ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

চাইনিজ ইকোনমিক জোনের অবকাঠামো নির্মাণ সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৪:০৫ পিএম, ১৬ আগস্ট ২০২৩

চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারায় ৭৮৪ একর জমির ওপর চীন সরকারের অর্থায়নে জিটুজি ভিত্তিতে ‘চাইনিজ ইকোনমিক ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন’ হবে। এজন্য অবকাঠামো নির্মাণ ও উপযোগ সেবার সংস্থান সম্পর্কিত কাজ সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার কমিটি।

বুধবার (১৬ আগস্ট) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আমিন উল আহসান।

অতিরিক্ত সচিব বলেন, চীন সরকারের অর্থায়নে জিটুজি ভিত্তিতে ‘চাইনিজ ইকোনমিক ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন’ প্রতিষ্ঠার জন্য বহিস্থ অবকাঠামো নির্মাণ এবং উপযোগ সেবার সংস্থান সম্পর্কিত কাজ চীন সরকার মনোনীত ডেভেলপার চায়না রোড অ্যান্ড ব্রিজ করপোরেশনের (সিআরবিসি) কাছ থেকে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

২০১৪ সালের জুনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরকালে দেশটির সরকার চট্টগ্রামে একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও শিল্পাঞ্চল স্থাপনে আগ্রহ ব্যক্ত করে। ওই সফরে দুই দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। এর দুই বছর পর চীনা প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং ঢাকা সফরে এলে অর্থনৈতিক অঞ্চলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়।

এসময় ঠিক হয় অর্থনৈতিক অঞ্চলটির অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করবে চায়না হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড। কিন্তু দীর্ঘ সময়েও বেজার সঙ্গে চায়না হারবারের কোনো চূড়ান্ত চুক্তি না হওয়ায় অর্থনৈতিক অঞ্চলটির কোনো কাজ হয়নি।

এমন পরিস্থিতিতে দীর্ঘ ছয় বছর পর ২০২২ সালের ১১ আগস্ট চীনা অর্থনৈতিক অঞ্চলটি স্থাপনে চায়না রোড অ্যান্ড ব্রিজ করপোরেশনের সঙ্গে চুক্তি করে বেজা। এই চুক্তির আগেই চাইনিজ ইকোনমিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন স্থাপনে চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা উপজেলায় ৭৮৪ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়।

বেজার তথ্যানুযায়ী, চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর পূর্ব তীরে আনোয়ারা উপজেলার বেলচূড়া এলাকায় চীনের জন্য অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন টানেল থেকে এ অর্থনৈতিক অঞ্চলের দূরত্ব প্রায় দুই কিলোমিটার। চীনা অর্থনৈতিক অঞ্চলটিতে ওষুধ, তৈরি পোশাক, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ, রাসায়নিক, স্বাস্থ্য সরঞ্জাম, প্লাস্টিক পণ্য, তথ্যপ্রযুক্তি, ফার্নেস ও সিমেন্ট কারখানা হতে পারে। সেখানে স্থাপিত হবে ৩৭১টি শিল্পকারখানা।

চুক্তির এতদিন পর কেন চায়না রোড অ্যান্ড ব্রিজ করপোরেশন থেকে চাইনিজ ইকোনমিক ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন প্রতিষ্ঠার জন্য বহিস্থ অবকাঠামো নির্মাণ সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো?

এমন প্রশ্ন করা হলে অতিরিক্ত সচিব মো. আমিন উল আহসান বলেন, আলোচনায় যা বোঝা গেছে প্রস্তাব আগেও এসেছিল। কিন্তু যাচাই-বাছাইয়ের জন্য তা ফেরত পাঠানো হয়।

এমএএস/জেডএইচ/জেআইএম