অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যক্তিখাত অগ্রাধিকার পাচ্ছে
দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যক্তিখাতকে প্রাধান্য দিতে হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান। তিনি বলেছেন, দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে ব্যক্তিখাতকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এবং আমরা সেটিই করছি।
শনিবার রাজধানীর বাংলাদেশ ব্যাংক প্রশিক্ষন একাডেমিতে টাকা জাদুঘরের বর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে শিল্পী হাশেম খান, স্থপতি রবিউল হুসাইন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক শুভংকর সাহা, মুদ্রা সংগ্রাহক মুহাম্মদ হোসেন চৌধুরিসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
আতিউর রহমান বলেন, অর্থনীতির জটিল হিসাবায়নের সাথে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সুষ্ঠু রেগুলেটর হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক মূলত কাজ করে থাকে। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে শুধু মুদ্রানীতি ও আর্থিক স্থিতিশীলতার বিষয়গুলোর মধ্যে এর কার্যক্রম সীমিত রাখেনি। বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। এদেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের জন্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ম্যান্ডেট’ অনুযায়ী নানামুখী প্রবৃদ্ধি সহায়ক কর্মকান্ড পরিচালনা করা। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক তার প্রথাগত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের পাশাপাশি একটি কল্যাণধর্মী উন্নয়নমুখী কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, সরকারের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন কৌশলের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পূরক কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সকলের অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করাই এ কৌশলের লক্ষ্য। এ লক্ষ্যার্জনে আর্থিক অন্তর্ভূক্তির প্রসার, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা উন্নয়ন, নারী উদ্যোক্তা উন্নয়ন, মোবাইল ব্যাংকিং, এজেন্ট ব্যাংকিং এবং সবুজ ও টেকসই অর্থায়ন ইত্যাদি উদ্যোগ হাতে নেয়া হয়েছে। অর্থনৈতিক অগ্রগতি তরান্বিত করতে নীতি ও কর্মসূচি প্রণয়নে আমরা ব্যক্তি খাতের উন্নয়নকে প্রাধান্য দিচ্ছি।
আতিউর জানান, আগে কৃষক নারী উদ্যোক্তারা ব্যাংকে যেতে ভয় পেতেন, সেখানে এখন তারা সহজেই ব্যাংক থেকে ঋণ পাচ্ছেন। ঋণের শর্তাবলী নিয়ে ব্যাংকারদের সাথে দরকষাকষি করতে পারছেন। আমাদের এই কৌশল গ্রহণের ফলে বাংলাদেশের মোট ঋণের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ কৃষকসহ খুদে ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের কাছে যাচ্ছে। স্বদেশের ভেতরে চাহিদা তৈরি হচ্ছে। ফলে বিশ্ব আর্থিক মন্দা মোকাবেলায় আমাদের সাফল্য অনেকেই অবাক বিস্ময়ে দেখছেন।