ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

বৈশ্বিক সংকটের মধ্যে রাজনৈতিক উত্তাপ, স্বস্তি মিলবে শেয়ারবাজারে?

সাঈদ শিপন | প্রকাশিত: ০৭:৩২ পিএম, ০১ জানুয়ারি ২০২৩

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ উদ্ভূত বৈশ্বিক সংকটের প্রভাবে ২০২২ সালজুড়েই মন্দার মধ্যে ছিল দেশের শেয়ারবাজার। বছরটিতে মুনাফার বদলে লোকসানের পাল্লা ভারী হয়েছে বিনিয়োগকারীদের। এ পরিস্থিতিতে যুদ্ধের রেশ জিইয়ে রেখেই এলো নতুন বছর ২০২৩। বছরটিতে দুর্ভিক্ষ, খাদ্য সংকটের আভাস দিয়ে রেখেছে বিশ্ব খাদ্য সংস্থা। আবার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন। সব মিলিয়ে চলতি বছর শেয়ারবাজার বিনিয়োগকারীদের কতটা স্বস্তি দেবে তা নিয়ে ভিন্নমত রয়েছে বিশ্লেষকদের।

জানা যায়, ২০২৪ সালের প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ফলে নির্বাচন ঘিরে উত্তাপ ছড়াতে পারে ২০২৩ সাল। বৈশ্বিক সংকট ও নির্বাচনী ডামাডোলের মধ্যে চলতি বছর শেয়ারবাজার কেমন যাবে, তা নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে বিভক্ত শেয়ারবাজার বিশ্লেষকরা। কেউ বলছেন, ২০২২ সালজুড়ে শেয়ারবাজারে মন্দাভাব থাকায় অনেক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বিনিয়োগের জন্য আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। ফলে নতুন বছর ২০২৩ সালে শেয়ারবাজার ভালো হবে।

অন্যপক্ষ বলছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে যে বৈশ্বিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে তা এখনো কাটেনি। এর সঙ্গে নতুন করে যোগ হবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হিসাব-নিকাশ। এতে বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ, নতুন বিনিয়োগ করা থেকে বিরত থাকবেন। সুতরাং ২০২৩ সালে শেয়ারবাজার মন্দা কাটিয়ে উঠবে এমন আশা করা কঠিন। বরং বৈশ্বিক সংকট ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে ২০২৩ সালেও শেয়ারবাজার চাপে থাকতে পারে।

আরও পড়ুন>> চাপে শেয়ারবাজার, গতি ফেরানোর চেষ্টায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা 

তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০২২ সালে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৫৪৯ দশমিক ৮৫ পয়েন্ট বা ৮ দশমিক ১৪ শতাংশ। আর বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ৩৩৭ দশমিক ২৮ পয়েন্ট বা ১৩ দশমিক ৩২ শতাংশ। শরিয়াহ্ ভিত্তিতে পরিচালিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক কমেছে ৭২ দশমিক ২৯ পয়েন্ট বা ৫ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ।

মূল্যসূচকের বড় পতনের সঙ্গে দেখা দিয়েছে লেনদেন খরা। ২০২১ সালে ডিএসইতে প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয় ১ হাজার ৪৭৫ কোটি ২২ লাখ টাকা। ২০২২ সালে তা কমে প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৯৬০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ, আগের বছরের তুলনায় প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন কমেছে ৫১৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকা বা ৩৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ।

আরও পড়ুন>> পতনের মধ্যেই শেয়ারবাজার 

স্বাভাবিকভাবেই ২০২২ সালকে বিনিয়োগকারীদের নীরব রক্তক্ষরণের বছর হিসেবে দেখছেন। বছরটিতে শেয়ারবাজার এতটা খারাপ গেলেও বছরের শুরু হয়েছিল আশাজাগানিয়া। বছরের প্রথম কার্যদিবসেই প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান মূল্যসূচক ৯৬ পয়েন্ট বেড়ে যায়। বছরের প্রথম দিন এমন বড় উত্থানের পর জানুয়ারিজুড়েই ঊর্ধ্বমুখী থাকে শেয়ারবাজার। মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি বাড়ে লেনদেনের গতি।

