সংকটেও রপ্তানি আয় বাড়লো ৫.৮৯ শতাংশ
মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে বিশ্ব। ২০২২ সাল কেটেছে এই সংকটেই। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। এরমধ্যে নতুন বছরের শুরুতেই দেশে গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি ব্যবসায়ীদের আরও বিপাকে ফেলেছে। এর মাঝে কিছুটা সুখবর মিলেছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে। প্রবৃদ্ধি হলেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: রপ্তানি আয়ে ডলারের দাম আরও বাড়লো
জানা গেছে, জানুয়ারিতে রপ্তানিকারকরা আয় করেছেন ৫১৩ কোটি ৬২ লাখ ডলার (৫ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলার), যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ বেশি। যদিও এই আয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২ দশমিক ২০ শতাংশ কম। জানুয়ারিতে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল পাঁচ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবির) হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
আরও পড়ুন: রমজানের দুই মাস আগেই বাড়ছে ছোলা-খেজুরসহ নিত্যপণ্যের দাম
এদিকে সংস্থাটির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি এই সাত মাসে রপ্তানি আয় হয়েছে ৩২ হাজার ৩৩৭ কোটি ডলার। এসময় তৈরি পোশাক ছাড়া অন্য কোনো পণ্যে প্রবৃদ্ধি হয়নি। এই সাত মাসে মোট দুই হাজার ৭৪১ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে, যা মোট রপ্তানি আয়ের ৮৪ দশমিক ৫০ শতাংশ। গত অর্থবছরের তুলনায় এ খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৪ দশমিক ৩১ শতাংশ। একইভাবে চামড়াজাত পণ্যে ৭ দশমিক ৩৭ শতাংশ ও প্লাস্টিক পণ্যে ৪০ দশমিক ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
আরও পড়ুন: টিসিবির জন্য কেনা হচ্ছে ১৯৪ কোটি টাকার সয়াবিন তেল
আর গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এবার কৃষিপণ্য ২৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ, হিমায়িত মাছে ২২ দশমিক ৩৯ শতাংশ, হস্তশিল্পে ৩৪ দশমিক ১০ শতাংশ, পাটজাত পণ্যে ২১ দশমিক ২২ শতাংশ এবং কাঁচপণ্যের রপ্তানি ৪৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ কমেছে।
২০২২-২৩ অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৫৮ বিলিয়ন ডলার।
এসএম/জেডএইচ/জেআইএম