ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

জমজমাট নতুন টাকার ভ্রাম্যমাণ বাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৩:৪৮ পিএম, ২৪ জুন ২০২৩

ঈদ মানেই খুশি। ঈদের খুশিকে বহুগুণ বাড়িয়ে দেয় নতুন টাকা। সালামিতে নতুন টাকার জুড়ি নেই। ছোট-বড় সবারই পছন্দ নতুন টাকা। একইসঙ্গে বকশিশ বা দান-খয়রাতেও অনেকে নতুন টাকা বিতরণ করেন। অনেকেই ব্যাংক থেকে সংগ্রহ করছেন নতুন টাকা। কেউ কেউ নিচ্ছেন ফুটপাত বা খোলাবাজার থেকে।

ঈদকে সামনে রেখে নতুন টাকার পসরা বসিয়েছেন খোলাবাজারের বিক্রেতারা। তাদের কাছে পাওয়া যাচ্ছে ২ থেকে ২০০ টাকার নোট। প্রতি বান্ডিল টাকায় বাড়তি ১০০-২০০ টাকা পর্যন্ত বেশি নেওয়া হচ্ছে। গুলিস্তান বা বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে অস্থায়ী বাজারে এ নতুন টাকা বিক্রি বেড়েছে। ক্রেতাদের অভিযোগ- ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত অর্থ রাখছেন নতুন টাকার বিনিময়ে।

জমজমাট নতুন টাকার ভ্রাম্যমাণ বাজার

শনিবার (২৪ জুন) রাজধানীর গুলিস্তান ও মতিঝিল এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অস্থায়ী ভ্রাম্যমাণ টাকা বিক্রেতারা ৫, ১০, ২০, ৫০, ১০০ ও ২০০ টাকার নতুন নোট বিক্রি করছেন। প্রতি এক বান্ডিল টাকা কিনতে হলে ক্রেতাকে অতিরিক্ত ১০০-১৭০ টাকা পর্যন্ত বেশি গুনতে হচ্ছে। এসব বাজারে ২ টাকার এক বান্ডেলে বাড়তি ২০০ টাকা রাখা হচ্ছে।

আর ৫ টাকার এক বান্ডিলের জন্য ১৫০-১৭০ টাকা, ১০ টাকার এক বান্ডিল ১০০-১২০ টাকা, ২০ টাকার এক বান্ডিলে ১২০-১৪০ টাকা, ৫০ টাকার এক বান্ডিলে ১৭০ টাকা, ১০০ টাকার এক বান্ডিলে ১৫০ টাকা এবং ২০০ টাকার এক বান্ডিলের জন্য অতিরিক্ত ২০০ টাকা দিতে হচ্ছে।

জমজমাট নতুন টাকার ভ্রাম্যমাণ বাজার

নতুন টাকার দাম নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে। বিক্রেতারা বলছেন, বছরব্যাপী কোনো টাকা বিক্রি হয় না। প্রতিবারেই শেষ সময়ে একটু বেশি রাখা হয়। এ দাম আহামরি কিছু না। সচরাচর দামেই বিক্রি হচ্ছে। গত বারের চেয়ে এবার বিক্রি কম এমনটাও জানান তারা।

তবে ক্রেতারা বলছেন, বছরের অন্য সময়ে এক বান্ডিল নতুন টাকা নিতে ৫০ থেকে ৬০ টাকায় পাওয়া গেলেও এখন ২০০ টাকা বেশি রাখা হচ্ছে।

জমজমাট নতুন টাকার ভ্রাম্যমাণ বাজার

গুলিস্তানে ভ্রাম্যমাণ টাকা বিক্রেতা হাসান মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, বছরের অন্যান্য সময় অনেকটা অলস সময় পার করতে হয়। কোনো বেচা-বিক্রি থাকে না। ছেড়া-ফাটা টাকার ব্যবসা হয়। ঈদ এলে সবাই আনন্দে থাকেন। খুশি মনেই ক্রেতারা বাড়তি টাকা দেন।

গুলিস্তানে নতুন টাকা কিনতে আসা মুরাদ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, গত ঈদে আমি বাড়িতে যেতে পারিনি, এবার যেতে চাই। গ্রামে গেলে ছোটরা নতুন টাকা চেয়ে বসেন। এ কারণে নতুন টাকা নিতে এসেছি, ব্যাংকে অনেক ভিড়। তাই ফুটপাতই আমার ভরসা। এখানে বাড়তি ২০০ টাকা পর্যন্ত বেশি চাওয়া হচ্ছে।

ইএআর/এএএইচ/জেআইএম