ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

সিটি করপোরেশনের বাইরে ব্যাংকের সব শাখাই হবে ‘পল্লি শাখা’

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৬:৫৪ পিএম, ১৯ জানুয়ারি ২০২৩

# এসএমই বা কৃষি শাখা বিভাগীয় শহরের বাইরে স্থাপন করতে
# মোট শাখার ৫০ শতাংশ হতে হবে পল্লি শাখা

এখন থেকে সব সিটি করপোরেশন ও ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত পৌরসভা এলাকায় স্থাপিত ব্যাংকের শাখাগুলো ‘শহর শাখা’ হিসেবে বিবেচিত হবে। এর বাইরে অন্যান্য এলাকায় স্থাপিত ব্যাংকের সব শাখা বিবেচিত হবে ‘পল্লি শাখা’ হিসেবে। একই সঙ্গে নতুন স্থাপিত মোট শাখার ৫০ শতাংশ পল্লি শাখা করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশে ব্যাংক ব্যবসার প্রসার, ব্যাংকিং সুবিধা বঞ্চিত জনগণের নিকট ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দেওয়া ও অধিকতর আর্থিক সেবাভুক্তির লক্ষ্যে তফসিলি ব্যাংকসমূহের ব্যবসাকেন্দ্র স্থাপন, স্থানান্তর ও ভাড়াচুক্তি নবায়ন এবং সান্ধ্য ব্যাংকিং সংক্রান্ত বিদ্যমান নীতিমালা এভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সব সিটি করপোরেশন ও ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত পৌরসভা এলাকায় স্থাপিত শাখা ‘শহর শাখা’ এবং অন্যান্য এলাকায় স্থাপিত শাখা ‘পল্লি শাখা’ হিসেবে গণ্য হবে। পল্লি শাখার সংখ্যা হবে নীতিগত অনুমোদনপ্রাপ্ত মোট শাখার অন্তত ৫০ শতাংশ। বাৎসরিক ভিত্তিতে প্রতিটি শহরে একটির বেশি শহর শাখা স্থাপন করা যাবে না।

উপশাখা স্থাপন
ব্যাংকিং সুবিধা বঞ্চিত এলাকার জনসাধারণের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অনুমোদনপ্রাপ্ত মোট উপশাখার অন্তত ৬০ ভাগ সিটি করপোরেশন ও ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত পৌরসভা এলাকার বাইরে স্থাপন করতে হবে। নিয়ন্ত্রণকারী শাখা থেকে এক কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে উপশাখা স্থাপন করা যাবে না। তবে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির আওতায় কোনো বিশেষ জনগোষ্ঠী বা বিশেষ অঞ্চলে উপশাখা স্থাপনের প্রয়োজন হলে সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক বিশেষ বিবেচনায় এ শর্ত থেকে অব্যাহতি দিতে পারবে।

উপশাখার ফ্লোর স্পেস হবে সর্বোচ্চ এক হাজার বর্গফুট। উপশাখার কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য ন্যূনতম ২ জন কর্মকর্তা নিযুক্ত করতে হবে। নগদ অর্থ ও গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস উপশাখায় সংরক্ষণের ক্ষেত্রে ভল্ট স্থাপন করা যাবে। উপশাখায় বৈদেশিক বাণিজ্য সংক্রান্ত কোনো কার্যক্রম সম্পাদন করা যাবে না।

নতুন শাখা স্থাপন
ব্যাংকসমূহের নতুন শাখা স্থাপন সংক্রান্ত বার্ষিক পরিকল্পনা সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে নেওয়া সিদ্ধান্তের কার্যবিবরণীর কপিসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিগত অনুমোদনের জন্য দাখিল করতে হবে। যে বছরে নতুন শাখা স্থাপন করা হবে তার আগের বছরের নভেম্বর মাসের মধ্যে তা দাখিল করতে হবে। ব্যাংকের আর্থিক সক্ষমতা, ঋণের মান, শাখা ব্যবস্থাপনা, আমানতকারীদের সেবা প্রদানসহ সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারিত সংখ্যক শাখা স্থাপনের নীতিগত অনুমোদন দেবে।

এসএমই/কৃষি শাখা
এসএমই বা কৃষি শাখা বিভাগীয় শহর ও সিটি করপোরেশন এলাকার বাইরে স্থাপন করতে হবে। এক্ষেত্রে ব্যাংকিং সুবিধা বঞ্চিত এলাকাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এসএমই ও কৃষি শাখায় বিদেশি মুদ্রা লেনদেন ছাড়া অন্যান্য সব ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে। এ ধরনের শাখায় জমা করা আমানতের অন্তত ৫০ শতাংশ সংশ্লিষ্ট শাখার আওতাধীন এলাকায় এসএমই কৃষি খাতে ঋণ হিসেবে বিনিয়োগ করতে হবে।

ইএআর/কেএসআর/জিকেএস