দুলামিয়া কটন কারখানা বন্ধ, ডিএসই’র সতর্কতা
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত দুলামিয়া কটন স্পিনিং মিলসের কারখানা পরিদর্শন করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিদর্শক দল। তবে কারখানাটি কন্ধ থাকায় ডিএসই’র পরিদর্শক দল ভেতরে ঢুকতে পারেনি।
রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) ডিএসই’র পরিদর্শক কারখানা পরিদর্শন করে এমন তথ্য দিয়েছে। এজন্য বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করতে সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ডিএসই থেকে সতর্ক বার্তা প্রকাশ করা হয়েছে।
ডিএসই জানিয়েছে, দুলামিয়া কটনের বর্তমান পরিস্থিতি জানার জন্য ডিএসইর পরিদর্শক দল কারখানা পরিদর্শনে যায়। কারখানা পুরোপুরি বন্ধ এবং সিল করা থাকায় পরিদর্শক দল ভেতরে যেতে পারেনি।
১৯৮৯ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া দুলামিয়া কটন সর্বশেষ কবে বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দিয়েছে সে সংক্রান্ত তথ্য ডিএসই’র ওয়েবসাইটে নেই। তবে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটি লোকসানে রয়েছে।
মাত্র ৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের এ কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ৭৫ লাখ ৫৬ হাজার ৬০০টি। এর মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে আছে ৩৩ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ। বাকি শেয়ারের মধ্যে ৬০ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে এবং ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ আছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে।
আরও পড়ুন>> ভিসানীতির খবরে শেয়ারবাজারে বড় দরপতন
এর আগে নর্দান জুট ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের প্রধান কার্যালয় (হেড অফিস) এবং কারখানা পরিদর্শন করে ডিএসই’র পরিদর্শক দল জানায়, কোম্পানিটির প্রধান কার্যালয় (হেড অফিস) অন্য প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করছে। আর বন্ধ রয়েছে কারখানা।
এ বিষয়ে বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে ডিএসই জানায়, গত ৪ সেপ্টেম্বর নর্দান জুট ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের কারখানা প্রাঙ্গণ পরিদর্শনে যায় ডিএসইর পরিদর্শক দল। কিন্তু কারখানা বন্ধ থাকার কারণে ভেতরে প্রবেশ করতে পারেনি পরিদর্শক দল।
এরপর ৫ সেপ্টেম্বর ডিএসই’র পরিদর্শক দল ঢাকায় কোম্পানিটির প্রধান কার্যালয় পরিদর্শনে যায়। সেখানে গিয়ে পরিদর্শক দল দেখতে পায় ‘ওএমসি লিমিটেড’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান প্রধান কার্যলয়টি ব্যবহার করছে।
১৯৯৪ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া নর্দান জুট ম্যানুফ্যাকচারিং ২০২০ সালের পর বিনিয়োগকারীদের কোনো ধরনের লভ্যাংশ দেয়নি। বর্তমানে কোম্পানিটি জেড ক্যাটাগরিতে রয়েছে।
মাত্র ২ কোটি ১৪ লাখ ২০ হাজার টাকা পরিশোধিত মূলধনের এ কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ২১ লাখ ৪২ হাজার। এর মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে আছে মাত্র ১৫ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। বাকি ৮৪ দশমিক ৯১ শতাংশই রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।
এমএএস/ইএ/জিকেএস