যমুনা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা নুরুল ইসলামের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ
দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পগ্রুপ যমুনা গ্রুপের সাবেক চেয়ারম্যান, দৈনিক যুগান্তরের স্বপ্নদ্রষ্টা, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই)। ২০২০ সালের এই দিনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি।
নুরুল ইসলামের সবেচেয়ে বড় অবদান হলো- তিনি অনেকগুলো শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার মাধ্যমে কেবল দেশের অর্থনীতির ভিতকেই সুদৃঢ় করেননি, একইসঙ্গে বিপুলসংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও করেছেন। যমুনা গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ কর্মরত।
সেদিক থেকে দেশের আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে তার ভূমিকা অনন্য। শিল্পপ্রতিষ্ঠান পরিচালনার ক্ষেত্রে তিনি ব্যবসায়ের সব নিয়মকানুন ও শৃঙ্খলা মেনে চলেছেন। নিয়মের বাইরে একচুলও যাননি। সব প্রতিষ্ঠান নিয়মতান্ত্রিকভাবে পরিচালনা করেছেন। অর্থনীতির ব্যষ্টিক ও সামষ্টিক উভয়ক্ষেত্রেই রয়েছে তার অবদান।
নুরুল ইসলাম ছিলেন আধুনিক চিন্তার একজন সাহসী উদ্যোক্তা। তিনি ১৯৭৪ সালে যমুনা গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেন। এ গ্রুপে রয়েছে মোট ৪১টি প্রতিষ্ঠান। তিনি ছিলেন একজন সফল স্বপ্নচারী মানুষ। নিজের উদ্ভাবনী চিন্তাকে বাস্তবে রূপ দিতে সচেষ্ট ছিলেন নুরুল ইসলাম।
এশিয়ার সবচেয়ে বড় শপিংমল যমুনা ফিউচার পার্ক এর উদাহরণ। দেশের শিল্প ও সেবা খাতে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে যমুনা গ্রুপ। ইলেকট্রনিক্স, বস্ত্র, ওভেন গার্মেন্টস, রাসায়নিক, চামড়া, মোটরসাইকেল, বেভারেজ, টয়লেট্রিজ, নির্মাণ ও আবাসন খাতের ব্যবসায় শীর্ষস্থানে রয়েছে এ গ্রুপ। যমুনা টেলিভিশনেরও প্রতিষ্ঠাতা তিনি।
নুরুল ইসলাম নীতির প্রতি ছিলেন একনিষ্ঠ। শুধু শিল্পপ্রতিষ্ঠান পরিচালনার ক্ষেত্রেই নয়; সমাজ, রাষ্ট্র, রাজনীতি- সব ক্ষেত্রেই তিনি ছিলেন দুর্নীতি ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার। দেশে ঋণখেলাপের সংস্কৃতি চালু থাকলেও তিনি এক্ষেত্রে ছিলেন এক বিরল ব্যতিক্রম। দেশের শিল্প ও সেবা খাতে নুরুল ইসলাম যে অসামান্য অবদান রেখে গেছেন, সেজন্য তিনি আজীবন স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
এএএইচ/এএসএম