বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন
করোনা সংকটে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ আয় কমবে ১০ শতাংশ
কোভিড-১৯ মহামারি বৈশ্বিক জীবনচক্রে জটিল প্রভাব ফেলেছে। মানব পুঁজিতে ব্যাপক পতন ঘটিয়েছে। নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে লাখ লাখ শিশু ও যুবক-যুবতির উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করেছে। আজকের শিক্ষার্থীরা কোভিড-১৯ এর কারণে শিক্ষাগত সমস্যা পড়ায় তাদের ভবিষ্যতের উপার্জনের ১০ শতাংশ পর্যন্ত হারাতে পারে। করোনার কারণে আজকের শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের ঘাটতি হতে পারে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত।
শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিশ্বব্যাংকের ওয়াশিংটন থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: করোনায় স্কুল বন্ধের ক্ষতি প্রজন্মান্তরে চলতে থাকবে
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে করোনায় শিক্ষাগত ক্ষতি পুনরুদ্ধারের বিষয়টি উঠে এসেছে। কোভিড-১৯ মানব পুঁজিকে নষ্ট করেছে এবং তরুণদের ওপর মহামারির প্রভাব সবচেয়ে বেশি। মানব পুঁজি মানুষের জীবনজুড়ে রয়েছে। জ্ঞান, দক্ষতা এবং স্বাস্থ্যগত বিষয় সঞ্চয় করে একটি শিশু সম্ভাবনার দিকে অগ্রসর হয়। জ্ঞান শক্তিশালী ভবিষ্যৎ গঠনের চাবিকাঠি। কিন্তু করোনা সংকটে স্কুল এবং কর্মসংস্থানের স্থানগুলো বন্ধ করে দেয়া হয় এবং অন্যান্য মূল পরিষেবাগুলো ব্যাহত হয়। ফলে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়েছে আজকের শিশুরা।
আরও পড়ুন: করোনায় শিক্ষার্থী কমছে ঢাকার স্কুল-কলেজে
বিশ্বব্যাংক গ্রুপের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস বলেন, মহামারি চলাকালীন স্কুল বন্ধ ছিল। লকডাউন এবং পরিষেবাগুলোতে ব্যাঘাত মানব পুঁজি তৈরিতে ব্যাঘাত ঘটিয়েছে। ভিত্তিগত শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও দক্ষতার ওপর আঘাত হেনেছে। স্বাস্থ্যগত ধাক্কা, ধীরগতির প্রবৃদ্ধি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আমরা পিছিয়ে গেছি। একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নতির জন্য শক্ত ভিত্তি স্থাপন প্রয়োজন।
মহামারির কারণে বিভিন্ন দেশে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক ভাষা এবং সাক্ষরতার ৩৪ শতাংশ এবং গণিতে ২৯ শতাংশের বেশি শেখার হার হারিয়েছে। মহামারিকালে শিশুরা বৃহত্তর খাদ্য নিরাপত্তাহীনতারও মুখোমুখি হয়েছিল।
এমওএস/এমকেআর