সবুজ কারখানার সনদ পেলো জেকেএল ও জেএল ফ্যাশন
সবুজ কারখানা বা গ্রিন ফ্যাক্টরির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে জেকেএল ও জেএল ফ্যাশন। প্রতিষ্ঠান দুটিকে ‘লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন (এলইইডি)’ সনদ দেওয়া হয়।
এর আগে গত সপ্তাহে সনদ পেয়েছিল আমানত শাহ ফেব্রিকস লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি গোল্ড ক্যাটাগরিতে এলইইডি সনদ পায়। আর নতুন কারখানা দুটি সনদ পেয়েছে প্লাটিনাম ক্যাটাগরিতে।
আরও পড়ুন: পোশাকখাতে অনেক চ্যালেঞ্জ, সুযোগ সীমাহীন
এ নিয়ে নতুন বছরে তিন প্রতিষ্ঠান এলইইডি সনদ পেলো। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ১৮৬টি এলইইডি সনদ পাওয়া কারখানার খ্যাতি অর্জন করলো বাংলাদেশ।
জেএল ফ্যাশনের কারখানাটি গাজীপুর সদরের ভবানীপুরে অবস্থিত। আর জেকেএল কারখানাটি গাজীপুরের মাওনা শ্রীপুরে অবস্থিত।
দেশে ইউএসজিবির সনদ পাওয়া সবুজ কারখানার মধ্যে রয়েছে প্লাটিনাম ৬২টি, গোল্ড ১১০টি, সিলভার ১০টি ও সার্টিফাইড চারটি। এতে মোট গ্রিন ফ্যাক্টরি বা সবুজ কারখানার সংখ্যা দাঁড়াল ১৮৬টিতে।
আরও পড়ুন: সবুজ এসএমই কারখানা স্থাপনে প্রণোদনা দিচ্ছে বাংলাদেশ
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান ‘ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল’ এ সনদ দেয়। ইউএসজিবি বাণিজ্যিক ভবন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বাড়িসহ অন্যান্য স্থাপনার ক্ষেত্রেও সনদ দেয়। তবে শিল্পকারখানার ভবন নির্মাণ থেকে পণ্য উৎপাদন পর্যন্ত সব পর্যায়ে পরিবেশ সুরক্ষার বিষয়টি চুলচেরা বিশ্লেষণ করে সর্বোচ্চ মানের কারখানাকে এ সনদ দেয় তারা।
আরও পড়ুন: দেশের প্রথম গ্রিন ইকোনমিক জোন সিরাজগঞ্জে, কাজ পাবে ৫ লাখ মানুষ
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, সবুজ কারখানায় উৎপাদিত পণ্যের গায়ে গ্রিন ট্যাগ সংযুক্ত থাকে। অর্থাৎ পণ্যটি সবুজ কারখানায় উৎপাদিত। বিশ্ব বাজারে ক্রেতার কাছেও আলাদা কদর রয়েছে। এতে বিদেশি ব্র্যান্ড এবং ক্রেতার কাছে আস্থা বাড়ে। উৎপাদিত পণ্য নিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে দর কষাকষিতেও এগিয়ে থাকা যায়। মূল কথা হলো এ সনদ দেশ ও পোশাকখাতের ব্র্যান্ড ইমেজ বাড়াতে সহায়তা করে।
ইএআর/জেডএইচ/জেআইএম