বাণিজ্যমেলায় নারীদের পছন্দের শীর্ষে ভেজিটেবল কাটার
খরা কাটিয়ে জমে উঠছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা। এ বছর দ্বিতীয়বারের মতো মেলার আয়োজন করা হলো নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের পূর্বাচলে। দেশি-বিদেশি হাজারো পণ্য শোভা পেয়েছে এবারের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায়। তবে বরাবরের মতোই নারীদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে সবজি কাটার। ফলে মেলার অন্য যেকোনো স্টল থেকে সবজি কাটারের স্টলগুলোতে ভিড়ও বেশি।
বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় রাফি সুপার ডুপার স্লাইসার প্যাভিলিয়নে এমন চিত্র চোখে পড়ে। এখানে সবজি কাটারগুলোতে রয়েছে নানা অফার।
আরও পড়ুন: বাণিজ্যমেলায় পাটের তৈরি নানা পণ্যের পসরা
এবারের বাণিজ্যমেলায় সবজি কাটারের স্টলগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে- স্টিল কাটার, অটো চপার, ফ্রেন্স ফ্রাই কাটিং, পিৎজা কাটার, করলা কাটার, পিলার কাটার, নাইফ কাটার, কাচি, কাটিং প্লেট ও হ্যান্ড সেফটি। এসব কাটার দিয়ে আলু, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, মুলা, টমেটো, শসা, গাজর, বাঁধাকপি, শাকসহ বিভিন্ন সবজি রান্না ও খাওয়ার উপযোগী নকশা করে কাটা যায়। মেলায় স্লাইসার, হ্যান্ড সেফটি, ম্যাকারনি, ফ্লাওয়ার সেভার, কাটার, চপিং বোর্ড, চপারসহ এক সেট ভেজিটেবল কাটার বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায়। এসব পণ্যে ৫৭ শতাংশ ছাড় দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলো।
শাহানাজ আক্তার নামে এক গৃহিণী জানান, সবজি কাটারের মাধ্যমে সহজেই মনমতো সবজি কাটা যায়। এছাড়া মেলা উপলক্ষে বিশেষ ছাড় থাকায় এক সেট সবজি কাটার কিনলাম।
আরও পড়ুন: টেস্টি ট্রিট প্যাভিলিয়নে ভোজনরসিকদের উপচেপড়া ভিড়
আমরিন জামান নামের এক দর্শনার্থী জানান, গত কয়েকবছর ধরেই মেলায় আসা হয়। এবার দুই মেয়েকে নিয়ে এসেছি। এসে প্রথমেই এক সেট সবজি কাটার কিনলাম। শীতে সবজি কাটতে সমস্যায় পড়তে হয়। এখন আশা করি আর সমস্যায় পড়তে হবে না।
রাফি সুপার ডুপার স্লাইসার প্যাভিলিয়নের মো. রাফি জানান, সবসময় মেলায় আগত দর্শনার্থীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে এসব কাটার। এবারও তার ব্যত্যয় ঘটেনি। মেলার প্রথমদিন থেকেই আমরা ক্রেতাদের ভালো সাড়া পাচ্ছি। বেচাকেনাও বেশ ভালো। আশা করছি, গতবারের তুলনায় এবার ভালো বেচাকেনা করতে পারবো।
আরও পড়ুন: বাণিজ্যমেলায় বেড়েছে দর্শনার্থী, শিশুদের আগ্রহ ওয়াটার বল খেলায়
এবারের মেলায় বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, হংকং, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, নেপালসহ ১২টি দেশের ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্য নিয়ে হাজির হয়েছেন। মেলায় ১৭টি বিদেশি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে। রয়েছে দেশ-বিদেশের মোট ৩৩১টি স্টল, প্যাভিলিয়ন ও মিনি প্যাভিলিয়ন। গতবার এই সংখ্যা ছিল ২২৫টি। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলছে বাণিজ্যমেলা। তবে সাপ্তাহিক বন্ধের দিন রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকে মেলা। এ বছর মেলার প্রবেশ মূল্য প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৪০ টাকা এবং অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ২০ টাকা।
রাশেদুল ইসলাম রাজু/কেএসআর/জিকেএস