খাদ্যমন্ত্রী
টিসিবির মাধ্যমে চাল বিতরণ প্রধানমন্ত্রীর সুচিন্তার ফল
টিসিবির মাধ্যমে চাল বিতরণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুচিন্তার ফল বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী চিন্তা করলেন জনসাধারণত টিসিবি থেকে তেল, ডাল, চিনির মতো নিত্যপণ্য সুলভে পায়। এর সঙ্গে চাল যুক্ত করলে তাদের সুবিধা হবে। বঙ্গবন্ধুকন্যার সেই জনবান্ধব চিন্তাকে আজ বাস্তবে রূপ দেওয়া হলো।
দেশব্যাপী তেল, চিনি ও ডালের সঙ্গে জনপ্রতি পাঁচ কেজি চাল বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
রোববার (১৬ জুলােই) রাজধানীর উত্তর সিটি করপোরেশনের ১ নম্বর ওয়ার্ডে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন খাদ্যমন্ত্রী। এসময় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি উপস্থিত ছিলেন।
এ কর্মসূচিতে ফ্যামিলি কার্ডধারী এক কোটি পরিবারের মধ্যে ৩০ টাকা দরে পাঁচ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। দেশব্যাপী এ কার্যক্রমে টিসিবির ডিলাররা নির্ধারিত দিন ও সময়ে বিতরণ করবেন।
একজন কার্ডধারী ২০০ টাকায় দুই লিটার সয়াবিন তেল, ১২০ টাকায় দুই কেজি মসুর ডাল, ৭০ টাকায় এক কেজি চিনি ও ১৫০ টাকায় ৫ কেজি চাল কিনতে পারবেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের পর শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এতে সারাবিশ্বে নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিক বাড়ে। এ অবস্থা থেকে দেশের নিম্ন আয়ের মানুষকে সহযোগিতার জন্য এক কোটি পরিবারের মধ্যে স্বল্পমূল্যের পণ্য বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এছাড়া সরকারের ওএমএস, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ও জেলেদের জন্য বিশেষ খাদ্যসহায়তা চলমান।
আরও পড়ুন>> ‘তেতো’ হয়ে উঠছে চিনি, বিশ্ববাজারে দাম কমলেও প্রভাব নেই দেশে)
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বছরে প্রায় ৩০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বিতরণ করা হয়। এর সঙ্গে এক কোটি টিসিবির কার্ডধারীকে বছরে ৬ লাখ মেট্রিক টন চাল দেওয়া হলে বাজারের ওপর চাপ কমবে, চাল উদ্বৃত্ত থাকবে। সাশ্রয়ীমূল্যে পণ্য কিনতে পারায় নিম্নআয়ের মানুষের সুবিধা হবে।
তিনি আরও বলেন, টিসিবি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতেগড়া প্রতিষ্ঠান। একসময় এর কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টিসিবি পুনরায় চালু করেন। সাধারণ মানুষ এখন টিসিবির সুফল পাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, টিসিবির লক্ষ্য এ কার্যক্রমে সাধারণ মানুষকে যুক্ত করা। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই নিত্যপণ্যের সঙ্গে চাল দেওয়া হচ্ছে, যাতে জনসাধারণ মানুষ উপকৃত হয়।
তিনি বলনে, এক কোটি পরিবার চাল পাওয়া মানে পাঁচ কোটি মানুষ সরাসরি এর মাধ্যমে উপকৃত হওয়া। এসময় তিনি টিসিবির কার্যক্রম সুষ্ঠু সুন্দরভাবে বাস্তবায়নে গণমাধ্যমকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ ও খাদ্য সচিব মো. ইসমাইল হোসেন বক্তব্য রাখেন।
দেশের নিম্ন আয়ের এক কোটি পরিবারের মধ্যে টিসিবির মাধ্যমে সয়াবিন তেল, মসুর ডাল ও চিনি বিক্রি করে আসছে সরকার। মহানগরী ছাড়াও দেশের বিভাগীয় শহর, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে টিসিবির স্থায়ী ডিলারদের কাছ থেকে নির্ধারিত সময়ে চারটি পণ্য সাশ্রয়ীমূল্যে কিনতে পারবেন ক্রেতারা।
এনএইচ/ইএ/জিকেএস