মধ্যপ্রাচ্য থেকে রেমিটেন্স প্রবাহ কমেছে
সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে মধ্যপ্রাচ্য থেকে রেমিটেন্স প্রবাহ কমেছে। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে ৮৪০ কোটি ডলারের রেমিটেন্স এসেছে। যা আগের বছরের (২০১২-১৩) একই সময়ের তুলনায় ১ দশমিক ৬ শতাংশ কম। কেবল যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া প্রায় সব দেশ থেকেই রেমিটেন্স প্রবাহ কমেছে।
বর্তমানে বিভিন্ন দেশে প্রায় ৮০ লাখ বাংলাদেশি অবস্থান করছেন। তাদের সিংহভাগই শ্রমিক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে সৌদি আরব থেকে ৩১১ কোটি ৮৮ লাখ ডলার রেমিটেন্স এসেছে, যেখানে তার আগের অর্থবছরে ৩৮৩ কোটি ডলার রেমিটেন্স এসেছিল। এ হিসাবে সৌদি আরব থেকে গত অর্থবছরে আগের বছরের চেয়ে ১৯ শতাংশ রেমিটেন্স কম এসেছে।
শুধু সৌদি আরব নয়, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েতসহ মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশ থেকেও রেমিটেন্স প্রবাহ কমেছে।
আরব আমিরাত থেকে ২০১২-১৩ অর্থবছরে এসেছিল ২৮৩ কোটি ডলার। গত অর্থবছরে এসেছে ২৬৮ কোটি ডলার। কাতার থেকে ২০১২-১৩ অর্থবছরে এসেছিল ২৮ কোটি ডলার; গত অর্থবছরে চেয়ে তা কমে ২৫ কোটি ডলারে নেমে এসেছে।
কুয়েত থেকে গত অর্থবছরে এসেছে ১১১ কোটি ডলার, যেখানে আগের অর্থবছরে এসেছিল ১১৮ কোটি ডলার।
ইরান থেকে ২০১২-১৩ অর্থবছরে এসেছিল ২৬ লাখ ডলার। সেখানে গত অর্থবছরে এসেছে মাত্র ৪ লাখ ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য থেকে দেখা যায়, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে প্রবাসীরা মোট ১৪ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স দেশে পাঠিয়েছেন, যেখানে আগের অর্থবছরে পাঠিয়েছিলেন ১৪ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলার। এ সময় যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া প্রায় সব দেশ থেকেই রেমিটেন্স কমেছে।
৩০ জুন শেষ হওয়া ২০১৩-১৪ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২৩২ কোটি ৩৩ লাখ (২ দশমিক ৩২ বিলিয়ন) ডলার রেমিটেন্স দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ২৫ শতাংশ বেশি।
তবে যুক্তরাজ্য থেকেও রেমিটেন্স প্রবাহ কমেছে। এ দেশ থেকে ২০১২-১৩ অর্থবছরে ৯৯ কোটি ১৬ লাখ ডলার এসেছিল। গত অর্থবছরে এসেছে ৯০ কোটি ডলার।
জাপান থেকেও প্রবাসী আয় কমেছে ৪০ লাখ ডলার, সিঙ্গাপুর থেকে ৭ কোটি ডলার, অস্ট্রেলিয়া থেকে ৬০ লাখ ডলার, দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ৩০ লাখ ডলার ও হংকং থেকে ২০ লাখ ডলার কমেছে।