ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

নন-কটন পোশাক রপ্তানি

বাজেটে ১০ শতাংশ বিশেষ প্রণোদনা চায় বিজিএমইএ

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৩:০৭ পিএম, ১১ মে ২০২৩

আসন্ন ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বাজেটে নন-কটন পোশাক রপ্তানির ওপর ১০ শতাংশ বিশেষ প্রণোদনা চায় বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। বিশেষ এ প্রণোদনা দেওয়া হলে রপ্তানির সঙ্গে রাজস্ব ও কর্মসংস্থান বাড়বে বলেও জানিয়েছে বিজিএমইএ।

বৃহস্পতিবার (১১ মে) রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে ‘পোশাকশিল্পের সার্বিক পরিস্থিতি’ নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান। এসময় বিজিএমইএ পর্ষদ সদস্য ছাড়াও অন্যান্য উদ্যোক্তা উপস্থিত ছিলেন।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, বিগত চার দশকে আমাদের তৈরিপোশাক রপ্তানি ৪৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছালেও পণের ম্যাটেরিয়াল ডাইভারসিফিকেশন তুলনামূলক কম হয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরের রপ্তানি অনুযায়ী আমাদের মোট পোশাক রপ্তানির প্রায় ৭৩ শতাংশ ছিল কটনের তৈরি, যা ১৩ বছর পূর্বে ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ছিল ৬৯ শতাংশ, অর্থাৎ বিগত ১০ বছরে আমাদের শিল্পের কটননির্ভরতা বেড়েছে, যদিও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নন-কটন পোশাকের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি আশাব্যঞ্জক। বর্তমান বিশ্বে ভোক্তাদের ক্রমাগত জীবনযাত্রার পরিবর্তন এবং টেকসই ও পরিবেশবান্ধব পোশাকের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে নন-কটন পণ্যের চাহিদা বাড়ছে। যেখানে বিশ্বে মোট টেক্সটাইল কনজাম্পশনের প্রায় ৭৫ শতাংশই নন-কটন এবং কটনের শেয়ার মাত্র ২৫ শতাংশ; বর্তমানে বৈশ্বিক পোশাক বাণিজ্যের ৫২ শতাংশ পণ্য নন-কটনের, সেখানে আমাদের নন-কটন পোশাকের রপ্তানির মাত্র ২৬ শতাংশ।

বিগত দশকে আমাদের দেশে নন-কটন, বিশেষত ম্যান-মেড-ফাইবার খাতে কিছু বিনিয়োগ হলেও এসব বিনিয়োগ মূলত মূলধন এবং টেকনোলজিনির্ভর। প্রতিযোগী দেশগুলােতে স্থানীয় পর্যায়ে এই শিল্পের কাঁচামালের জোগান থাকায় এবং তাদের স্কেল ইকোনমির কারণে তারা প্রতিযোগী সক্ষমতায় অনেক এগিয়ে আছে।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, নন-কটন পণ্যের বৈশ্বিক বাজার এবং আমাদের রপ্তানি সম্ভাব্যতা বিবেচনায় নিয়ে এ খাতে বিনিয়োগ ও রপ্তানি উৎসাহিত করতে এবং প্রতিযােগী সক্ষমতা ধরে রাখতে নন-কটন পোশাক রপ্তানির ওপর ১০ শতাংশ (রপ্তানি মূল্যের) হারে বিশেষ প্রণোদনা প্রদানের জন্য আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে বিশেষ অর্থ বরাদ্দের জন্য সরকারের কাছে বিনীত অনুরোধ জানাই।

তিনি বলেন, এই বিশষ প্রণোদনা প্রদান করা হলে আমাদের রপ্তানি বাড়বে, নতুন বিনিয়োগ আসবে, কর্মসংস্থান বাড়বে। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সেবাখাতে ব্যাপক সুযোগ তৈরি হবে, সর্বোপরি সরকারের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ রাজস্ব আহরণের পরিমাণ বাড়বে।

ইএআর/বিএ/জিকেএস