বাংলাদেশ বিজনেস সামিট
প্রাণ-আরএফএল পণ্যের প্রশংসা করলেন বিদেশি ডেলিগেটরা
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে চলছে বাংলাদেশ বিজনেস সামিট। আন্তর্জাতিক এ বিজনেস সামিটে ১৭টি দেশের ২০০টিরও বেশি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন। বিদেশি এসব ডেলিগেটের জন্য ৮ হাজার ৩০০ ধরনের পণ্য তুলে ধরছে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ। দেশের শীর্ষস্থানীয় এ শিল্পগ্রুপ এরইমধ্যে ১৪৫টি দেশে তাদের পণ্য রপ্তানি করে আসছে। বিজনেস সামিটে আসা বিদেশি ডেলিগেটরাও প্রাণ-আরএফএল’র এসব পণ্যের প্রশংসা করছেন।
রোববার (১২ মার্চ) আন্তর্জাতিক এ বিজনেস সামিটে সরেজমিনে এসব তথ্য পাওয়া যায়।
এর আগে শনিবার সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) তিন দিনব্যাপী এই বিজনেস সামিটের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি একইদিন সামিটের অন্যতম আকর্ষণ বেস্ট অব বাংলাদেশ এক্সপোরও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: দেশি-বিদেশি ডেলিগেটদের অংশগ্রহণে দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচি শুরু
সামিটের প্রথম দিনে দেড় শতাধিক বিদেশি ডেলিগেট প্রাণ-আরএফএল'র স্টল পরিদর্শন করেন। প্যাভিলিয়নে প্রদর্শন করা পণ্য দেখে প্রশংসা করেন তারা। তাদের অনেকেই বলেন, আমার দেশে (বিদেশি ডেলিগেটদের দেশে) সুনামের সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করছে প্রাণ।
এ বিষয়ে প্রাণ-আরএফএল’র মার্কেটিং ইভেন্টস মাহফুজুর রহমান নয়ন বলেন, এবারের সামিটের প্রথম দিনে ২০০ বিদেশি ডেলিগেট এসেছেন, যাদের মধ্যে দেড় শতাধিক ডেলিগেট আমাদের প্যাভিলিয়ন পরিদর্শন করেন। আমরা যখন ডেলিগেটদের গ্রুপ সম্পর্কে বলি, অধিকাংশ ডেলিগেটই আগে থেকে চেনেন বলে জানান। তাদেরকে আমরা আমাদের পণ্যের কোয়ালিটির বিষয়ে তুলে ধরেছি। সবাই আমাদের পণ্যের প্রশংসা করেছেন।
আরএফএল- এর ২২ ক্যাটাগরির ৫ হাজার ৫০০টি পণ্যের সবগুলোই দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। প্রাণ- এর দুই হাজার ৮০০ পণ্য রয়েছে মোট ৯ ক্যাটাগরিতে। এর মধ্যে ৭ ক্যাটাগরির দুই হাজার ২০০ পণ্য রপ্তানি হয়। বাকি পণ্যও রপ্তানি পর্যায়ে রয়েছে।
ঢাকায় আয়োজিত এই সামিটে যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, চীন, ভুটান, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ সাতটি দেশের মন্ত্রীরা অংশ নিয়েছেন। পাশাপাশি ১২টি বহুজাতিক কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ১৭টি দেশের ২০০টিরও বেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারী প্রতিনিধি এবং ব্যবসায়ী নেতারা অংশ নিয়েছেন। প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষে সামিটের আয়োজন করেছে এফবিসিসিআই।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে নিজ দেশ মনে করে বিনিয়োগ করুন
বিগত ৫০ বছরে অর্থনীতিতে বাংলাদেশের অর্জন এবং রপ্তানি ও স্থানীয় ভোক্তা বাজারের পাশাপাশি বিনিয়োগ সক্ষমতা বিদেশিদের কাছে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছে এফবিসিসিআই। বাংলাদেশ বিজনেস সামিটে এফবিসিসিআইয়ের অংশীদার হিসেবে কাজ করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। বিভিন্ন কৌশলগত বিষয়ে তিনটি প্লেনারি সেশন, ১৪টি প্যারালাল সেশন, বিজনেস টু বিজনেস মিট, নেটওয়ার্কিং সেশন, একটি ওপেন হাউস রিসেপশন এবং আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিদের জন্য গাইডেড ট্যুর রয়েছে এ সামিটে।
এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ বিজনেস সামিটে আপনাদের উপস্থিতিতে আমি উচ্ছ্বসিত। আমি বিশ্বাস করি যে এই ইভেন্টটি ব্যবসায়িক ধারণা আদান-প্রদান, পারস্পারিক সম্পর্ক গড়ে তোলা এবং বাংলাদেশে নতুন ব্যবসার সুযোগ সৃষ্টির জন্য একটি চমৎকার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে।
বাংলাদেশ বিজনেস সামিটে বিভিন্ন ব্যবসায়ী নেতা, নীতিনির্ধারক, আন্তর্জাতিক সংগঠনের প্রতিনিধি এবং ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর প্রধানরা উপস্থিত থেকে বাংলাদেশ এবং বিশ্ব অর্থনীতি সম্পর্কে আলোচনা করেন। বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিষয়ে করণীয় নিয়েও তাদের অভিমত তুলে ধরেন।
ইএআর/কেএসআর/এমএস