পাঁচ দাবি জানিয়ে সংসদীয় কমিটিকে এওএবি’র চিঠি
সময়োপযোগী নীতি ও আদেশমালা প্রণয়ন, সাশ্রয়ী জ্বালানি তেলের যোগান, উচ্চ কর হার রহিতকরণ, যৌক্তিক সারচার্জ নিরুপণ ও অসম প্রতিযোগিতার অবসানের দাবি জানিয়েছে এভিয়েশন অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এওএবি)।
মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে দেওয়া এক চিঠিতে এসব দাবি জানানো হয়।
এওএবি’র মহাসচিব মফিজুর রহমান ও সহসভাপতি আবদুল্লাহ আল মামুন স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়, বর্তমানে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের শতকরা ৮০ ভাগই বেসরকারি এয়ারলাইন্স অবদান রাখছে। দেশে ব্যবসা সম্প্রসারণ, অতি উচ্চ কারিগরি জ্ঞান সম্পন্ন মানবসম্পদ সৃষ্টি, জাতীয় কোষাগারে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব প্রদানের মাধ্যমে এই খাত জাতীয় পর্যায়ে এক অনন্য কৃতিত্বের অধিকারী। কিন্তু বেসরকারী এয়ারলাইন্স খাত শুরু থেকেই নানাবিধ প্রতিকুলতার সম্মুখীন।
এর মধ্যে করোনার অভিঘাত এবং বর্তমানে বিরাজিত বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার প্রেক্ষাপট, অতি মূল্যায়িত জ্বালানি তেলের মূল্য এই শিল্পকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিপতিত করেছে। দেশের অর্থনীতির চাকা সচলকারী বেসরকারি এয়ারলাইন্সকে রক্ষাকল্পে সরকারের এওএবি’র তরফ থেকে আবেদন জানানো হয়েছে। যার কোনো ফলপ্রসু সমাধান অদ্যবধি হয়নি। তাই এই খাতের সমস্যাগুলো নিরসনে কিছু সুপারিশ করছে এওএবি।
চিঠির শেষে বলা হয়, বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলোর চাইতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স অভ্যন্তরীণ সব রুটেই কম ভাড়া নির্ধারণ করেছে। যা কোনওভাবেই ব্যবসায়িকভাবে লাভজনক নয়। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স জাতীয় পতাকাবাহী সংস্থা হিসেবে আমাদের সবার গর্বের বিষয়। বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া এবং তার সুযোগ্য কন্যার হাতে পুনর্গঠিত বিমানকে আমরা প্রতিযোগী হিসেবে বিবেচনায় না নিয়ে আমরা অনুযোগী হিসেবে বিবেচনা করতে চাই। পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা একটি টেকসই ও সুস্থ এয়ারলাইন্স খাত গঠনে সংকল্পবদ্ধ।
এমএমএ/এমএইচআর