ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

দেশের ৪ কোটি মানুষের ক্রয়ক্ষমতা ইউরোপের মতো: বাণিজ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৩:৪৩ পিএম, ১৭ অক্টোবর ২০২৩

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ১৭ কোটি মানুষের বাংলাদেশে ৪ কোটি মানুষ রয়েছেন যাদের ক্রয়ক্ষমতা ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশের মানুষের সমান। দেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা হিসেবে গড়ার যে লক্ষ্যমাত্রা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঠিক করেছেন, তা এর আগেই অর্জিত হবে।

মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় বাংলাদেশ ফার্নিচার শিল্প মালিক সমিতি আয়োজিত ‘১৮তম জাতীয় ফার্নিচার মেলা-২০২৩’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

আরও পড়ুন: ৩০০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে চায় বাংলাদেশ

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, অনেক লড়াই-আন্দোলন-সংগ্রাম করে আমাদের এই প্রিয় দেশ স্বাধীন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে দেশ আজ বিশ্ববাসীর কাছে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। বিভিন্ন উন্নয়ন সূচকে পাকিস্তানসহ পার্শ্ববর্তী অনেক দেশকে পেছনে ফেলে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে গেলেই বাংলাদেশের উন্নয়নের গল্প শোনা যায়, যা বাঙালি হিসেবে আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের।

তিনি বলেন, দেশের ফার্নিচার খাত খুব অল্প সময়ে একটি শক্তিশালী খাতে রূপান্তরিত হয়েছে। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে এখন বিদেশেও ফার্নিচার রপ্তানি হচ্ছে। বাংলাদেশের ফার্নিচারের যে কোয়ালিটি, ডিজাইন ও আধুনিকতা তা বিশ্বের যে কোনো দেশেরই নজর কাড়বে এবং তারা নিতে আগ্রহী হবে।

টিপু মুনশি বলেন, তৈরি পোশাক শিল্পখাত আজ যে অবস্থানে এসেছে এটি একদিনে হয়নি। বর্তমানে ফার্নিচার থেকে ১১০-১২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি হচ্ছে বলে যে তথ্য দিচ্ছেন তা এ অবস্থায় থাকবে না। এ খাতে বিগত ১০-১২ বছরে যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে তাতে খুব শিগগির খাতটি রপ্তানিতে উল্লেখযোগ্য অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হবে।

আরও পড়ুন: সিন্ডিকেট আছে, ভাঙবো—এ ধরনের কথা বলিনি: বাণিজ্যমন্ত্রী

মন্ত্রী বলেন, টেকসই ফার্নিচার শিল্প গড়ে তুলতে পারলে রপ্তানির মাধ্যমে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব। যে পরিমাণ শ্রমিক এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত এ সংখ্যা দ্বিগুণ করা সম্ভব। ফার্নিচার তৈরিতে যেসব মেটারিয়ালস আমদানি করতে হয় সেগুলো দেশেই উৎপাদনে উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান তিনি।

রপ্তানির ক্ষেত্রে যেসব বাধা রয়েছে সেগুলো চিহ্নিত করে সমাধান করতে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা দেবে জানিয়ে তিনি বলেন, ফার্নিচার শিল্পের সঙ্গে জড়িত বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান শতভাগ রপ্তানিমুখী হওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে, যা সত্যিই প্রসংশনীয়। এ খাত অনেক বেশি সম্ভাবনাময় উল্লেখ করে এ খাতে আরও বেশি বিনিয়োগ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানান তিনি।

আরও পড়ুন: কাঁচা মরিচের চড়া দামের দায় আমাদের ঘাড়েই আসে: বাণিজ্যমন্ত্রী

বাংলাদেশ ফার্নিচার শিল্প মালিক সমিতির চেয়ারম্যান সেলিম এইচ রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান ও সিইও এ এইচ এম আহসান, এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম এবং বাংলাদেশ ফার্নিচার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও এফবিসিসিআই পরিচালক কে এম আকতারুজ্জামান।

পাঁচদিনব্যাপী দেশীয় ফার্নিচার শিল্পের সর্ববৃহৎ এ মেলা চলবে আগামী ২১ অক্টোবর পর্যন্ত। মেলায় ৩০টি প্রতিষ্ঠানের মোট ১৮৫টি স্টল রয়েছে।

আইএইচআর/এমকেআর/এএসএম