ৭০০ টাকা। টিসিবির হিসাবে, গত বছরের তুলনায় বাজারে এখন মাংসের দাম ৫০ থেকে ৭০ টাকা বেশি, যা প্রায় ৯ শতাংশ।
বাড্ডা প্রধান সড়কে সাদ্দাম গোস্ত বিতানের কর্ণধার দ্বীন মোহাম্মদ বলেন, দীর্ঘসময় মাংসের দাম অস্বাভাবিক ছিল। দাম কমে যাওয়া এখন কিছুটা স্বস্তি এসেছে। তবে দাম আরও কমলে ক্রেতারা খুশি হতেন।
তথ্য বলছে, রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে গত জানুয়ারি মাসে গরু মাংসের দাম ছিল কেজিপ্রতি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা। গরুর খাবারের দাম বেশি, খামারিদের পোষাচ্ছে না, হাটে বেশি দামে গরু বিক্রি হচ্ছে— এসব অজুহাতে গত ফেব্রুয়ারি মাসে ব্যবসায়ীরা মাংসের দাম এক দফা বাড়িয়ে দেন। তখন তারা ৬৮০ থেকে ৭২০ টাকায় প্রতি কেজি মাংস বিক্রি শুরু করেন। এরপর কিছুদিন বাদে ফের এক দফা বেড়ে কোথাও কোথাও কেজিপ্রতি ৭৫০ টাকায়ও মাংস বিক্রি হয়। এরপর শবে বরাত উপলক্ষে এক দফা দাম বাড়ে, যা রোজার মধ্যে এসে ৮০০ টাকায় স্থায়ী হয়। এরপর দীর্ঘদিন এ দামে মাংস কেনাবেচা হলেও বর্তমানে কিছুটা নিম্নমুখী মাংসের দাম।
এনএইচ/এমএএইচ/জেআইএম