পারফরম্যান্সের ব্যাখ্যা চাওয়ায় ন্যাশনাল ব্যাংক এমডির পদত্যাগ
ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের (এনবিএল) ঋণ বিতরণ, আদায় ও খেলাপিসহ সামগ্রিক পারফরম্যান্স নিয়ে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ মেহমুদ হোসেনকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। এতে তিনি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। আর পারফরম্যান্সের বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হলে তিনি জবাব না দিয়ে বৈঠক ত্যাগ করেন। পরে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে এমডি পদ থেকে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
তার পদত্যাগপত্র ব্যাংকটির পর্ষদ সভায় গ্রহণ করা হয়। একই সঙ্গে ব্যাংকটির উপ-ব্যবস্থপনা পরিচালক (ডিএমডি) সৈয়দ রইস উদ্দিনকে এমডি চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়।
এসব বিষয়ে বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব ব্যাখ্যা দিয়েছেন ন্যাশনাল ব্যাংকের প্রতিনিধি দল। ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালক রণ হক সিকদার ও ব্যাংকটির এমডির চলতি দায়িত্বে থাকা সৈয়দ রইস উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল অংশ নেয় বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈঠকে অংশ নেওয়া এক কর্মকর্তার সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি অনিয়ম ও বেনামি ঋণ ঠেকাতে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডকে (এনবিএল) ১০ কোটি টাকার বেশি ঋণ দিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। পাশাপাশি নগদ আদায় ছাড়া পুরোনো ঋণ নবায়ন করা যাবে না, শতভাগ নগদ টাকা জমা ছাড়া নতুন করে ঋণপত্র (এলসি) খোলাতেও নিষেধ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত রোববার এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়ে এনবিএল কর্তৃপক্ষকে একটি চিঠিও দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বৈঠকে উপস্থিত বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, গভর্নরের সঙ্গে ন্যাশনাল ব্যাংক প্রতিনিধি দলের রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিষয়ে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত সময় মত জানানো হবে।
এর আগে গত বুধবার ন্যাশন্যাল ব্যাংকের পক্ষে জানানো হয়েছিল, গত ১৬ জানুয়ারি বনানীর সিকদার হাউসে ন্যাশনাল ব্যাংকের ৭-৮ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সাবেক এমডি সৈয়দ মেহমুদ হোসেন ব্যাংকের পরিচালকরা রিকভারি ও নন-পারফর্মিং লোন (এনপিএল) সংক্রান্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অডিট কমিটির পক্ষে তাকে ব্যাংকের বিভিন্ন ইন্ডিকেটর ও সামগ্রিক পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। এক বছরের বেশি সময় এমডি থাকাকালীন ব্যাংকের সফলতাও আসেনি। তার এমডির মেয়াদ শেষ হওয়ার ১১ মাস আগেই তিনি পদত্যাগ করেন।
ইএআর/এমআইএইচএস/জিকেএস