ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

কমছে পোশাক শিল্পের কর্পোরেট ট্যাক্স : বাণিজ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০২:২০ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

রফতানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পের কর্পোরেট ট্যাক্স কমানোর বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে এবং শিগগিরই তা বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

সোমবার তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফেকচার অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) আয়োজিত দেশের নতুন নাগরিক (বিলুপ্ত ছিটমহলের) ২৯ জনকে প্রশিক্ষণ সনদ-ভাতা এবং চাকরির নিয়োগপত্র প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে  এ কথা জানান তিনি।

এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত স্কিল ফর এমপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (এসইআইপি)`র আওতায় বিলুপ্ত ছিটমহরের ২৯ জন সদনপ্রাপ্তদের প্রশিক্ষণ দেযা হয়।

এছাড়া অনুষ্ঠানে সম্প্রতি ভারতে অনুষ্ঠিত সাউথ এশিয়ান গেমসে স্বর্ণপদক বিজয়ী মাহফুজা ও মাবিয়াকে বিজিএমইএর পক্ষ থেকে সংবর্ধনা ও এক লাখ টাকার চেক প্রদান করা হয়।

বর্তমানে তৈরি পোশাক খাতে কর্পোরেট ট্যাক্স ৩৫ শতাংশ নির্ধারিত রয়েছে। এর আগে এ হার ছিল ১০ শতাংশ। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে তা বাড়িয়ে ৩৫ শতাংশ নির্ধারিত হয়।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে তৈরি পোশাক শিল্প মালিকরা এ ট্যাক্স কমিয়ে পুনঃনির্ধারণ (১০ শতাংশ) করার জন্য সরকারের নিকট দাবি জানিয়ে আসছে। আর এর প্রেক্ষিতে ট্যাক্স কমানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। যা শিগগিরই বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানান তিনি।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা ব্যবসায়িক উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করে। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে গত বছর রফতানির আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়নি। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি স্থিতিশীল। তাই আমাদের অর্জন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
 
তিনি বলেন, জিএসপি সুবিধা খর্ব করা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে আমাদের পণ্য রফতানি ১৬ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে। আশা করছি এবার রফতানি ৬ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।

বিজিএমইএ সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, দেশের তৈরি পোশাক খাতে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ দক্ষ শ্রমিকের অভাব রয়েছে। তবে আমাদের বিপুল পরিমাণ মানব সম্পদ রয়েছে। এ সম্পদকে কাজে লাগিয়ে দক্ষতা বাড়িয়ে শ্রমিকের অভাব দূর করা যেতে পারে।

এ লক্ষ্যে ২০২১ সালের রূপকল্প বাস্তবায়নে বিজিএমইএ মানবসম্পদ উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এর ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সাল থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে এডিবির অর্থায়নে পরিচালিত এসইআইপি প্রকল্পের আওতায় ৩ বছরে পোশাক শিল্পের মোট ৪৩ হাজার ৮০০ জন শ্রমিক ও কারখানার মধ্যম পর্যায়ে দক্ষ জনবল বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। যার মাধ্যমে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে ৫০ বিলিয়ন ডলারের  রফতানি আয় অর্জনে সহায়ক হবে।

এ প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণের প্রথম বছরের প্রথমভাগে রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, বিলুপ্ত ছিটমহলসহ বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক দরিদ্র নারী-পুরুষকে পোশাক শিল্প বিষয়ক প্রশিক্ষণের অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানের অন্যান্যের মধ্যে বিজিএমইএ সহ সভাপতি (অর্থ) মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, যুব উন্নয়ন অধিদফতরের মহাপরিচালক আনোয়ারুল করিম, সিইআইপি প্রকল্পের নির্বাহী পরিচালক আব্দুল রউফ তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।

এসআই/এসকেডি/আরআইপি