ইউরোপে রপ্তানি বাড়াতে পণ্যে বৈচিত্র্য আনার তাগিদ
স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে বাংলাদেশ বের হয়ে গেলে ইউরোপের বাজারে পোশাকপণ্য রপ্তানিতে কিছু বাণিজ্য সুবিধা হারাতে হবে। সে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের রপ্তানিপণ্য বৈচিত্র্য করার দিকে নজর দিতে হবে। বিভিন্ন দেশ বা অঞ্চলেও তৈরি করতে হবে রপ্তানির বাজার। এজন্য সব ধরনের পলিসি সাপোর্ট দেবে সরকার।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) এক সেমিনারে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। ‘সমসাময়িক বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চিত্র: বাংলাদেশের ইপিজেডের শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা)।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহম্মদ জিয়াউর রহমান, এনডিসি, পিএসসি। বেপজার সদস্য (বিনিয়োগ উন্নয়ন) আলী রেজা মজিদের পরিচালনায় সেমিনারে বক্তব্য রাখেন রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের (র্যাপিড) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, ইপিজেড ইনভেস্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এস এম খান, বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক ইফতেখার আউয়াল ভূইয়া, রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (কাস্টমস রপ্তানি, বন্ড ও আইটি) হোসেন আহমেদ প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, বেসরকারি শিল্প অর্থনীতির চালিকা শক্তি। আমরা স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে পুরোপুরি বের হলে রপ্তানিতে কিছু চ্যালেঞ্জ তৈরি হবে। এজন্য আমাদের ব্যবসার নতুন নতুন ক্ষেত্র তৈরি করতে হবে। আমাদের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় রপ্তানিপণ্যে বৈচিত্র্য আনতে হবে। বিশ্বব্যাপী কৃত্রিম (সিনথেটিক) উপাদান দ্বারা প্রস্তুত করা পোশাকের চাহিদা বাড়ছে। আমাদের ম্যান মেড ফাইবারের (এমএমএফ) বাজার ধরতে হবে। এজন্য সরকারের পক্ষ থেকে রপ্তানি বাড়াতে সব ধরনের পলিসি সাপোর্ট দেওয়া হবে।
বেপজার পক্ষ থেকে সেমিনারে বলা হয়, কোভিড পরবর্তী বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং ভূ-রাজনৈতিক অন্যান্য বিষয় বিশ্ব অর্থনীতিকে একটি চ্যালেঞ্জিং অবস্থার মধ্যে ফেলেছ। এর ফলে বাংলাদেশে হঠাৎ করেই রপ্তানি নিম্নমুখী প্রবণতা তৈরি হয়েছে। এর প্রভাব ইপিজেডের অনেক প্রতিষ্ঠানেও লক্ষ্য করা গেছে। তবে এর বিপরীতে কিছু পণ্যের চাহিদাও তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে ইপিজেডে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিনিয়োগের আগ্রহ তৈরি হয়েছে এবং বাড়ছে।
ইএআর/কেএসআর/জেআইএম