নির্ধারিত দামে মিলছে না চিনি, দাম বেড়েছে আটার
নানা অজুহাতে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বাড়ছে চিনির দাম। গ্যাস সংকটে চিনি পরিশোধনে খরচ বাড়ছে, এমন অজুহাতে চিনির দাম বেড়েছে জানিয়ে ব্যবসায়ীরা বলেছিলেন, শিগগির এ সংকট কেটে যাবে। তবে তা হয়নি। চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণে পরে দাম নির্ধারণ করে দেয় সরকার। প্রতি কেজি খোলা চিনি ১০২ ও প্যাকেটজাত চিনি ১০৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়। তবে এরপরও বাজারে সব ধরনের চিনি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়।
এছাড়া সপ্তাহের ব্যবধানে আরও বেড়েছে আটার দাম। তবে কিছুটা দাম কমেছে পেঁয়াজের।
শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনের বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সব দোকানেই নির্ধারিত দামের চাইতে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে চিনি। সেখানে মারজানা স্টোর নামে এক মুদি দোকানের দোকানি রফিকুল ইসলাম বলেন, সরকার দাম ঠিক করে দিয়েছে, কিন্তু কোম্পানি আমাদের বেশি দামেই চিনি দিচ্ছে। আমাদের কেনাই পড়ছে ১১০ টাকার উপরে। আমরা নির্ধারিত দামে বিক্রি করবো কীভাবে?
অন্যদিকে প্যাকেট আটা কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ৭০ টাকা আর খোলা আটা ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৪০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ছিল ১০০-১১০ টাকা। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৫-১০ টাকা কমে ৪০-৫০ টাকা এবং আমদানি করা পেঁয়াজ ৫ টাকা কমে ৪০-৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বোতলাজাত তেল প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকায়।
এ নিয়ে বাজার করতে আসা স্কুলশিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের কোনো উদ্যোগ নেই। মুদি পণ্যগুলোর দাম যে যেভাবে পারছে বাড়াচ্ছে। একবার যেটা বাড়ছে সেটা আর কমছে না। ক্রেতাদের নাভিশ্বাস উঠছে। মানুষ কম কিনছে। ১০ টাকার জিনিস দরকার, ৫ টাকার কিনেই বাড়ি ফিরে যাচ্ছে।
এছাড়া বাজারে প্রতিকেজি গরুর মাংস ৭০০ টাকা ও খাশির মাংস ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে কেজিতে ২০-৩০ টাকা কমে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়, সোনালি মুরগী ২৫০ টাকা ও দেশি মুরগী ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া মুরগির ডিম প্রতি ডজন ১২০ টাকা আর হাঁসের ডিম প্রতি ডজন ২১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কিশোরগঞ্জ এন্টারপ্রাইজের ব্যবসায়ী মনসুর আলম জানান, কয়েক সপ্তাহ ধরেই ডিমের দাম পড়তির দিকে।
এসএম/এমএইচআর/এমএস