ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

এলডিসি থেকে উত্তরণের পর বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জের শঙ্কায় ব্যবসায়ীরা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:৪০ পিএম, ১৭ নভেম্বর ২০২২

সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশ এলডিসি (স্বল্পোন্নত দেশ) থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে দাঁড়াবে। কিন্তু এটি উত্তরণের পর আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জের আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।

তারা বলছেন, জিএসপি প্লাস সুবিধা পাওয়ার শঙ্কা তো রয়েছেই, পাশাপাশি অভ্যন্তরে কমন বন্ডেড ওয়্যার হাউজ ও লিড টাইম কমানোর জন্য ব্যবসায়ীদের এখনও লড়তে হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে এক সেমিনারে এসব শঙ্কার কথা জানান ব্যবসায়ী নেতারা।

সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ২০২৬ সালের মধ্যে আমরা এলডিসি উত্তরণ করবো। কিন্তু এখনই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে কাঁচামালের দাম বাড়ায় পণ্যের উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে। এজন্য লজিস্টিক ম্যানেজম্যান্ট আরও শক্তিশালী করতে হবে। পাশাপাশি ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল শক্তিশালী করার সঙ্গে সক্ষমতা বাড়াতে হবে।

জসিম উদ্দিন আরও বলেন, এলডিসি গ্রাজুয়েশন বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে দেশের ভাবমূর্তি অর্জনে সহায়তা করবে। পাশাপাশি দেশীয় বিনিয়োগকারীদেরও আস্থা বাড়বে। তবে এটিও মনে রাখা দরকার যে করোনা পরবর্তী অর্থনৈতিক মন্দাভাবের পাশাপাশি বৈশ্বিক চাপ এরইমধ্যে খাদ্যপণ্য ও মূলধনী যন্ত্রপাতিসহ সব পর্যায়ে যানবাহন খরচ বাড়িয়ে দিয়েছে। এছাড়া বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করায় ব্যবসায়ীদের খরচ বেড়ে গেছে। আবার বিশ্ববাজারে রপ্তানিকারকদের প্রতিযোগিতার সক্ষমতাও কমে গেছে।

বেক্সিমকো গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন বলেন, আমরা যে সময় এলডিসি গ্রাজুয়েশন নিয়ে আলোচনা করছি, একই সময়ে পৃথিবীর বহু দেশ খাদ্য সংকট নিয়ে আলোচনা করছে। নেপাল, মালদ্বীপের মতো রাষ্ট্রগুলো এলডিসির জন্য প্রস্তুত না। এখন প্রশ্ন হলো আমরাও কি প্রস্তুত?

তিনি বলেন, দুটো পয়েন্টে আমাদের নজর দেওয়া দরকার। একটা হলো প্যাটেন্ট আইন তৈরি করা। আরেকটি জনস্বাস্থ্যে নজর দেওয়া। জনস্বাস্থ্য নিয়ে একটি আলোচনাও নেই কোনো পর্যায়ে। এটিতে নজর দেওয়া খুব জরুরি। আমরা ওষুধের সহজলভ্যতার কোনো আলোচনা করি না। মানুষকে বাঁচানোর জন্য আমরা কি করেছি। এটা নিয়ে কি কেউ কথা বলবে না?

ইউএনডিপির কান্ট্রি ইকোনমিস্ট ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নে নন-আরএমজি পণ্যের সরবরাহ বাড়ছে। আমাদের সেদিকে নজর দিতে হবে। আমাদের কাঙ্ক্ষিত খাত চিহ্নিত করতে পেরেছি। এছাড়া আমাদের নন-কটন ফাইবার বা ম্যান মেইড ফাইবারের পোশাকের চাহিদা বেড়েছে। তাতেও নজর দিতে হবে। এসএমই খাতকে আরও কাজে লাগাতে হবে, সহযোগিতা দিতে হবে। এখানে বিনিয়োগ আরও বাড়ানো প্রয়োজন।

সেমিনার সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। ওয়ার্কিং সেশন-১ এ এলডিসি নিয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। প্যানেলিস্ট আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ডেলিগেশনের ডেপুটি হেড অব মিশন ড. বার্ন্ড স্পেনিয়ার এবং র্যাপিডের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক।

সেশন-২ এ বিষয়ের ওপর মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। এতে আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, ঢাকা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট রিজওয়ান রহমান এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশের কান্ট্রি ইকোনমিস্ট ড. নাজনীন আহমেদ।

এমওএস/জেডএইচ/এমএস