ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

দুইশ টাকার নিচে নেই বিদেশি ফল

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০১:৪১ পিএম, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে কেক, পেস্ট্রির ব্যবসা করেন রাজধানীর মিরপুরের রুকাইয়া জহির। কেকে টপিংস দিতে ব্যবহার করেন আপেল, কমলা, স্ট্রবেরির মতো বিদেশি ফল। তবে ডলার সংকটে আমদানির লাগাম টানায় দিনকে দিন গরম হচ্ছে বিদেশি ফলের বাজার। এতে ভোক্তার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন রুকাইয়ার মতো ব্যবসায়ীরা।

রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে মিরপুর সাড়ে ১১ বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ফল মার্কেটে কথা হয় এই ব্যবসায়ীর সঙ্গে।

জাগো নিউজকে তিনি বলেন, গত সপ্তাহে স্ট্রবেরি ৫০০ টাকা কেজি ছিল। আজ সেগুলো বলছে ৬০০ টাকা। দোকানি বলছেন এগুলো আকারে বড়। অথচ গত সপ্তাহে এই স্ট্রবেরি ৫০০ টাকায় কিনেছি। একইভাবে আপেল, নাশপাতি, কমলার দামও বাড়তি।

আরও পড়ুন: রমজানে অতি বিলাসী বিদেশি ফল আমদানি বন্ধ চায় ভোক্তা অধিকার

রুকাইয়ার কথার সূত্র ধরে মিরপুরের বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, ২০০ টাকার কমে বাজারে মিলছে না কোনো বিদেশি ফল। এমনকি সপ্তাহ ব্যবধানে এসব ফলের দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ২০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে এখন ফুজি আপেল বিক্রি হচ্ছে ২০০-২৪০ টাকা প্রতি কেজি। এছাড়াও প্রতি কেজি সবুজ আপেল ৩০০-৩২০ টাকা, মালটা ২০০-২২০ টাকা, নাশপাতি ৩২০ টাকা, ডালিম ৩৫০ টাকা, কালো আঙ্গুর ৩৫০ টাকা, সাদা আঙ্গুর ২৬০ টাকা, চায়না কমলা ২২০ টাকা, ইন্ডিয়ান কমলা ২৫০-২৬০ টাকা, ড্রাগন ফ্রুটস আকারভেদে ৩৫০- ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

fruits-2.jpg

ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিদেশি ফলের দাম বাড়া-কমার মধ্যে রয়েছে। কখনো দাম কিছুটা কমলেও পরক্ষণে ফের বেড়ে যাচ্ছে। বাড়তি দাম শুনে অনেক ক্রেতা ফল না কিনেই ফিরে যাচ্ছেন। যারা কেনেন তারাও অল্প পরিমাণে কিনছেন। কারণ, এরই মধ্যে ফলের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে।

আরও পড়ুন: বিদেশি ফল না খেয়ে দেশি ফল খাওয়ার পরামর্শ ভূমিমন্ত্রীর

মুসলিম বাজারের ফল ব্যবসায়ী মোজাম্মেল খান বলেন, ডলারের দাম বেশি। বিদেশ থেকে আনা ফলের দামও বেশি। তিনি বলেন, তবে বাজারে পর্যাপ্ত ফল আছে। রোজার আগে দাম আরও বাড়বে কি না এখনই বলা যাচ্ছে না। বাজারে যেহেতু তরমুজ উঠে গেছে, রোজায় প্রচুর তরমুজ বিক্রি হবে। তখন ফলের দাম কমতেও পারে।

এরই মধ্যে গ্রীষ্মের ফল তরমুজের সরবরাহ বেড়েছে বাজারে। দাম এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে কমেছে ১০ টাকা। এ বিষয়ে শাহিন নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকে বাজারে আসতে শুরু করেছে তরমুজ। এখন বাজারে প্রচুর তরমুজ মিলছে। গত সপ্তাহে তরমুজ ছিল ৭০ টাকা কেজি। এখন সেটা ৬০ টাকায় নেমেছে। তরমুজের দাম আরও কমবে।

আরও পড়ুন: পৃথিবীর অন্যতম পুষ্টিকর অ্যাভোকাডো হচ্ছে বাংলাদেশে

মিরপুর ১১ নম্বরের ফল ব্যবসায়ী আমজাদ উল্লাহ বলেন, দেশি ফলের দাম কম আছে। প্রতি কেজি আপেল কুল ১২০ টাকা, থাই কুল ১০০ টাকা, দেশি টক-মিষ্টি কুল ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা আমের দাম এখন একটু বেশি। এক পোয়া (২৫০ গ্রাম) আম বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। এক পোয়ায় একটা বা দুইটা আম হচ্ছে। বাজারে প্রতিপিস বেল ৫০ টাকা, চালতা ৪০ টাকা, আনারস ৪০-৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি কামরাঙা ও সফেদা ৮০ টাকা, পেয়ারা ৬০ টাকা, আমড়া ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এসএম/কেএসআর/এমএস