জানুয়ারির মতো ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধেও বেশ ভালো অবস্থানে ছিল শেয়ারবাজার। একদিকে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়তে থাকে, অন্যদিকে বাড়ে লেনদেনের গতি। ফলে স্বতঃস্ফূর্ত বিনিয়োগের মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে মুনাফা তুলে নেন বিনিয়োগকারীরা। কিন্তু রাশিয়া ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করলে বদলে যায় চিত্র। ভয়াবহ দরপতনের কবলে পড়ে শেয়ারবাজার।

আরও পড়ুন>> বাধ্যতামূলক ছুটিতে ডিএসইর সিটিও, বড় উত্থানে ফিরলো শেয়ারবাজার 

সেই পতনের ধকল থেকে আর বেরিয়ে আসতে পারেনি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বাধার পর শেয়ারবাজারে এতটা বড় ধাক্কা লাগে যে, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) থেকে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের সর্বনিম্ন দাম (ফ্লোর প্রাইস) বেঁধে দেওয়া হয়। এতে আটকে যায় নতুন করে দাম কমার পথ। কিন্তু দেখা দেয় লেনদেন খরা। দুই হাজার কোটি টাকায় উঠে যাওয়া লেনদেন কমে তিনশ কোটি টাকার নিচেও নামে।

ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিনিয়োগকারীদের বড় লোকসানের হাত থেকে রক্ষা করলেও, এখন সেই ফ্লোর প্রাইসই যেন বিনিয়োগকারীদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অর্ধেকের বেশি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বর্তমানে ফ্লোর প্রাইসে আটকা। বিনিয়োগকারীরা শত চেষ্টা করেও ফ্লোর প্রাইসে আটকে থাকা এসব শেয়ার ও ইউনিট বিক্রি করতে পারছেন না। ফলে একদিকে তাদের বিনিয়োগ করা আটকে গেছে, অন্যদিকে নতুন বিনিয়োগের পথ বন্ধ হয়ে গেছে।

এমন একটি বছর পার করার পর নতুন বছর ২০২৩ সাল শেয়ারবাজারের জন্য কেমন যাবে? জানতে চাইলে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী জাগো নিউজকে বলেন, নির্বাচন বা রাজনৈতিক প্রভাব আমি শেয়ারবাজারে পড়তে দেখিনি। শেখ হাসিনা, খালেদা জিয়া যখন গ্রেফতার হন, সে সময়ও শেয়ারবাজার ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। সুতরাং, জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেন্দ্র করে শেয়ারবাজারে প্রভাব পড়বে বলে আমার মনে হয় না।

তিনি বলেন, ডলারের দাম বেড়েছে, আমদানি কমেছে। অর্থনীতি হয়তো কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে। তার চেয়ে বড় কথা ব্যাংকের তারল্য সংকট সহজে কাটবে বলে মনে হচ্ছে না। এমন অবস্থায় খুব উজ্জ্বল একটি বছর যাবে বলে আমার মনে হয় না। তবে বাজার যদি স্বাভাবিকভাবে চলতে দেওয়া হয়, তাহলে ধীরে ধীরে বর্তমান যে অবস্থা, সেখান থেকে উত্তরণ হবে। আর বাজারে যদি ফ্লোর প্রাইস ধরে রাখা হয়, তাহলে এরকমই (বর্তমান অবস্থার মতো) থাকবে।

