রিজার্ভ থেকে রেকর্ড ৮৫০ কোটি ডলার বিক্রি
ডলারের তীব্র সংকট দীর্ঘদিন ধরেই। সংকট কাটাতে উচ্চাভিলাসী পণ্য আমদানিতে নিরুৎসাহিত করার পাশাপাশি নানা পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্রীয় বাংক। তবে সংকট যে সহসা কাটছে না, এ এখন অনেকটাই স্পষ্ট। এ অবস্থায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে প্রতিনিয়ত ডলার সহায়তা দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মূলত, জরুরি আমদানির দায় মেটাতেই এ ডলার সহায়তা।
এরপরও আটকে আছে কোটি কোটি টাকার পণ্য। ডলার সংকটে আমদানিকারকদের চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ হচ্ছে ব্যাংকগুলো। এসব সমস্যার সমাধান দিতে ২০২২-২৩ অর্থবছরের সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারির ২৩ তারিখ পর্যন্ত) ৮৫০ কোটি বা ৮ দশমিক ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। দেশের ইতিহাসে এর আগে কোনো এক পুরো অর্থবছরেও রিজার্ভ থেকে এতো পরিমাণ ডলার বিক্রি হয়নি।
সবশেষ গত ২০২১-২২ অর্থবছরের পুরো সময়ে রিজার্ভ থেকে ৭ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে ডলার সহায়তা দেওয়ার কারণে রপ্তানি আয় ও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স বাড়ার পরও রিজার্ভ কমছে। সবশেষ গত সোমবার (২৩ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের কাছে পাঁচ কোটি ডলার বিক্রি করেছে। ফলে দিনশেষে রিজার্ভের পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে ৩২ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন ডলার।
ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রিতে নতুন রেকর্ড তৈরি হয়েছে। গত ২০২১-২২ অর্থবছরে রিজার্ভ থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ৭৬২ কোটি বা ৭ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছিল। ২০২০-২১ অর্থবছরে ডলারের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় বাজার থেকে উল্টো প্রায় ৮০০ কোটি বা ৮ বিলিয়ন ডলার কিনেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
চলতি অর্থবছরের সাত মাস না পেরোতেই ৮৫০ কোটি বা ৮ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, রেমিটেন্স ব্যাংকিং চ্যানেলে আরও বাড়াতে হবে। পাশাপাশি রপ্তানি বাড়াতে পারলে অভ্যন্তরীণ ডলার সংকট অনেকাংশে কমে আসবে। চলতি মাস জানুয়ারির প্রথম ২০ দিনে দেশে এক হাজার ৩১৫ মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছে।
ইএআর/এমকেআর/জেআইএম