ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

৩৪৭ কোটি টাকা খরচে সেচের আওতায় আসবে ৬৭০০ হেক্টর জমি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:৪২ পিএম, ১৬ মার্চ ২০২৩

চাঁদপুর জেলার মতলব (উত্তর) উপজেলায় মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের ক্ষতিগ্রস্ত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ, সেচ ও নিষ্কাশন খাল, সেচ অবকাঠামো মেরামত ও পুনর্বাসন কাজ করা হবে। জনগণের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ও মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ‘মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের পুনর্বাসন ও নদী তীর সংরক্ষণ’ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এর ফলে ওই এলাকার ৬ হাজার ৭০০ হেক্টর জমি সেচের আওতায় এনে প্রতি বছর অতিরিক্ত ১১ হাজার ৪৭১ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন সম্ভব হবে।

পরিকল্পনা কমিশন জানায়, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ৩৪৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ব্যয়ে এটি বাস্তবায়ন করবে। জানুয়ারি ২০২৩ থেকে জুন ২০২৫ মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে চাঁদপুর মতলব (উত্তর) উপজেলায়।

প্রধান কার্যক্রম

সেচ খালে ফেরো-সিমেন্ট লাইনিং কাজ ১২৭ কিলোমিটার, সেচ খালে ফেরো-সিমেন্ট লাইনিং মেরামতকরণ ৫৪ কিলোমিটার ও প্রধান সেচ খালের ডাইক মেরামত ২৩ দশমিক ৮০ কিলোমিটার। সেচ কাঠামো (টার্ন আউট, রেগুলেটর, চেক গেইট, এস্কেপ, সাইফুন, একুইডাক) মেরামত ৪৭৮টি ও সেচ অবকাঠামো (টার্ন আউট, ফুট স্ল্যাব ও চেক গেইট) পুনর্নির্মাণ ১২১টি, বৃক্ষরোপণ ১০ হাজার, মাঠনালা পাকাকরণ ৬০ কিলোমিটার, নিষ্কাশন খাল পুনঃখনন ১২ কিলোমিটার ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পিরিয়ডিক মেরামত ৬০ কিলোমিটার।

আরও পড়ুন: চাঁদপুরে সেচ প্রকল্পের খালেই পানি নেই

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের মেরামত ও পুনরাকৃতিকরণ ১২ কিলোমিটার, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের স্লোপ প্রতিরক্ষা ২.০২ কিলোমিটার, নদীর তীর সংরক্ষণ মেরামত ০ দশমিক ৮ কিলোমিটার ও নদীর তীর সংরক্ষণ ১ দশমিক ৪৫০ কিলোমিটার, ফ্লাড ওয়াল নির্মাণ ৩ কিলোমিটার, ফ্লটিং পাম্প স্থাপন ৩টি, নিষ্কাশন খালে কচুরিপানাসহ অন্যান্য আগাছা অপসারণ কাজ ১৬১ দশমিক ১২ কিলোমিটার।

প্রকল্পের আওতায় সীমানা দেওয়াল নির্মাণ ২৭৮০ মিটার এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধেঁর বিভিন্ন স্থানে সিঁড়ি ও র্যাম্প নির্মাণ ১৮টি।

পরিকল্পনা কমিশনের মতামত

প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে প্রকল্প এলাকার ৬ হাজার ৭০০ হেক্টর জমি সেচের আওতায় এনে প্রতি বছর অতিরিক্ত ১১ হাজার ৪৭১ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন করা সম্ভব হবে। ফলে প্রকল্প এলাকার আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হবে এবং প্রকল্পটি দেশের খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

এমওএস/এমএইচআর/জেআইএম