‘ফ্লোর প্রাইসের কারণে প্রায় দুই-আড়াইশ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হচ্ছে না। এখানে যে সূচক দেখানো হচ্ছে, আমার মনে হয় তা কৃত্রিম। কারণ যেখানে আসল কোম্পানিগুলোর লেনদেন হচ্ছে না, সেখানে এই সূচকের কোনো মূল্য আছে বলে আমার মনে হয় না। ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়া হলে সাময়িক হয়তো বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে, তারপর বর্তমান যে অবস্থা আছে, তার চেয়ে সামনের বছর ভালো হবে। বর্তমান বছরও (২০২২ সাল) এতটা খারাপ হতো না, যদি পাঁচ-ছয় মাস ধরে ফ্লোর প্রাইস ধরে রাখা না হতো।’

তিনি আরও বলেন, আমি বুঝি না বিনিয়োগকারীরা কেন এত ফ্লোর প্রাইসের পক্ষে। তারা কী ফ্লোর প্রাইসে বিক্রি করতে পারবে। স্ক্রিনে দাম দেখে তারা কী সান্ত্বনা পাচ্ছেন, এটা আমার বোধগম্য নয়। যে কোনো বাজারে এত দীর্ঘ সময় ফ্লোর প্রাইস থাকলে বাজার ধ্বংস হয়ে যায়। আমার মনে হয় সুবুদ্ধি হবে। ফ্লোর প্রাইস ধীরে ধীরে তুলে নেওয়া হবে এবং বাজার তার গতি ফিরে পাবে, সাময়িক ধাক্কা খেলেও। এই বাজারে টাকা কোনো সমস্যা নয়। আমরা দেখেছি বাজার ইমপ্রুভ করলে টাকা কোথা থেকে আসে কেউ জানে না। আমি আশাবাদী ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সাল ভালো যাবে।

বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি ছায়েদুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, আগামী বছর (২০২৩ সাল) এ বছরের (২০২২ সাল) থেকে ভালো হবে। এবছর সব ধরনের নেতিবাচক অ্যাক্টিভিটি গেলো। কোভিডের পর যুদ্ধ, যুদ্ধের পর ডলার সংকট। সবকিছুই নেতিবাচক। আশা করি আগামী বছর ভালো হবে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে, রেমিট্যান্স বাড়ছে, রপ্তানি বাড়ছে। সে হিসেবে আগামী বছর অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো থাকবে। আশাকরি পুঁজিবাজারও ভালো থাকবে।

‘অনেক ভালো ভালো প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমে গেছে। এর অর্থ হলো বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ কমে গেছে। অর্থনৈতিক মন্দা যখন কাটিয়ে উঠছি, তখন স্বাভাবিকভাবেই সবকিছু ভালো হবে। যখন আপনার পকেটে টাকা থাকবে না, তখন যত ভালো জিনিসই হোক আপনি কিনতে পারবেন না। অর্থনৈতিক মন্দার যে চাপ ছিল, সেটা থেকে আমরা বের হয়ে আসতে পারছি।’

সাধারণ বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সাধারণ বিনিয়োগকারীদের উচিত জেনে-বুঝে দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগ করা। কারও দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে, গুজবের ওপর নির্ভর না করে, জেনে-বুঝে বিনিয়োগ করতে হবে। গুজবনির্ভর বিনিয়োগ পুঁজি ধ্বংস হওয়ার কারণ।

মিডওয়ে সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আশিকুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, নতুন বছরে কী কী রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ইস্যু আছে, আমরা সেটা দেখেই অনুমান করি। প্রথম ইস্যু হচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ কখন শেষ হবে, এটা কেউ বলতে পারবে না। এটা চলমান প্রক্রিয়া। দ্বিতীয় ইস্যু হচ্ছে সামনে একটি জাতীয় নির্বাচন আসছে। জাতীয় নির্বাচনের আগের ইতিহাস দেখলে দেখা যাবে নির্বাচনের বছরে শেয়ারবাজারের পারফরম্যান্স ভালো হয় না। শেয়ারবাজার কোনো সময় অনিশ্চয়তা পছন্দ করে না। নির্বাচন মানেই এক ধরনের অনিশ্চয়তা। যখন অনিশ্চয়তা দেখা দেয়, তখন শেয়ারবাজারের বড় বড় বিনিয়োগকারী বিনিয়োগ করেন না। বিনিয়োগকারীরা সব সময় নিশ্চয়তা চান।

