ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

ইয়াফেস ওসমান

রূপপুর বিদ্যুৎ প্রকল্প জিডিপিতে দুই শতাংশ অবদান রাখবে

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৭:১০ পিএম, ০৪ অক্টোবর ২০২৩

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র দেশের জিডিপিতে (মোট দেশজ উৎপাদন) দুই শতাংশ অবদান রাখবে বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান।

তিনি বলেন, এখন তেল দিয়ে বা অন্য যেসব উপায়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে সেগুলোর দাম অনেক বেশি। সুতরাং উত্তরবঙ্গের মানুষ যেন এটা দিয়ে সহজে বিদ্যুৎ পায় এবং এখানে শিল্পের বিকাশ যেন ঘটে, সেটা আমরা আশা করবো। এটা বাংলাদেশের চিত্রও পাল্টে দেবে।

বুধবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে প্রকল্প এলাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) রূপপুর কেন্দ্রের জ্বালানি ইউরেনিয়াম আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হবে।

মন্ত্রী বলেন, আমরা খুব দ্রুত কাজটা করেছি। তবে এখনো সাধারণ মানুষের কাছে এর সুফল পৌঁছাতে প্রায় দেড় বছর সময় লাগতে পারে। উত্তরবঙ্গের মানুষ যেন বঞ্চিত না হয় সেটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বলেছেন। কারণ উত্তরবঙ্গের মানুষই পিছিয়ে আছে বেশি।

তিনি জানান, অনেক দেশ আজ হতবাক। বাংলাদেশের মতো একটা দেশ কোনো সাড়াশব্দ ছাড়াই আজকে এ পর্যায়ে উঠে এসেছে। এটাই হলো বাঙালির ক্রিয়েটিভিটি।

আরও পড়ুন: রূপপুর বিদ্যুৎ প্রকল্পে লোহা চুরির অভিযোগে আটক ৪

মন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে অনুরোধ করেছিলেন, বলেছিলেন, বিষয়টি ব্যক্তিগতভাবে দেখবেন। যাতে প্রকল্পটি সারা পৃথিবীর মধ্যে বেস্ট হয়। আমরা তার প্রতিফলন দেখেছি। আপনারা দেখেছেন করোনার মধ্যেও একদিনও কাজ পিছিয়ে পড়েনি। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সবাই সহযোগিতা করেছে। আমরা দীর্ঘ সাতটি বছর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে নিরলসভাবে কাজ করেছি। এর মধ্য দিয়ে আমাদের দেশের যেসব ছেলেমেয়ে কাজ করেছে, তারা ‘এ’ গ্রেডের কর্মী হিসেবে দাঁড়িয়ে গেছে। এ প্রকল্পের সঙ্গে মানুষও দাঁড়িয়ে গেছে।

মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার আগে এ রূপপুরেই পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পাকিস্তানিরা সেটা সরিয়ে নিয়ে যায় করাচিতে। যে কারণে স্বাধীনতার পর পরই বঙ্গবন্ধু চেষ্টা করেছিলেন প্রকল্পটি যাতে শুধু করা যায়। তখন যদি এটা শুরু করা যেত তাহলে কত আগে থেকেই আমরা নিউক্লিয়ার ক্লাবে যুক্ত হতে পারতাম। তার এ স্বপ্নের প্রতিফলন আজ পুরো জাতি দেখতে পারছে। অন্যদের যেখানে ১২-১৫ বছর লেগেছে এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়নে, আমাদের সেখানে লেগেছে ৭-৮ বছর। এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর চেষ্টার জন্য।

তিনি বলেন, এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নিউক্লিয়ার ক্লাবে প্রবেশ করছে। শুধু তাই নয়, আরও একটি ভালো সংবাদ হলো ৪০ বছর পর বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি কমিশনের (আইএইএ) গর্ভনিং বডির সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। আড়াই বছর আমরা এ দায়িত্বে থাকবো।

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার চুক্তি করা হয়েছে। পেমেন্ট ইস্যু চলমান রয়েছে। প্রকল্পের নিরাপত্তার বিষয়েও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নো ফ্লাইং জোন হিসেবে এটা নিশ্চিত যে এর উপর দিয়ে বিমান চলাচল করবে না বলে জানান মন্ত্রী।

আরএসএম/এমএইচআর/এমএস