‘আমাদের দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি গত কয়েক বছরের মতো স্ট্রং নয়। এখানে আমাদের কিছু ইন্টারনাল ইস্যু আছে এবং কিছু এক্সটার্নাল ইস্যু আছে। দুইটা ইস্যু মিলিয়ে যদি দেখি এবছর আমাদের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি কিন্তু গত বছর বা করোনার পরের বছরের মতোও স্ট্রং পরিস্থিতি হবে না। এটাও শেয়ারবাজারের জন্য একটা নেতিবাচক দিক। যদি অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ভালো না থাকে তাহলে যৌক্তিকভাবে শেয়ারবাজার ভালো থাকার কথা নয়।’

তিনি আরও বলেন, করোনার মধ্যে পুরো দেশ, পৃথিবী লকডাউনের মধ্যে ছিল। তারপরও আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি খুব ভালো ছিল। এর মূল কারণ হলো মুদ্রানীতি। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সম্প্রসারণমূলক মুদ্রানীতি ছিল। এখন সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি। সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি যখন হয়, তখনই শেয়ারবাজারের জন্য এটা নেগেটিভ। এছাড়া অর্থনীতি খারাপ থাকলে ভালো ভালো কোম্পানির আয় কমে যাবে এবং পিই রেশিও (মূল্য আয় অনুপাত) বেড়ে যাবে।

এসময় ফ্লোর প্রাইসের বিষয়ে আশিকুর রহমান বলেন, যতদিন ফ্লোর প্রাইস থাকবে, ততদিন বাজারে একটা নেতিবাচক প্রেশার থাকবে। কারণ পিই হিসাব করা হয় দাম এবং আয় দিয়ে। আয় কিন্তু পড়ে যাচ্ছে। অর্থনীতি দুর্বল হতে থাকলে, আয় অবশ্যই পড়বে। অপরদিকে ফ্লোর প্রাইসের কারণে দাম কমতে পারছে না। যতদিন ফ্লোর প্রাইস থাকবে, ততদিন কৃত্রিমভাবে পিই বেড়ে যাবে। আয় পড়ে যাচ্ছে, কিন্তু দাম একই থেকে যাচ্ছে, সুতরাং ক্যালকুলেশনে পিই ১৭-১৮ হয়ে যাচ্ছে। তখন কিন্তু বোঝায় বাজার অতিমূল্যায়িত এবং এটা কৃত্রিম।

‘বাজার ইতিবাচক হওয়ার একটাই উপায় আছে। সেটা হলো স্টকের দাম ফেয়ার ভ্যালু হতে হবে। এখন কিন্তু আপনি বলতে পারবেন না, কোনো স্টক ফেয়ার ভ্যালুতে আছে। কৃত্রিমভাবে দাম ধরে রাখা হয়েছে। স্টকের মূল্য যখন ফেয়ার ভ্যালুতে আসবে, তখন সঙ্গে সঙ্গে বিনিয়োগকারী আসবে।’

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে বড় বড় হাই নেটওয়ার্কের অনেক বিনিয়োগকারী আছেন। ফ্লোর প্রাইস যখন তুলে দেওয়া হবে, যারা অতিরিক্ত দামে কিনে রেখেছেন তাদের জন্য ক্ষতিকর হবে। কিন্তু সাইড লাইনে যারা টাকা নিয়ে আছেন, তারা যখন দেখবেন পছন্দের কোম্পানি ফেয়ার ভ্যালুতে চলে এসেছে, সঙ্গে সঙ্গে কিনে ফেলবেন।

এমএএস/এএসএ/জিকেএস